fbpx

ধেয়ে আসছে :

পৃথিবীর দিকে ধেয়ে আসছে জ্বলন্ত মহাকাশ কেন্দ্র

বিজ্ঞানীরা ধারণা করছেন- অকেজো হয়ে পড়া চীনা মহাকাশ স্টেশনের ধ্বংসাবশেষ সোমবারের মধ্যেই ভূপৃষ্ঠে এসে আছড়ে পড়বে। তবে কোথায় পড়বে তা এখনও কেউ ধারণা করতে পারছেন না।

টিয়াংগং-১ নামে এই মহাকাশ গবেষণা স্টেশনটি চীনের উচ্চাভিলাষী মহাকাশ কর্মসূচির অন্যতম প্রধান অংশ ছিল। চীনের লক্ষ্য হচ্ছে- ২০২২ সাল নাগাদ তারা মানুষের বসবাসের উপযোগী একটি মহাকাশ কেন্দ্র মহাশূন্যে পাঠাতে চায়। টিয়াংগং-১ ছিল তারই পূর্ব প্রস্তুতি।

২০১১ সালে মহাকাশ কেন্দ্রটি কক্ষপথে প্রবেশ করতে সমর্থ হয়। প্রায় সাত বছর পর এটি এখন ধ্বংস হয়ে পৃথিবীর দিকে ধেয়ে আসছে। চীনা ও ইউরোপীয় মহাকাশ বিজ্ঞানীরা ধারণা করছেন, সোমবার নাগাদ মাহাকাশ কেন্দ্রটি পৃথিবীর বায়ুমণ্ডলে প্রবেশ করবে। বায়ুমণ্ডলে ঢোকার সঙ্গে সঙ্গে এটিতে আগুন ধরে যাবে। তারপরও কিছু ধ্বংসাবশেষ মাটিতে এসে পড়বে।

চীনের মহাকাশ প্রকৌশল দফতর তাদের সোশ্যাল মিডিয়ায় নির্ভয় দিয়েছে, কোনো সায়েন্সফিকশন সিনেমার মতো ঘটনা ঘটবে না। বরঞ্চ দেখার মতো কোনো ঘটনা ঘটতে পারে, আকাশে উল্কাবৃষ্টির মতো দৃশ্য চোখে পড়তে পারে।

কোথায় এসে পড়বে এই মহাকাশ স্টেশন?

২০১৬ সালে চীন জানায়, টিয়াংগংয়ের সঙ্গে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে এবং তারা সেটিকে আর নিয়ন্ত্রণ করতে পারছে না। ফলে কোথায় গিয়ে সেটি পড়বে, তা বলা যাচ্ছে না। ইউরোপীয় মহাকাশ গবেষণা সংস্থা জানাচ্ছে, এটি নিউজিল্যান্ড থেকে শুরু করে যুক্তরাষ্ট্রের পশ্চিমাঞ্চলের মধ্যে কোনো এক জায়গায় গিয়ে পড়বে।

কীভাবে এটি বিধ্বস্ত হবে?

অস্ট্রেলিয়ার মহাকাশ গবেষণা কেন্দ্রের ড. এলিয়াস আবোটানিয়োস বলেছেন, বায়ুমণ্ডলে ঢোকার পর এটির পতনের গতি ক্রমে বাড়তে থাকবে। একপর্যায়ে এর গতি ঘণ্টায় ২৬ হাজার কিলোমিটারে পৌঁছাতে পারে।

তিনি বলেন, ভূপৃষ্ঠের ১০০ কিলোমিটারের মধ্যে পৌঁছানোর পর এটি গরম হতে থাকবে। ফলে এটি পুড়তে শুরু করবে। শেষ পর্যন্ত মাটিতে পড়ার আগে এর কত অংশ টিকে থাকে বলা কঠিন। কারণ এর গঠন নিয়ে চীন কখনও কিছু খুলে বলেনি।

ভয়ের কি কোনো কারণ রয়েছে?

বিজ্ঞানীরা বলছেন- না। যদিও এই মহাকাশ স্টেশনটির ওজন ৮.৫ টন, কিন্তু বায়ুমণ্ডলে ঢোকার সঙ্গে সঙ্গে এটি টুকরো টুকরো হয়ে যাবে। তবে যন্ত্রগুলো যেমন, তেলের ট্যাংক বা রকেট ইঞ্জিন হয়তো পুরোপুরি ভস্মীভূত নাও হতে পারে। যদি না হয়, তা হলেও এগুলো কোনো মানুষের ওপর এসে পড়বে সেই সম্ভাবনা খুবই কম। আবোটানিয়োস বলছেন- এসব ক্ষেত্রে ধ্বংসাবশেষের সিংহভাগই গিয়ে পড়ে সাগরে।

টিয়াংগং-১ কেমন মহাকাশ স্টেশন?

যুক্তরাষ্ট্র বা রাশিয়ার তুলনায় মহাকাশে চীনের যাত্রা অল্প দিন আগের ঘটনা। ২০০১ সালে প্রথম চীন মহাকাশে যন্ত্র পাঠায়। তার পর ২০০৩ সালে প্রথমবার চীনা কোনো নভোচারী মহাকাশে যায়।

খবর : বিবিসি অনলাইন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *