রায়পুরে জনস্বাস্থ্য প্রকৌশলীর ওয়াস ব্লক নির্মাণ কাজে চরম অনিয়ম
দেলোয়ার হোসেন মৃধা, লক্ষ্মীপুর প্রতিনিধি: লক্ষ্মীপুরের রায়পুরে জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের আওতায়২০১৭/২০১৮ইং সালের সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ৩টি ওয়াস ব্লক নির্মাণ কাজে ব্যাপক অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। ব্লক নির্মানে নিন্মমানের নির্মাণ সামগ্রী( ইট,কংকর রড) ব্যাবহার, জনস্বাস্থ্য প্রকৌশলীর ইঞ্জিনিয়ারের উপস্থিতিতে বেইজ, পিলার ও ছাদ ঢালাই, নকশা মোতাবেক কাজ না করা, নির্মাণ কাজে অপরিস্কার বালু ব্যবহার ( ছাকুনি ব্যবহার না করা) ও সময়মত কিউরিং (পানি দিয়ে ভেজানো) করা হয়না বলে জানান সংশ্লিষ্ট বিদ্যালয় পরিচিলনা কমিটির সভাপতি ও প্রধান শিক্ষিকারা।
যেই দিন বিদ্যালয় বন্ধ ছিল সেই দিন গোপনে ঢালাইর কাজ সম্পর্ণ করেন তারা। সরেজমিনে গিয়ে ৩ স্কুলে এইসব তথ্য জানা যায়। জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের কর্মকর্তা ও কর্মচারিরা ঠিকাদারের সাথে যোগসাজসে নিন্মমানের কাজ করে এবং তড়িঘড়ি করে নির্মাণ কাজ শেষ হওয়ার পথে বলে স্থানীয়রা জানান। সূএে জানায়, রায়পুর উপজেলায় সরকারিভাবে ৩টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে প্রায় ২৪ লাখ ৬০ হাজার টাকায় ব্যয়ে ৩ টি আধুনিক মানের ওয়াস ব্লক নির্মাণ করা হচ্ছে। এর আগের অর্থবছরে ৪ টি ওয়াস ব্লক নির্মাণ করা হয়। বর্তমানে স্কুল ৩ টি হল পূর্ব কাঞ্চন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়,মধ্যপূর্ব চরবংশী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়,চরবংশী( ২)। মের্সাস নিউ ভঁইয়া টের্ডাস নামের তাজুল ইসলাম একটি ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান কাজটি পায়।
তবে কাজ গুলো ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের সাথে শেয়ারে জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের ইঞ্জিনিয়ার মো: গিয়াস উদ্দিন ভুঁইয়া জড়িত রয়েছেন বলে জনশ্রুতি রয়েছে। এতে করে কোন রকম নয়ছয় কাজ শেষ করে বিলের অর্থ উওোলন করার জোর তৎপরতা চালানো হচ্ছে বলে সুএে জানা গেছে। একটি ওয়াস ব্লকেরচ মোট বরাদ্ধ দেওয়া হয় ৮ লক্ষ ২০ হাজার টাকা। ২৬ ফুট দৈর্ঘ্য এবং প্রসাখ ১৩ ফুটের মোট ২৯০ স্কয়ার ফুটের তৈরী আধুনিক ওয়াস ব্লকে উন্নমানের ২টি কমোট,৪ টি সাধারণ প্যান, ২ টি ব্যাসিন, ২ টি প্রসাবখানা,২টি ফুট ওয়াস,সাবমারসেবল, পাম্পসহ পানির ট্যাংকি এবং ভেতরের পুরোটাই উন্নমানের টাইলসযুক্ত এবং অন্যান্য সরঞ্জামাদি থাকার কথা।
পুর্ব কাঞ্চনপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকা বলেন ওয়াস ব্লকের কাজের মান অত্যান্ত নিম্নমানের তারা স্কুল বন্ধের দিন কাজ করে,ছাদ ঢালাই দেয়।এটা মোটেও ঠিক হয়নি। মেস্স্তরী লেবারা তাদের মনমত কাজ করছে। ঠিকমত পানি দেয়না। নিন্মমানের সামগ্রি ব্যবহার করে। আমাদের এখানে ছোট আকৃতির একটি টয়লেট ট্যাংকি করছে যাহা কয়দিন পর ভরে যাবে। আমরা বাধা দিলে ও শুনেনা। কাজের কোন ধরনের তর্থ্য আমাদের দেয় না। ৩টি বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সভাপতিরা বলেন,কাজের শুরু থেকে চরম অনিয়ম হচ্ছে। বার বার বলার পরও তারা কথা শুনছে না। এ ব্যপারে জনস্বাস্থ্য প্রকৌশলী মো : গিয়াস উদ্দিন ভুঁইয়া বলেন,কাজে কোন ধরনের অনিয়ম হচ্ছে না।আমি নিজে কাজের তদারকি করছি।নকশা অনুযায়ি কাজগুলি সম্পর্ণ করা হবে। নিন্মমানের কোন কিছুই ব্যবহার করা হয়না।