মেজরের স্ত্রীকে গলা কেটে ‘হত্যা’
ভারতের রাজধানী দিল্লির ক্যান্টনমেন্ট থেকে দেশটির মেজর অমিত দ্বিবেদীর স্ত্রী শৈলজা দ্বিবেদীরের (৩০) লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। এ ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে মেজর নিখিল হান্ডাকে উত্তরপ্রদেশের মেরঠ থেকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
২৩ জুন, শনিবার দুপুরে ক্যান্টনমেন্ট মেট্রো স্টেশনের রাস্তার ধার থেকে শৈলজার লাশ উদ্ধার করা হয়।
সংবাদমাধ্যম এনডিটিভির এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, শৈলজার সংসারে ছয় বছরের একটি ছেলে রয়েছে। শনিবার সকাল সকাল ১০টায় ফিজিওথেরাপির জন্য সেনা হাসপাতালে গিয়েছিলেন শৈলজা। কিন্তু নির্ধারিত সময়ে বাড়ি না ফেরায় খোঁজাখুঁজি শুরু করেন তার স্বামী মেজর অমিত দ্বিবেদী।
পরে দুপুর দেড়টার দিকে এক পথচারী ব্রার স্কোয়ারের কাছে নারীর লাশ পড়ে থাকতে দেখে পুলিশে খবর দেন। বেশ কয়েক ঘণ্টা পর শৈলজার দেহ শনাক্ত করা হয়।
প্রাথমিক রিপোর্ট বলছে, মেজরপত্নীকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে গলা কেটে ঠোঁট টুকরো টুকরো করে খুন করা হয়েছে। খুন করার পর একাধিকবার তাকে গাড়ি দিয়ে পিষে দেওয়া হয়।
তদন্তকারীরা জানিয়েছেন, হাসপাতালে গেলেও ফিজিওথেরাপির জন্য যাননি শৈলজা। অন্য গাড়িতে করে অন্যত্র গিয়েছিলেন। সেই গাড়িতে করেই তাকে নিয়ে গিয়ে খুন করা হয়। মাথায় আঘাত করে প্রথমে তাকে খুন করা হয় বলে অনুমান। পরে ধারালো বস্তু দিয়ে তাকে গলা কেটে খুন করা হয়। দুর্ঘটনা বোঝাতে বেশ কয়েকবার গাড়িতে পিষে দেওয়া হয়েছে তার দেহ। তার শরীরের আঘাতের চিহ্ন অনুযায়ী এটা পরিকল্পিত খুন বলে জানিয়েছেন পুলিশ।