‘পুরুষের লালসার কাছে আত্মসমর্পণ করছেন নায়িকারা’
‘পুরুষের লালসার কাছে আত্মসমর্পণ করছেন নায়িকারা’
হিন্দুস্তান টাইমসের খবরে বলা হয়, ফেডারেশন অফ ইন্ডিয়ান চেম্বার অফ কমার্স অ্যান্ড সোসাইটির একটি আলোচনা অনুষ্ঠানে সোমবার শাবানা আজমি এ মন্তব্য করেন।
তিনি বলেন, ‘আইটেম গানে নারীরা পুরুষদের লোলুপ দৃষ্টির কাছে নিজেদের সঁপে দিচ্ছেন।’
সালমান খানের ‘দাবাং ২’ সিনেমায় ‘ফেভিকল’ গানটিতে কারিনা কাপুরের নাচের উদাহরণ দেন আজমি।
তিনি বলেন, ‘দয়া করে খেয়াল রাখবেন, যখন আপনি বলছেন ‘আমি তন্দুরি মুরগি, মদ দিয়ে আমায় গিলে ফেল’ এবং একটা চার বছরের মেয়ে তার সাথে নাচছে, তখন আপনি শিশুদেরকে শারীরিক সম্পর্কের প্রতি আকৃষ্ট করছেন। যেসব বাবা-মা এসব পছন্দ করেন এবং এবং বাচ্চাকে এতে উৎসাহ দেন তারাও এর জন্য সমানভাবে দায়ী।’
তিনি বলেন, ‘আইটেম গানের বিষয়ে আমার তীব্র আপত্তি রয়েছে। কারণ, এগুলো কাহিনীর অংশ নয়। সিনেমায় এগুলো রাখা হয় শুধুমাত্র সুড়সুড়ি দেয়ার জন্য, আর কিচ্ছু নয়।’
‘একটা মেয়ে বা প্রধান অভিনেত্রী যদি বলেন ‘এটা ঠিক আছে। আমি আমার আবেদনের গুণকীর্তন করছি’, তাহলে আমার কোনো আপত্তি নেই। কিন্তু নিজের ‘আবেদনের গুণকীর্তন’ করার নামে আপনি আসলে পুরুষদের দৃষ্টির কাছে আত্মসমর্পণ করছেন এবং নিজেকে পণ্যে পরিণত করছেন, কারণ সিনেমা হচ্ছে ছবি বা চিত্রের ব্যবসা।’
ক্যামেরা অ্যাঙ্গেল ব্যবহার করে যেভাবে খণ্ডিতভাবে নারীর শরীরের বিভিন্ন অংশ দেখানো হয় তাতে তাদের সম্পূর্ণ অস্তিত্বকেও অস্বীকার করা হয় বলে মন্তব্য করেন আজমি।
তার মেয়ে জোয়া আকতারের সিনেমা ‘জিন্দেগি না মিলেগি দোবারার’ উদাহরণ দিয়ে আজমি বলেন, ওই ছবিতে ক্যাটরিনা পানি থেকে সাঁতারের পোশাক পরে উঠে আসে। কিন্তু ক্যাটরিনা যে সাঁতারের প্রশিক্ষক এটুকু দর্শককে বুঝাতে যতক্ষণ লাগে ততক্ষণই তাকে ওই অবস্থায় দেখানো হয়েছে। ক্যামেরা ক্যাটরিনার কাছে নিয়ে দৃশ্যটাকে রগরগে করে তোলা হয়নি।