fbpx

বিয়ের পাঁচ দিনের মাথায় নববধূর লাশ

বিয়ের পাঁচ দিনের মাথায় ডোবায় নববধূর মাটিচাপা লাশ

বিয়ে হয়েছিল গত বৃহস্পতিবার। হাতে মেহেদির রং এখনও মুছেনি। কিন্তু এর আগেই তাকে লাশ হতে হলো। বিয়ের পাঁচদিনের মাথায় মিম নামে ওই নববধূর লাশ বাড়ির পেছনে একটি ডোবায় মাটিচাপা থেকে উদ্ধার করা হয়েছে।

ঘটনাটি ঘটেছে নাটোরের গুরুদাসপুরে। হতভাগা নববধূ মিমকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে বাড়ির পেছনে ডোবায় মাটি চাপা দিয়ে রাখা হয় বলে এ ঘটনায় আটক তার স্বামী ফরহাদ পুলিশের কাছে স্বীকারোক্তি দিয়েছে। এ ঘটনায় আরও চারজনকে পুলিশ আটক করেছে।

পুলিশ ও অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, মঙ্গলবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে নিহত মিমের লাশ মাটির নিচ থেকে উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসা হয়েছে। গত বৃহস্পতিবার হামলাইকোলের মনিরুলের মেয়ে মিমের সঙ্গে ঝাউপাড়ার তহিদুলের ছেলে ফরহাদের বিয়ে হয়।

রোববার গভীর রাতে নববধূ মিমের বাবা মনিরুলের কাছে জামাই ফরহাদ ফোনে জানায়, মিম একটি চিঠি লিখে জীবন নামে এক ছেলের সঙ্গে চলে গেছে। রাতেই সেখানে গিয়ে খবর নিয়ে বিভিন্নভাবে খোঁজাখুঁজি করে না পেয়ে মঙ্গলবার বিকালে থানায় অভিযোগ করেন মিমের বাবা মনিরুল।

পুলিশ ফরহাদ ও তার বাবা তহিদুলকে আটক করে থানায় নিয়ে এসে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের এক পর্যায়ে স্বীকার করে যে মিমকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করা হয়েছে। লাশ বাড়ির পেছনে ডোবার মধ্যে মাটিতে পুঁতে রেখেছে। সেই তথ্য অনুযায়ী, পুলিশ ফরহাদকে নিয়ে গিয়ে মাটির নিচ থেকে মিমের লাশ উদ্ধার করে।

এ ঘটনায় স্বামী ফরহাদ (২০), বাবা তহিদুল (৬০), আগের স্ত্রী ইমা (১৮), শ্বশুর তফের (৫৫),শাশুড়ি শুকজান বেগম ওরফে শুকিকে আটক করেছে পুলিশ।

নিহত মিমের বাবা মনিরুল জানান, আগের বউকে তালাক দিয়ে তার মেয়েকে বিয়ে করে। হত্যাকারীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান তিনি।

গুরুদাসপুর থানার ওসি দিলিপ কুমার দাস ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, মিমকে হত্যা করে মাটির নিচে লাশ পুঁতে রাখা হয়েছিল। লাশ উদ্ধার করা হয়েছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *