fbpx

নিঃস্বার্থ, পরোপকারী এবং পরিচ্ছন্ন রাজনীতি চর্চার এক উৎকৃষ্ট উদাহরণ এ কে এম সালাহ্ উদ্দিন টিপু

দেলোয়ার হোসেন মৃধা,  জেলা প্রতিনিধিঃ  নিঃস্বার্থ, পরোপকারী এবং পরিচ্ছন্ন রাজনীতি চর্চার এক উৎকৃষ্ট উদাহরণ এ কে এম সালাহ্ উদ্দিন টিপু।বীর মুক্তিযোদ্ধা পিতা আবু তাহেরের হাত ধরে ছাত্ররাজনীতির হাতেখড়ি।

মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের সন্তান হিসাবে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা লালন আর অসাম্প্রদায়িক রাজনীতি চর্চা করাই যার একমাত্র ব্রত। জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আদর্শ বাস্তবায়ন করতে গিয়ে লক্ষ্মীপুরের মুজিববাদী তাহের পরিবারের উপর প্রতিপক্ষ রাজনৈতিক দলের দমন পীড়ন ছিল নিত্যসঙ্গী। তবুও কখনও মুজিব আদর্শ বিচ্যুত হয়নি পরিবারটি।১৯৯০ সালে ছাত্ররাজনীতি শুরু করে ১৯৯১ সালে প্রথম পৌর ছাত্রলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হিসাবে দলের দায়িত্ব পালন শুরু করেন এ কে এম সালাহ্ উদ্দিন টিপু। ১৯৯২ সালে লক্ষ্মীপুর আদর্শ সামাদ উচ্চ বিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন।

১৯৯৫ সালে লক্ষ্মীপুর সরকারি কলেজ ছাত্রলীগের সদস্য এবং ১৯৯৬-৯৭ সাল মেয়াদে লক্ষ্মীপুর সরকারি কলেজ ছাত্র সংসদের সহ-সভাপতি (ভিপি) নির্বাচিত হন। স্কুল ও কলেজ জীবনে ছাত্র-ছাত্রীদের ন্যয্য দাবি আদায়ে সব সময় সচেষ্ট ছিলেন তিনি। কলেজ জীবনে ছাত্রদের মধ্যে ব্যাপক জনপ্রিয়তা অর্জন করায় খুব অল্প সময়ের মধ্যে এ কে এম সালাহ্ উদ্দিন টিপুকে ১৯৯৮ সালে জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি মনোনীত করেন কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ। ২০০৩ সাল পর্যন্ত দক্ষতার সহিত জেলা ছাত্রলীগের দায়িত্ব পালন করার পর কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের লিয়াকত শিকদার ও নজরুল ইসলাম বাবু পরিষদের সদস্য নির্বাচিত হন তিনি।
২০০১ সালে রাজনৈতিক পট পরিবর্তনের মধ্য দিয়ে চারদলীয় জোট সরকার ক্ষমতায় আসলে লক্ষ্মীপুরে মুক্তিযোদ্ধা তাহের পরিবারের উপর নেমে আসে বিভীষিকাময় এক পরিস্থিতি। এ সময় মুজিববাদী তাহের পরিবারের প্রত্যেকটি সদস্যকে রাজনৈতিক মামলায় কারাবরণ করতে হয়েছে। সে সময় তাহের পরিবারের উপর নেমে আসা রাজনৈতিক এই দুর্যোগের খবর নিতেন সয়ং জননেত্রী শেখ হাসিনা। অনেক যন্ত্রণা, ত্যাগ-তিতিক্ষা সহ্য করা এই ঐতিহ্যবাহী রাজনৈতিক পরিবারটি লক্ষ্মীপুরের আওয়ামী পরিবারের হাজারো অধিকার বঞ্চিত নেতা-কর্মীদের আশা-ভরসার শেষ আশ্রয়স্থল।
২০০৮ সালের ২৯ ডিসেম্বরের নির্বাচনে ভূমিধস বিজয়ের মধ্য দিয়ে জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন মহাজোট ক্ষমতায় আসলে ২০১২ সালে জেলা যুবলীগের ১ম যুগ্ম আহ্বায়কের দায়িত্ব পান এ কে এম সালাহ্ উদ্দিন টিপু। এরপর থেকে পুরো জেলায় ঘুরে দাঁড়াতে শুরু করে যুবলীগ। সালাহ্ উদ্দিন টিপুর দিক-নির্দেশনায় যুবলীগের নেতা-কর্মীরা পুরো জেলায় এক অপ্রতিদ্বন্দ্বী সংগঠনে রূপান্তরীত হয়েছে। অন্য যেকোনো সময়ের তুলনায় লক্ষ্মীপুরে যুবলীগ এখন দলীয়ভাবে অনেক শক্তিশালী সংগঠন। এরই মধ্যে ২০১৬ সালে যুগ্ম আহ্বায়ক থেকে আহ্বায়ক মনোনীত হন সালাহ্ উদ্দিন টিপু।
আহ্বায়ক হওয়ার পর যুবলীগকে আরো শক্তিশালী এবং আসন্ন ২০১৮ সালের জাতীয় নির্বাচনের উপযোগী করে সংগঠনকে গড়ে তুলতে প্রত্যেকটি ইউনিয়ন এবং ওয়ার্ড পর্যায়ে যুবলীগের নতুন নেতৃত্ব সৃষ্টি করার কাজ সম্পন্ন করেন তিনি। অপরদিকে রাজনৈতিক কর্মকান্ডের পাশাপাশি জনপ্রতিনিধি এবং সামাজিক ক্ষেত্রেও ঈর্ষণীয় সাফল্য অর্জন করেন এ কে এম সালাহ্ উদ্দিন টিপু। বিগত উপজেলা পরিষদের নির্বাচনে জননেত্রী শেখ হাসিনার মনোনীত প্রার্থী হিসাবে লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলা পরিষদে বিপুল ভোটের ব্যবধানে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন সালাহ্ উদ্দিন টিপু।
চেয়ারম্যান হিসাবে দায়িত্ব নেওয়ার পর উপজেলার সর্বত্র মানসম্মত শিক্ষার উন্নয়ন, স্যানিটেশন, গ্রামীণ রাস্তা-ঘাট ও অবকাঠামোগত উন্নয়ন, সামাজিক অস্থিরতা দূরীকরণ, বাল্যবিবাহ ও যৌতুক প্রতিরোধ করাসহ জনসাধারণের মধ্যে ব্যাপক আস্থা ও বিশ্বাস অর্জন করেন। যার ফলে সদর উপজেলায় আওয়ামীলীগের ভাবমূর্তি উজ্জল হয়েছে। বর্তমানে তিনি জেলা যুবলীগের নির্বাচনে বিনা প্রতিদন্ধিতা সভাপতি নির্বাচিত হন।সুনামের সহিত অর্পিত দায়িত্ব পালন করছেন।২০১১ সালে সালাহ্ উদ্দিন টিপুর প্রকাশণায় ও সম্পাদনায় লক্ষ্মীপুর জেলা শহর থেকে প্রকাশিত হয় দৈনিক ভিশন পত্রিকা। পত্রিকাটি লক্ষ্মীপুর ও নোয়াখালী জেলায় পাঠকদের মধ্যে ব্যাপক জনপ্রিয়তা ও আস্থা অর্জন করেছে।
এই পত্রিকাটি এখন জনগণের মধ্যে এবং প্রশাসনে ব্যাপক সমাদৃত। এছাড়াও সালাহ্ উদ্দিন টিপু লক্ষ্মীপুর বণিক সমিতির সভাপতি হিসাবে দায়িত্ব পালন করে ব্যবসায়ীদের মধ্যে ব্যাপক আস্থা ও বিশ্বাস অর্জন করতে সক্ষম হয়েছেন।
এসব দায়িত্ব পালনের পাশাপাশি আরো অনেক সামাজিক ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের দায়িত্ব পালন করছেন সালাহ্ উদ্দিন টিপু। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য প্রতিষ্ঠানগুলো হচ্ছে, সাধারণ সম্পাদক জেলা শিল্পকলা একাডেমী, যুগ্ম সম্পাদক জেলা ক্রীড়া সংস্থা, সভাপতি লক্ষ্মীপুর আইন কলেজ, সভাপতি কলেজিয়েট উচ্চ বিদ্যালয়, সভাপতি বিজয়নগর উচ্চ বিদ্যালয়, সভাপতি উত্তর মজুপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, নির্বাহী সদস্য লক্ষ্মীপুর প্রেসক্লাব, সাধারণ সম্পাদক রায়পুর-ঢাকা বাস মালিক সমিতি, সাধারণ সম্পাদক লক্ষ্মীপুর-চট্টগ্রাম বাস মালিক সমিতি, সভাপতি জেলা সিএনজি শ্রমিক ইউনিয়ন, সহ-সভাপতি রায়পুর-ঢাকা বাস মালিক গ্রুপ, ব্যবস্থাপনা পরিচালক নিউ আধুনিক হাসপাতাল (প্রাঃ), সহ-সভাপতি আজিমশাহ্ (রঃ) উচ্চ বিদ্যালয়, পরিচালক হলিগার্লস স্কুল এন্ড কলেজ, সভাপতি লক্ষ্মীপুর কমার্স কলেজ গভর্ণিং বডি, ট্রাস্ট সদস্য ও গভর্ণিং বডি, পাবলিক স্কুল এন্ড কলেজ, উপদেষ্টা প্রথম আলো বন্ধুসভা, লক্ষ্মীপুর। সালাহ্ উদ্দিন টিপু বীরমুক্তিযোদ্ধা আলহাজ্ব আবু তাহেরের মেজো ছেলে। মা’ নাজমা সুলতানা জেলা মহিলা আওয়ামীলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদিকা ছিলেন। বাবা আবু তাহের জেলা আওয়ামীলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক এবং বর্তমানে লক্ষ্মীপুর পৌরসভার মেয়রসহ আরো তিন মেয়াদে মেয়র হিসাবে দায়িত্ব পালন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *