fbpx

আত্মঘাতী গোলে শেষ রক্ষা পিএসজি

আত্মঘাতী গোলে শেষ রক্ষা পিএসজি। প্রতিপক্ষের ডিফেন্ডার ম্যাথু দিবুশির অমন আত্মঘাতী গোল না হলে শেষরক্ষা হতো না ফ্রেঞ্চ জায়ান্টদের। অন্যদিকে, ম্যাচের শেষ যোগ হওয়া মিনিটে আত্মঘাতী গোলে নিজেদের মাঠে ১-১ গোলের ড্র নিয়ে সন্তুষ্ট থাকতে হয় এতিয়ানদের।

বল দখলে এগিয়ে থেকেও এতিয়ানের রক্ষণে ভয় ধরাণো আক্রমণে যেতে পারেনি পিএসজি। উল্টো ম্যাচের শুরুতে গোল খেয়ে পিছিয়ে যায় ফ্রেঞ্চ জায়ান্টরা। ১৭তম মিনিটে এতিয়ান ডিফেন্ডার ম্যাথু দিবুশির দুর্দান্ত ক্রস থেকে রেমি কাবেলার শট পিএসজির জালে জড়ালে ১-০ গোলে এগিয়ে যায় এতিয়ান। ২০ মিনিটের মাথায় আবারও ভালো সুযোগ তৈরি করে এতিয়ান। তবে গোলসংখ্যা বাড়াতে পারেননি দিবুশি-হামুমোরা। এরপর ছোটখাটো সুযোগ তৈরি করলেও গোলের দেখা পায়নি পিএসজি। উল্টো ম্যাচের ৩০তম মিনিটে পিএসজির কিমপেমবে নিজেদের ডি-বক্সে হামুমোরাকে পেছন থেকে টেনে ধরলে পেনাল্টির ফাঁদে পড়ে পিএসজি। কাবেলার পেনাল্টি শট পিএসজির গোলরক্ষক আটকে না দিলে প্রথমার্ধে অন্তত দুই গোল নিয়েই মাঠ ছাড়তে পারত স্বাগতিক এতিয়ান। সেটা আর হয়নি। তবে বেশ কয়েকবার ভালো সুযোগ তৈরি করেছিল ফরাসি এই ক্লাবটি। ম্যাচের ৪১তম মিনিটে আবারও ফাউল করেন কিমপেমবে। দ্বিতীয় হলুদ কার্ড দেখে তিনি মাঠ ছাড়লে ১০ জনের দলে পরিণত হয় পিএসজি।

দ্বিতীয়ার্ধে এগিয়ে থেকে মাঠে নামে এতিয়ান। এতিয়ান সমর্থকদের আতশবাজির লাল আলো আর ধোঁয়ায় স্টেডিয়ামে অন্য রকম পরিবেশ তৈরি হয় তখন। কে জানত তাদের এই উল্লাস, এই আনন্দ শেষ মুহূর্তে এসে দমকা বাতাসে নিভে যাবে! ৪৮তম মিনিটে ব্রাজিলিয়ান তারকা থিয়াগো সিলভাকে নামিয়ে ছন্নছাড়া রক্ষণে শৃঙ্খলা আনার চেষ্টা করে পিএসজি। দ্বিতীয়ার্ধে নিজের অস্তিত্ব জানান দেন ডি মারিয়া। বেশ কিছু ভালো সুযোগ তৈরি করেন এই আর্জেন্টাইন। যদিও তখন পর্যন্ত ধুঁকছিল পিএসজি। অন্তত একটা গোল করে সমতায় ফিরতে মরিয়া দলটি কিছুতেই কিছু করতে পারছিল না। কখনো অফসাইড, কখনো প্রতিপক্ষের দুর্দান্ত বাধায় ভেস্তে যায় সব আক্রমণ। উল্টো একের পর এক পাল্টা আক্রমণে পিএসজি শিবিরেই দ্বিতীয় গোল হজমের ভয় ধরে যায়। গোল ব্যবধান বাড়াতে ভালো কিছু সুযোগ হাতছাড়া করেন এতিয়ান খেলোয়াড়েরা।

ম্যাচের ৬৮তম মিনিটে আক্রমণে ডি মারিয়াকে সঙ্গ দিতে এডিনস কাভানিকে নামায় পিএসজি। কাভানিকে নামিয়ে কাজের কাজ তো হলোই না, উল্টো ৭৬তম মিনিটে গোলরক্ষককে একা পেয়েও বল জালে জড়াতে পারলেন না। ডি মারিয়ার কাছ থেকে অমন জায়গায় পাস পেয়ে কাভানির ওই মিস মৌসুমের সেরা মিসের একটির তালিকায় নিশ্চিতভাবে থাকবে। অবশ্য ম্যাচের যোগ হওয়া সময়ে (৯১তম মিনিটে) গোলমুখে দুর্দান্ত শট নেন কাভানি। সেটা আটকে দেন এতিয়ান গোলরক্ষক রাউফিয়ার।

ম্যাচের শেষ ২০ মিনিট খানিকটা চাপ তৈরি করে খেলতে সক্ষম হয় পিএসজি। তবু ম্যাচের ৯০তম মিনিট পর্যন্ত এগিয়েই থাকে স্বাগতিকেরা। যোগ হওয়া সময়ের দ্বিতীয় মিনিটে প্রথমার্ধে গোলের জোগান দেওয়া দিবুশির হাঁটুতে লেগে নিজেদের জালে বল না জড়ালে উল্লাস করেই মাঠ ছাড়ত এতিয়ান দর্শকেরা।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *