ব্রেন স্ট্রোকের লক্ষণ ও প্রাথমিকভাবে করণীয়
মস্তিষ্কে রক্ত সরবরাহকারী রক্তনালীতে রক্ত জমাট বেঁধে বা মস্তিষ্কে রক্তক্ষরণ হয়ে যে অবস্থার সৃষ্টি হয় তাকে ব্রেন স্ট্রোক বলে।
সাধারণত বয়স্কদের এ সমস্যা দেখা যায়, বিশেষ করে যাদের উচ্চ রক্তচাপ আছে। মস্তিষ্কের রক্তনালীতে চর্বি জমে রক্ত সরবরাহ বাধাগ্রস্ত হয়। এতে মস্তিষ্ক প্রয়োজনীয় অক্সিজেন ও পুষ্টি থেকে বঞ্চিত হয়। এছাড়া রক্তনালী ফেটে মস্তিষ্কে রক্ত-গ্রহণ হতে পারে। নিম্নলিখিত কারণে ব্রেন স্ট্রোকের ঝুঁকি বেড়ে যায় –
- শরীরের অতিরিক্ত ওজন
- অলসতা
- অস্বাস্থ্যকর খাবার খাওয়া
- তামাক সেবন
- বংশগতি
- উচ্চ রক্তচাপ
- ডায়াবেটিকস
- রক্তে অতিরিক্ত চর্বি
- চল্লিশোর্ধ্ব বয়স ও
- মদ্যপান
ব্রেন স্ট্রোকের লক্ষণ
- কথা বলতে না পারা বা কথা অস্পষ্ট হয়ে যাওয়া
- প্রচণ্ড মাথাব্যথা
- মুখ বাঁকা হয়ে যাওয়া
- রোগীর একটি চোখ বন্ধ হয়ে যেতে পারে
ব্রেন স্ট্রোকের প্রাথমিক চিকিৎসা
- রোগীকে কথা বলতে উৎসাহিত করতে হবে
- রোগীর হাত ওপরে ওঠাতে বলতে হবে
- ব্যক্তি ব্রেন স্ট্রোকে আক্রান্ত হলে মুখ বাঁকা হবে এবং শুধু একটি হাত ওপরে ওঠাতে পারবে
- রোগীকে দ্রুত হাসপাতালে নিতে হবে
- হাসপাতালে নেয়ার আগ পর্যন্ত রোগীর শ্বাস প্রশ্বাস ও পালস দেখতে হবে
প্রয়োজনীয় সতর্কতা
- আক্রান্ত ব্যক্তিকে কোন প্রকার খাবার বা পানীয় দেয়া যাবে না তাতে চোকিং অবস্থার সৃষ্টি হতে পারে।
- ব্যক্তি অজ্ঞান হয়ে গেলে তার শ্বাসনালী খুলে দেয়ার ব্যবস্থা করতে হবে।
স্ট্রোকের ঝুকি কমানোর উপায় ঃ
স্বাস্থ্যসম্মত জীবনব্যবস্থা বজায় রাখলে অনেক খানি ঝুকি কমানো যায় :
- ব্লাড প্রেসার জানা এবং কন্ট্রোল করা
- ধুমপান না করা
- কোলেসটেরল এবং চর্বি জাতীয় খাবার না খাওয়া
- নিয়ম মাফিক খাবার খাওয়া
- সতর্ক ভাবে ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ করা
- নিয়ম করে হাটা বা হালকা দৌড়ানো
- দুশ্চিন্তা নিয়ন্ত্রণ করা
- মাদক না নেয়া , মদ্য পান না করা