fbpx

প্রাকৃতিক উপায়ে পিত্তথলির পাথরকে নির্মুল করুন

প্রাকৃতিক উপায়ে পিত্তথলির পাথরকে নির্মুল করুন

পিত্তপাথর ( Gall stone) অতি বড় অসুখ। এই অসুখটি প্রায় প্রতিটি দেশের মানুষের মাঝে দেখা যায়। সাাধারণত বয়স বাড়ার সাথে এই রোগের প্রবণতা বাড়ে। ওজনাধিক্য বা স্থূলতা, রক্তে কোলেস্টেরল বা চর্বি বেশি থাকা, অতিরিক্ত তেল-চর্বিযুক্ত খাবার গ্রহণ এবং জন্মনিয়ন্ত্রণ বড়ি পিত্তথলিতে পাথরের ঝুঁকি বাড়িয়ে দেয়। তবে কোনো ঝুঁকি নেই—এমন ব্যক্তিরও পিত্তথলিতে পাথর হতে পারে। আর পুরুষদের তুলনায় নারীদেরই এ সমস্যা বেশি হতে দেখা যায়।

রোগের লক্ষণ সমূহঃ

(১) পেটে ব্যথাঃ উপর পেটের মাঝখানে ও ডান পার্শ্বে ব্যথা থাকে। এই ব্যথা হালকাভাবে এবং কখনো তীব্রভাবে হয়ে থাকে। ব্যথার স্থায়ীত্ব ৩ ঘন্টা থেকে ৩ দিন পর্যন্ত থাকে। এরপর ২ সপ্তাহ থেকে ৬ মাস পর্যন্ত ভাল থাকে। অনেক সময় এই ব্যথা ডান পার্শ্বের ঘাড়ে চলে যায়। তীব্র ব্যথা হলে রোগী কোন অবস্থায় স্বস্তি পায়না এবং এর সাথে বমি থাকে ও জ্বর হয়। পেট ফাঁপা থাকে।

(২) ক্ষুধামন্দাঃ একবার খাওয়ার পর আর সারাদিন খেতে ইচ্ছে হবে না। মনে হবে পেট ভরে আছে। কোন কিছুতেই রুচি আসবে না।

(৩) জন্ডিসঃ জন্ডিস কখনো কখনো দেখা দেয়।

(৪) জ্বরঃ কখনো মারাত্মক জ্বর হয়। শরীরে ঝাঁকুনি দিয়ে জ্বর আসে।

সমস্যা থেকে মুক্তি

আমরা চাইলে প্রাকৃতিকভাবে এই সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে পারি। আর তাই ঘরোয়া উপায়ে এই সমস্যা সমাধানের জন্য নিচের টিপস দেখতে পারেন।

বিটরুট ও গাজরের জুস (beetroot and carrot juice): পিত্তথলির পাথর প্রতিরোধে বিটরুট ও গাজরের জুসের তুলনা হয় না। বিটরুট গাছ থেকে বিটরুট ব্লেন্ডারে ব্লেন্ড করে জুস করুন, একইভাবে গাজর ও শশা থেকে জুস তৈরি করুন। এবার তিন রকম জুস সমপরিমাণ এক সাথে নিয়ে ভালোভাবে মিশান। দিনে দুইবার এই জুস খাওয়াতে আপনার সমস্যা দূর হবে।

আঁশযুক্ত খাবার (high fiber cereal): আপনার পিত্তথলির পাথরের সমস্যা দূর করতে উচ্চ ফাইবার বা আঁশযুক্ত খাবার খাওয়া জরুরী। আপনি আপনার খাবার তালিকা থেকে চিনি ও চর্বি যুক্ত খাবারগুলো বেছে বেছে বাদ দিয়ে সেখানে আপনার সকালে খাদ্যের মধ্যে প্রতিদিন উচ্চ ফাইবার খাদ্য শস্য যোগ করুন. এটি আপনার পিত্তশয়ের সমস্ত রোগ প্রতিরোধের সাথে সাথে পিত্তথলির পাথরের রোগ প্রতিরোধ করবে।

হলুদ (turmeric): পিত্তথলির পাথর রোধ করতে হলুদ একটি কার্যকরী উপাদান। হলুদের অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ও অ্যান্টিইনফ্লামেটরি উপাদান পিত্তথলির পাথর প্রতিরোধের একটি অন্যতম উপাদান। প্রতিদিন আধ টেবিল চামচ হলুদ গ্রহণ করাতে এ রোগের সম্ভাবনা ৮০% কমে যায়।

সবজি (Vegetables): প্রতিদিনেরখাবার তালিকায় উচ্চ ফাইবার সমৃদ্ধ সবজি যোগ করুন। আপনার অস্বাস্থ্যকর ফ্যাটযুক্ত খাবারের থেকে এটি যেমন আপনাকে সুস্থ আর ফিট রাখবে ঠিক একইভাবে আপনার পিত্তথলির পাথর প্রতিরোধ করবে।
প্রক্রিয়াজাতকৃত খাবার এড়িয়ে চলুন (avoid refined foods): এড়িয়ে চলুন বিভিন্ন প্রক্রিয়াজাতকৃত ও কৃত্রিম ফ্লেভার-রংযুক্ত খাবার। যেমন, লাল মাংস, আইসক্রিম, সাদা ময়দাপণ্য, কৃত্রিম মিষ্টি জাত পণ্য।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *