fbpx

ঈদে সড়কে সংকট হলে নিজেই গিয়ে দাঁড়াবেন : কাদের

ঈদুল ফিতর উপলক্ষে ঘরমুখী মানুষের সড়কে কোনো দুর্ভোগ হবে না বলে আশ্বাস দিয়েছেন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। মন্ত্রী বলেন, ‘ঈদ উপলক্ষে ঘরমুখী মানুষের সড়কপথে যানজটের কারণে কোনো দুর্ভোগ হবে না। আমি আশ্বস্ত করে বলছি, সংকট হলে আমি নিজেই গিয়ে দাঁড়াব।’

বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআরটিএ) সদর দপ্তর ঢাকার তেজগাঁওয়ের এলেনবাড়ীতে আজ শনিবার ঈদ প্রস্তুতি সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভা শেষে সাংবাদিকদের কাছে এই মন্তব্য করেন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেন, ‘ঈদে সড়কের চিন্তায় আমার রাতের ঘুম অর্ধেক নষ্ট হয়ে গেছে।’

সেতুমন্ত্রী বলেন, ভারী বৃষ্টি হলে যান চলাচলে ধীরগতি হতে পারে, তবে থমকে যাবে না। নিয়মিত তদারকি করা হচ্ছে ও এবার সড়কের অবস্থা ভালো থাকবে বলে আশ্বাস দেন মন্ত্রী। ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের অবস্থা ভালো বলে মন্তব্য করেন মন্ত্রী। ঢাকা-এলেঙ্গা সড়কে চার লেনের কাজের জন্য খোঁড়াখুঁড়ি ঈদ উপলক্ষে কারণে বন্ধ থাকবে বলেও জানান।

চালকদের সতর্ক থাকার আহ্বান জানিয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, রাস্তায় চালকেরা মোবাইল ফোনে কথা বলতে পারবেন না। মোবাইল ফোনে কথা বলতে গিয়ে যেন দুর্ঘটনা না ঘটে, সেদিকে পরিবহন মালিকপক্ষের খেয়াল রাখতে হবে। কিছু কিছু বিষয়ে মানসিকতার পরিবর্তন না হলে রাস্তায় শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনা খুবই কঠিন বলে মন্তব  করেন তিনি।

ওবায়দুল কাদের বলেন, ঈদ উপলক্ষে সড়কপথেযাতায়াত নির্বিঘ্ন করতে ঢাকা মহানগরীর বাস টার্মিনালগুলোয় ভিজিল্যান্স টিম গঠন করা হয়েছে। উল্টো পথে যানবাহন চলাচলে কড়াকড়ি আরোপ করা হয়েছে। উল্টো পথে যেন কোনো ভিআইপি যাতায়াত করতে না পারেন, সে জন্য সজাগ থাকতে হবে। উল্টো পথে কোনো ভিআইপিকে যেতে দেওয়া হবে না। ১০ জন ভিআইপির জন্য লাখো মানুষের সমস্যা মেনে নেওয়া হবে না। সবার মানসিকতার পরিবর্তন করে উল্টো পথে না গিয়ে সঠিক পথে যাতায়াত করতে হবে। উল্টো পথে কোনো গাড়ি চলবে না।

ব্যাটারিচালিত যানবাহনের বিষয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, ঈদে ব্যাটারিচালিত কোনো যানবাহন মহাসড়কে চলবে না। ভারী যানবাহনও ঈদের তিন দিন বন্ধ থাকবে। ফিটনেসবিহীন গাড়ি হাইওয়েতে চলবে না। এগুলোর কারণে সড়কে প্রাণ ঝরছে।

এবার মহাড়কে অতিরিক্ত পুলিশ থাকবে বলে জানান মন্ত্রী।

https://currentbdnews24.com

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *