fbpx

কোমর ব্যথার কারণ ও প্রতিকার

এমন মানুষ হয়ত পৃথিবীতে পাবেন না যিনি তার জীবনে একবারও কোমরে ব্যথা অনুভব করেননি।

মেরুদণ্ডের নিচের হাড়ের মধ্যবর্তী তরুণাস্থি বা ডিস্কের বার্ধক্যজনিত পরিবর্তনের ফলে এ ব্যথার সুত্রপাত হয়। তরুণাস্থির এই পরিবর্তনের সাথে সাথে মেরুদণ্ডের নিচের দিকে সংবেদনশীলতার পরিবর্তন হয়। সাধারণত এ পরিবর্তন ৩০ বছর বয়স থেকে শুরু হয়। অধিকাংশ ক্ষেত্রেই এ রোগের কোনো উপসর্গ থাকে না। তবে বয়স বাড়ার সাথে সাথে রোগের উপসর্গও বাড়তে থাকে

ব্যথার কারণঃ

কোমরের ব্যথার নানাবিধ কারণ রয়েছে এর মধ্যে অন্যতম হলোঃ

  • হাড়ের রোগ
  • মেরুদন্ডের কশেরুকার মাঝখানের ডিস্কের ডিজেনারেশন বা ক্ষয়প্রাপ্তি
  • ত্রুটিপুর্ণ দৈহিক গঠন
  • যে কোনভাবে আঘাত বা ঝাঁকুনি প্রাপ্তি
  • অপ্রত্যাশিত ওজন বৃদ্ধি
  • অধিক সময় ধরে একনাগাড়ে বসে থাকা বা দাড়িয়ে থাকা
  • বেশি বেশি যান বাহনে ভ্রমন করা
  • নরমাল বিছানায় শোয়া
  • মোভিং(রিভল্ভিং) চেয়ারে বসা
  • উঁচু হিলের জুতা পরা
  • ঠান্ডা ও স্যাতস্যাতে জায়গায় বাস করা
  • অধিক সময় শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত কক্ষে অবস্থান করা
  • অপরিমিত রতিক্রিয়া
  • বিশৃঙ্খল জীবন যাপন করা
  • কোন ভারি জিনিস হাতে ঝুলিয়ে বহন বা উত্তোলন করা ।

কোমর ব্যথার লক্ষণসমূহ

  •  দাঁড়ানো বা বসা অবস্থায় কোমর ব্যথা অনুভূত হওয়া
  •  কোমর থেকে উৎপন্ন ব্যথা পায়ে ছড়িয়ে পড়া
  •  নিতম্ব ও পায়ের মাংসপেশীতে ব্যথা
  •  পায়ের বিভিন্ন অংশে ঝিনঝিন, শিন শিন করা
  •  পায়ের বোধশক্তি কমে আসা, পর্যায়ক্রমে পায়ের অসারতা
  •  ধীরে ধীরে পা দুর্বল হয়ে পায়ের কার্যক্ষমতা লোপ পাওয়া
  •  চুড়ান্ত পর্যায়ে পঙ্গুত্ববরণ করা

প্রতিকারঃ

  • পরিকল্পিত ও পরিমিত মৃদু ব্যায়াম করা
  • ওজন নিয়ন্ত্রণে এবং প্রয়োজনে ওজন হ্রাস করা
  • ব্যথার স্থানে কুশুম গরম পানি ঢালা
  • মেরুদন্ড সোজা করে বসার অভ্যাস করা
  • কোনকিছু মাটি থেকে তুলতে কোমর বাঁকা না করে হাঁটু ভাঁজ করে তোলা
  • অবসর সময়ে বিছানায় আরাম করে শুয়ে হট ওয়াটার ব্যাগ দিয়ে ব্যথার স্থানে স্যাক নেয়া
  • একনাগাড়ে অনেক্ষন হাঁটাহাটিঁ না করা
  • কর্মস্থলে একনাগাড়ে বসে না থেকে কিছুক্ষন পরপর একটু হালকা হাটাহাটি বা নড়াচড়া করা
  • শক্ত বিছানায় ঘুমানোর অভ্যাস করা
  • অলিভ অয়েল কুশুম গরম করে ব্যথার স্থানে মৃদুভাবে মালিশ করা
  • সুশৃঙ্খল জীবন যাপন করা
  • কোমরে বেল্ট বেঁধে চলা ফেরা করা, যাতে কোনভাবেই কোমরে ঝাঁকুনি না লাগে
  • ভরা বালতি বা ভারী বাজারের ব্যাগ হাতে ঝুলিয়ে বহন না করা ।

ব্যাথার রোগীর খাবারঃ

ব্যথা হ্রাস বৃদ্ধিতে খাবারের ভূমিকা অনেক । তাই ব্যথার রোগীদের নিম্ন বর্ণিত খাবারের প্রতি যত্নবান হওয়া উচিতঃ

*আমাদের নিত্যকার খাবারের মধ্যে সবুজ শাক-সব্জি ও ফলমূল অন্যতম । এসব খাবারের মধ্যে রয়েছে প্রচুর ভিটামিন  এ, সি, ডি ও সাইট্রাস সমৃদ্ধ উপাদান । এগুলো অস্থিকে মজবুত ও অস্থির ক্ষয় রোধে সহায়তা করে । তাই খাবারের ব্যাপারে আমাদের বিশেষ গুরুত্ব দিতে হবে এবং বেশি সবুজ শাক-সব্জি ও ফলমূল খেতে হবে । তাছাড়া প্রতিদিনের খাবার হবে সহজ পাচ্য ও কম মসলাযুক্ত ।

চিকিৎসাঃ

কোমরের ব্যথায় সুনির্বাচিত আয়ুর্বেদিক ঔষধ বেশ ফলপ্রসু — যা বহুল পরিক্ষিত । লক্ষণসমষ্টি নির্ণয় করে রোগের হ্রাস-বৃদ্ধি ও ধাতুগত দিক বিবেচনায় রেখে নিম্নলিখিত ওষুধগুলো ব্যবহার করা যেতে পারেঃ ট্যাবলেট আরগোনিপ, ক্যাপসুল ম্যাক্সবোন-ডি,ক্যাপসুল ম্যাক্সজয়েন ।

Currentbdnews24.com

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *