কোটা নিয়ে ৭ সদস্যের কমিটি গঠন
সরকারি চাকরিতে বিদ্যমান কোটা পদ্ধতি পর্যালোচনা, সংস্কার বা বাতিলের বিষয়ে সাত সদস্যের একটি কমিটি গঠন করেছে সরকার। মন্ত্রিপরিষদ সচিব মোহাম্মদ শফিউল আলমের নেতৃত্বে কমিটিতে ছয়জন সচিবকে সদস্য হিসেবে রাখা হয়েছে।
২ জুলাই, সোমবার রাতে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় এই কমিটি গঠন করে। কমিটিকে ১৫ কর্মদিবসের মধ্যে প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে।
কমিটিতে যে ছয় সচিবকে সদস্য রাখা হয়েছে তারা হলেন, জনপ্রশাসন সচিব, অর্থ সচিব, লেজিসলেটিভ ও সংসদ বিষয়ক বিভাগের সচিব, সরকারি কর্মকমিশনের (পিএসসি) সচিব, মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব এবং প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত সচিব।
এর আগে সোমবার মন্ত্রিপরিষদ সচিব মোহাম্মদ শফিউল আলম সচিবালয়ে অনুষ্ঠিত মন্ত্রিসভার বৈঠকের সিদ্ধান্ত জানাতে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের জানিয়েছিলেন, চাকরিতে কোটা সংস্কার বা বাতিলের সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নে জটিলতা আছে, তাই সময় লাগছে।
মোহাম্মদ শফিউল আলম বলেন, ‘এটা সরকারের ঊর্ধ্বতন পর্যায়ে সক্রিয় বিবেচনাধীন আছে। আমাদের পর্যায়ে এখনো আসেনি। তবে আপনারা যত সহজভাবে এটা বিশ্লেষণ করছেন, তত সহজ নয়। জটিলতা আছে। অনেক বিচার-বিশ্লেষণ করে সিদ্ধান্ত আসবে। আমরা সেই আলোকে কার্যক্রম নেব।’
কতদিন সময় লাগবে জানতে চাইলে মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, ‘এটা অনুমান করা কঠিন। একটু সময় লাগবে মনে হচ্ছে।’
বাংলাদেশে সরকারি চাকরিতে প্রচলিত ব্যবস্থায় ৫৬ শতাংশ আসনে কোটায় নিয়োগ দেওয়া হয়ে থাকে। এর মধ্যে ৩০ শতাংশ রয়েছে মুক্তিযোদ্ধা কোটা। ১০ শতাংশ নারীদের জন্য, জেলাভিত্তিক ১০ শতাংশ, ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর জন্য ৫ শতাংশ ও প্রতিবন্ধীদের জন্য বরাদ্ধ রয়েছে ১ শতাংশ কোটা।
এ কোটা ব্যবস্থার সংস্কার দাবিতে আন্দোলনে নামে শিক্ষার্থীরা। আন্দোলনের এক পর্যায়ে ৮ এপ্রিল ঢাকার শাহবাগে আন্দোলনকারীদের ওপর পুলিশ লাঠিপেটা ও কাঁদানে গ্যাসের শেল ছুড়ে মারলে পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। পরে পরিস্থিতি শান্ত করতে ১১ এপ্রিল জাতীয় সংসদে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কোটা বাতিলের ঘোষণা দেন।
২৭ জুন, বুধবার জাতীয় সংসদে কোটা নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর কিছু বক্তব্য নতুন করে সংশয়ের জন্ম দিয়েছে বলে দাবি আন্দোলনকারীদের। ওই দিন বিরোধী দলের নেতা রওশন এরশাদ সংসদে মুক্তিযোদ্ধা কোটা বহাল রাখার দাবি করলে এ বক্তব্যের প্রশংসা করেন প্রধানমন্ত্রী।