fbpx

অর্থ পাচারের তালিকায় আরও ২০ বাংলাদেশির নাম

প্যারাডাইস পেপারসে অর্থ পাচারের দ্বিতীয় তালিকায় আরও ২০ বাংলাদেশির নাম

বহুল আলোচিত প্যারাডাইস পেপারসের দ্বিতীয় তালিকায় বিতর্কিত ব্যবসায়ী মুসা বিন শমসেরসহ আরও ২০ বাংলাদেশির নাম এসেছে। এদের সবাই অবৈধভাবে বাংলাদেশ থেকে ইউরোপের মাল্টাতে অর্থ পাচার করেছেন। যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক অনুসন্ধানী সাংবাদিকদের সংগঠন ইন্টারন্যাশনাল কনসোর্টিয়াম অব ইনভেস্টিগেটিভ জার্নালিস্টস (আইসিআইজে) বুধবার রাতে এ দ্বিতীয় তালিকা প্রকাশ করে।

ইন্টারন্যাশনাল কনসোর্টিয়াম অব ইনভেস্টিগেটিভ জার্নালিস্টস (আইসিআইজে) অনুসন্ধানী

এর আগে সংগঠনটি গত বছরের ১৮ নভেম্বর প্রথম তালিকা প্রকাশ করেছিল। সেখানে ব্যবসায়ী আবদুল আউয়াল মিন্টু ও তার পরিবারের কয়েকজন সদস্যসহ দশ বাংলাদেশির নাম ছিল। এছাড়া ২০১৬ সালের এপ্রিলে প্রকাশিত একই সংগঠনের পানামা পেপারসের অর্থ পাচারের তালিকায় ছিল অন্তত ৫২ বাংলাদেশির নাম। সব মিলিয়ে সংগঠনটির অর্থ পাচারের তালিকায় এ পর্যন্ত ৮২ বাংলাদেশির নাম উঠল।

এ পাচারে ঘটনা প্রকাশ পাওয়ায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন সংশ্লিষ্টরা। তাদের মতে, দেশে বিনিয়োগ না হওয়ায় দেশের বাইরে অর্থ পাচার হচ্ছে। এমনকি সরকারের একজন সংশ্লিষ্ট মন্ত্রীও এ ব্যাপারে উদ্বিগ্ন।

এদিকে বাংলাদেশ ব্যাংক বলছে, নতুন করে প্যারাডাইস পেপারসে নাম আসা তালিকা যাচাই করে দ্রুত ব্যবস্থা নেয়া হবে। দুদকের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, বিষয়টি অফিসিয়ালি জানার পর তারা প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। পানামা পেপারস কেলেঙ্কারিতে জড়িতদের বিরুদ্ধে দুদকের অনুসন্ধান অব্যাহত রয়েছে।

আইসিআইজের ওয়েবসাইটে প্রকাশিত নতুন তালিকায় সারা বিশ্বের ৮৫ হাজার প্রতিষ্ঠান এবং ১ লাখ ১০ হাজার ব্যক্তির নাম রয়েছে। আইসিআইজে জানিয়েছে, সব মিলিয়ে এখন পর্যন্ত এ কেলেঙ্কারিতে প্রায় ৮ লাখ কোম্পানি এবং ৭ লাখ ২০ হাজারের বেশি ব্যক্তির কর ফাঁকির তথ্য পাওয়া গেছে।

দেশ থেকে অর্থ পাচার হচ্ছে বিষয়টি স্বীকার করে পরিকল্পনামন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল বলেন, বিনিয়োগ পরিস্থিতির উন্নতি হলে অর্থ পাচার ঠেকানো সম্ভব। তিনি বলেন, পাচারকৃত অর্থ বৈধ না অবৈধ উপায়ে অর্জন করেছে খতিয়ে দেখা জরুরি।

বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিটের দায়িত্বে থাকা বাংলাদেশ ব্যাংকের ডেপুটি গভর্নর আবু হেনা মোহাম্মদ রাজী হাসান যুগান্তরকে বলেন, যে কোনো উৎস থেকে আমাদের কাছে তথ্য এলে আমরা বিষয়টি যাচাই করি। অস্বাভাবিক কিছু পেলে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার জন্য দুর্নীতি দমন কমিশনে পাঠানো হয়। এর আগে যত তালিকা এসেছে, সবগুলোর ব্যাপারে এ ধরনের পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে। নতুন তালিকাগুলো যাচাই করে একই নিয়ম অনুসরণ করা হবে।

প্যারাডাইস পেপারসের দ্বিতীয় তালিকায় যাদের নাম এসেছে তারা হলেন

বির্তকিত ব্যবসায়ী মুসা বিন শমসের, ভেনাস ওভারসিস হোল্ডিংস কোম্পানি, ব্লক আই, বনানী, ঢাকা। ফজলে এলাহী চৌধুরী, ডাইনামিক এনার্জি হোল্ডিং, ৪২৪ ফার্স্ট ফ্লোর, রোড নং-৭, বারিধারা, ডিওএইচএস, ঢাকা। কেএইচ আসাদুল ইসলাম, ইন্ট্রিপিড গ্রুপ, ধানমণ্ডি, ঢাকা। জুলফিকার আহমেদ, খালেদা শিপিং কোম্পানি, ১৩২ ধানমণ্ডি আবাসিক এলাকা, রোড নং-৫, ধানমণ্ডি, ঢাকা। তাজুল ইসলাম, তাজুল জেক্সিমকো ট্রেড ইন্টারন্যাশনাল, চাষাঢ়া, নারায়ণগঞ্জ। মোহাম্মদ মালেক, বেঙ্গল শিপিংলাইন, ১০১ আগ্রাবাদ, চট্টগ্রাম। শাহনাজ হুদা রাজ্জাক, সাউদার্ন আইস শিপিং কোম্পানি, ঢাকা ইপিজেড। ইমরান রহমান, ওসান আইস শিপিং কোম্পানি, ইপিজেড ঢাকা। মোহাম্মদ এ আউয়াল, শামস শিপিং লিমিটেড, ৭৭ মাওলানা শওকত আলী রোড, লালখান, চট্টগ্রাম। এরিক জনসন আনড্রেস উইলসন, ডব্লিউ এমজি লিমিটেড, বাড়ি নম্বর-১৪, চতুর্থ তলা, রোড নং-১৩, সেক্টর-৪, উত্তরা, ঢাকা। ফারহান ইয়াকুবুর রহমান, ইন্ট্রিডিপ গ্রুপ, হাউস-৫, রোড নং-৫১, গুলশান, ঢাকা। তাজুল ইসলাম, জেক্সিমকো ট্রেড ইন্টারন্যাশনাল, বালুর মাঠ, চাষাঢ়া, নারায়ণগঞ্জ। আমানুল্লাহ চাগলা, পদ্মা টেক্সটাইল, বাড়ি-৪৫৮, লেট-৮, ডিওএইচএস, বারিধারা, ঢাকা। মোহাম্মাদ আতিকুজ্জামান, নিউটেকনোলজি ইনভেস্টমেন্ট, বর্তমান অবস্থান মস্কো, রাশিয়া। মোহাম্মদ রেজাউল হক, ঠিকানা উল্লেখ নেই, বর্তমান অবস্থান মাল্টা। মোহাম্মদ কামাল ভূঁইয়া। তুহিন সুমন, জেক্সিমকো ট্রেড ইন্টারন্যাশাল, বালুর মাঠ, চাষাঢ়া, নারায়ণগঞ্জ। মাহতাবা রহমান, সেলকন শিপিং কোম্পানি, বাড়ি নং-৮৭এ, রোড নং-৬, পুরাতন ডিওএইচএস, বনানী, গুলশান, ঢাকা। ফারুক পালওয়ান, জেক্সিমকো ট্রেড ইন্টারন্যাশনাল, নারায়ণগঞ্জ এবং মাহমুদ হোসাইন, গ্লোবাল এডুকেশন সিস্টেম, বর্তমান অবস্থান আয়ারল্যান্ড।

প্যারাডাইস পেপারস কেলেঙ্কারি

প্যারাডাইস পেপারস কেলেঙ্কারি হল- বিশ্বের ১৮০টি দেশের রাজনীতিক, তারকা ও বিত্তশালী ব্যক্তির অর্থনৈতিক লেনদেন ও মালিকানাসংক্রান্ত বিস্তারিত তথ্যের ডাটাবেজ। এ তালিকায় যাদের নাম রয়েছে তারা কর দেয়া থেকে বাঁচার জন্য করস্বর্গ হিসেবে খ্যাত বিভিন্ন দেশে বিনিয়োগ করেছেন। বাংলাদেশ থেকে যেহেতু বিদেশে বিনিয়োগের অনুমতি নেই, ফলে এ তালিকায় যাদের নাম রয়েছে, তাদের অর্থ পাচারকারী হিসেবে চিহ্নিত করা হয়। গত বছরের নভেম্বরে এ তালিকা প্রকাশ করে বিশ্বব্যাপী আলোড়ন সৃষ্টি করে যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক অনুসন্ধানী সাংবাদিকদের সংগঠন ইন্টারন্যাশনাল কনসোর্টিয়াম অব ইনভেস্টিগেটিভ জার্নালিস্টস (আইসিআইজে)। এতে তিন দফায় বাংলাদেশের ৫০টি প্রতিষ্ঠানের নাম উঠে এসেছে।

দুর্নীতি দমন কমিশনের মন্তব্য

দুর্নীতি দমন কমিশনের কমিশনার ড. নাসির উদ্দিন আহমেদ যুগান্তরকে বলেন, বিষয়টি আমরা জানার পর মন্তব্য করব। দুদকের জনসংযোগ কর্মকর্তা বলেন, বিষয়টি নিয়ে কাজ চলছে। তিনি বলেন, দুদকের পরিচালক মীর জয়নুল আবেদীন শিবলীর তত্ত্ব¡াবধানে একটি টিম পানামা ও প্যারাডাইস পেপারস কেলেঙ্কারির ঘটনা নিয়ে অনুসন্ধান করছে। নতুন করে যাদের নাম এসেছে তাদের বিষয়টিও দুদক থেকে খতিয়ে দেখা হবে বলে জানান তিনি।

দুদকের পরিচালক মীর জয়নুল আবেদীন শিবলীর নেতৃত্বে উপপরিচালক আখতার হামিদ ভূঁইয়া ও সহকারী পরিচালক মজিবুর রহমান পানামা ও প্যারাডাইস পেপারসে যাদের নাম এসেছে তাদের বিষয়ে অনুসন্ধান করছেন।

দুদক সূত্রে জানা গেছে, পানামা পেপারসে নাম আসা ১৫ জনকে এরই মধ্যে নোটিশ করা হয়েছে। এর মধ্যে ৯ জনের ঠিকানা সঠিক পাওয়া গেছে। অন্য ৬ জনের পরিচয় হচ্ছে- তারা অনাবাসিক বাংলাদেশি নাগরিক। তাদের বর্তমান ঠিকানা অস্ট্রেলিয়া। কিন্তু তারা বাংলাদেশের ঠিকানা ব্যবহার করে অফশোর ব্যাংক হিসাব খুলেছিলেন। দুদকের একজন দায়িত্বশীল কর্মকর্তা জানান, পানামা ও প্যারাডাইস পেপারসে যাদের নাম এসেছে এবং দুদক যাদের বিষয়ে অনুসন্ধান করছে তাদের তথ্য সংগ্রহ করে দেয়ার জন্য বাংলাদেশ ব্যাংকের বিএফআইইউ ও এনবিআরের সিআইসিকে অনুরোধ করা হয়েছে।

ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল অব বাংলাদেশের (টিআইবি) মন্তব্য

দেশ থেকে নানা উপায়ে অর্থ পাচারের বিষয়ে জানতে চাইলে দুর্নীতিবিরোধী আন্তর্জাতিক সংস্থা ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল অব বাংলাদেশের (টিআইবি) নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান যুগান্তরকে বলেন, প্যারাডাইস পেপারসে যেসব কোম্পানির নাম এসেছে তদন্ত করে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া উচিত। না হলে দেশে সুশাসন প্রতিষ্ঠা করা যাবে না। তিনি বলেন, দুদকের এ বিষয়ে আরও কঠোর হওয়া উচিত। কারণ দুদকই একমাত্র প্রতিষ্ঠান যার মাধ্যমে অর্থ পাচারের তদন্ত সম্ভব।

জানতে চাইলে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সাবেক অর্থ উপদেষ্টা ড. এবি মির্জ্জা আজিজুল ইসলাম যুগান্তরকে বলেন, দেশের মোট বিনিয়োগের ৭৫ থেকে ৮০ শতাংশ আসে বেসরকারি খাত থেকে। কিন্তু বেসরকারি খাতের বিনিয়োগ কমছে। এ কারণে টাকা পাচার হচ্ছে। তিনি বলেন, সরকারের সংশ্লিষ্ট সংস্থাগুলোকে বিষয়টি অবশ্যই খতিয়ে দেখতে হবে। কারণ একবার বিদেশে টাকা গেলে তা ফেরত আনা খুব কঠিন।

প্যারাডাইস পেপারসের প্রথম তালিকা

প্যারাডাইস পেপারসের প্রথম তালিকায় যে ১০ বাংলাদেশির নাম এসেছিল তাদের মধ্যে ছিলেন বিএনপি নেতা আবদুল আউয়াল মিন্টু এবং তার পরিবারের কয়েক সদস্য। এ তালিকায় একটি প্রতিষ্ঠানের নামও ছিল। এতে বাংলাদেশি ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের তালিকায় ক্রমানুযায়ী যারা ছিলেন তারা হলেন- আউয়াল-নাসরিন ফাতেমা, আউয়াল-তাবিথ মো. আউয়াল-তাফসির মোহাম্মদ, চৌধুরী-ফয়সাল, মিন্টু-আবদুল আউয়াল, মোগল-ফরিদা ওয়াই, উল্লাহ-শহিদ, তাজওয়ার মো. আউয়ালের অভিভাবক হিসেবে আবদুল আউয়াল মিন্টু, আহমাদ-সামির, আউয়াল-তাজওয়ার মোহাম্মদ। তালিকায় থাকা একমাত্র প্রতিষ্ঠানটি হল ব্রামার অ্যান্ড পার্টনার্স অ্যাসেট ম্যানেজমেন্ট (বাংলাদেশ) লিমিটেড। তাদের ঠিকানা হিসেবে ব্যবহার করা হয়েছে ৫০ মহাখালী বাণিজ্যিক এলাকা, ঢাকা-১২১২।

পানামা পেপারসেও দুই ধাপে অন্তত ৫২ বাংলাদেশির নাম

পানামা পেপারস : প্যারাডাইস পেপারস ছাড়াও এর আগে কর ফাঁকি ও অর্থ পাচার সংক্রান্ত সাড়া জাগানো অফশোর লিকস তথা পানামা পেপারসেও দুই ধাপে অন্তত ৫২ বাংলাদেশির নাম এসেছিল। এর মধ্যে বাংলাদেশের ৩৪ ব্যক্তি ও দুটি প্রতিষ্ঠানের নামে ৪৫টি অ্যাকাউন্ট রয়েছে। পাশাপাশি রয়েছে ২৩ জনের বাড়ির ঠিকানাও। প্রাপ্ত নথিপত্রে দেখা যায়, চার ব্যক্তির নামে দুটি করে অ্যাকাউন্ট রয়েছে। যৌথ অ্যাকাউন্ট রয়েছে দুটি। তালিকায় যাদের নাম ছিল তাদের মধ্যে আছেন- ব্যবসায়ী এএফএম রহমাতুল্লাহ বারী, ক্যাপ্টেন এমএ জাউল, সালমা হক, কাজী রায়হান জাফর, মির্জা এম ইয়াহইয়া, মোহাম্মদ জাহিদুল ইসলাম, নজরুল ইসলাম, সৈয়দা সামিনা মির্জা ও জুলফিকার হায়দার। আর প্রতিষ্ঠানটি হল বিবিটিএল। এছাড়া ফাঁস হওয়া পানামা পেপারসের নথিতে যেসব ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের নাম এসেছে তারা হলেন- আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য কাজী জাফরউল্লাহ ও তার স্ত্রী নিলুফার জাফর, মার্কেন্টাইল কর্পোরেশনের চেয়ারম্যান আজিজ খান, তার স্ত্রী আঞ্জুমান আজিজ খান, কন্যা আয়েশা আজিজ খান, ভাই জাফর উমায়েদ খান ও ভাগ্নে ফয়সাল করিম খান, ইউনাইটেড গ্রুপ অব কোম্পানির হাসান মাহমুদ রাজা, খন্দকার মঈনুল আহসান (শামীম), আহমেদ ইসমাইল হোসেন, আখতার মাহমুদ, স্কয়ার গ্রুপ অব কোম্পানিজের প্রতিষ্ঠাতা প্রয়াত স্যামসন এইচ চৌধুরী, বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব ফার্মাসিউটিক্যাল ইন্ডাস্ট্রিজের সাবেক প্রেসিডেন্ট ড. এএমএম খান, মমিন টির পরিচালক আজমত মঈন, পাট ব্যবসায়ী দিলিপ কুমার মোদি, সি পার্ল লাইনসের চেয়ারম্যান ড. সৈয়দ সিরাজুল হক, বাংলা ট্রাক লিমিটেডের মো. আমিনুল হক, নাজিম আসাদুল হক ও তারিক ইকরামুল হক, ওয়েস্টার্ন মেরিন শিপ বিল্ডার ক্যাপ্টেন সোহাইল হাসান, মাসকট গ্রুপ অব কোম্পানির চেয়ারম্যান এফএম জোবায়দুল হক, সেতু কর্পোরেশনের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মাহতাব উদ্দিন চৌধুরী, তার স্ত্রী উম্মে রব্বানা, স্পার্ক লিমিটেড ও অমনিকেমের চেয়ারম্যান ইফতেখারুল আলম, আবদুল মোনেম লিমিটেডের নির্বাহী ব্যবস্থাপনা পরিচালক এএসএম মহিউদ্দিন মোনেম, তার স্ত্রী আসমা মোনেম এবং অনন্ত গ্রুপের শরীফ জহির।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *