সেঞ্চুরি হাঁকিয়েছেন তুষার ইমরান ও মোসাদ্দেক হোসেন সৈকত
বিসিএলের প্রথম রাউন্ডে সাউথ জোনের হয়ে হয়ে ইস্ট জোনের বিপক্ষে ১০৫ রানের ইনিংস খেলে দেশের প্রথম ব্যাটসম্যান হিসেবে ২৫তম সেঞ্চুরি হাঁকিয়েছেন তুষার ইমরান। আর ৩৫ রান করতে পারলে দশ হাজার রানের গৌরব অর্জন করবেন তিনি। তুষারের সতীর্থ মোসাদ্দেক হোসেন সৈকতও (১১০) সেঞ্চুরি পেয়েছেন।
চারদিনের ম্যাচের তিন দিন শেষ হলেও দুই দলের প্রথম ইনিংসই এখনও শেষ হয়নি। তুষারের দল পাঁচ উইকেট হারিয়ে ৩১৮ রান সংগ্রহ করেছে।
তুষার ১৬৩ বল খেলে ১০৫ রানের মাথায় অলক কাপালির বলে বোল্ড হন। ২২৬ বলে ১১০ রান করেন সৈকত।
আগের দিনের ৩ উইকেট হারিয়ে ১২৮ রান নিয়ে দিন শুরু করে সাউথ জোন। কুয়াশার কারণে এদিনও দিনের খেলা বিলম্বে শুরু হয়। ২২ রানে অপরাজিত থাকা তুষার প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে নিজের ২৫তম সেঞ্চুরি তুলে নেন চা বিরতির পরপরই।
১৬৩ বল খেলে ১০৫ রান করে বোল্ড হন অলক কাপালির বলে। তার ইনিংসে ছিল ১৮টি চারের মার। প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে ১৫৩তম ম্যাচ খেলে করেছেন ৯ হাজার ৯৬৫ রান। পরের রাউন্ড শুরু করবেন মাইলফলকের হাতছানিতে।
৪২ রান নিয়ে শুরু করা মোসাদ্দেক ফেরেন ১১০ রান করে। খেলেন ২২৬ বল। তার ইনিংসে ১১টি চার ও চারটি ছক্কা। ফিল্ডিংয়ের সময় কাঁধে চোট পাওয়ায় ব্যাটিং নিয়ে শঙ্কায় ছিল টিম ম্যানেজম্যান্ট। তবে দ্রুতই ফিট হয়ে ব্যাটিংয়ে নেমে প্রথম শ্রেণিতে নিজের অষ্টম সেঞ্চুরিটাও তুলে নিয়েছেন এ তরুণ।
আগের দিন ৫৯ রানে তিন উইকেট হারিয়ে চাপে পড়েছিল সাউথ জোন। সেখান থেকে জুটি গড়া তুষার-মোসাদ্দেকের লড়াই থামে ২৭৭ রানে। চতুর্থ উইকেটে ২১৮ রানের বড় জুটিই ম্যাচটাকে নিয়ে গেছে ড্রয়ের পথে।
এর আগে মুমিনুল হকের ক্যারিয়ার সেরা ২৫৮ ও জাকির হাসানের ১১৯ রানের সুবাদে ইস্ট জোন তুলেছিল ৫৫৮ রান।
এদিকে সিলেট আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামে অপর ম্যাচে সেঞ্চুরি পেয়েছেন সেন্ট্রাল জোনের ব্যাটসম্যান রকিবুল হাসান। বিসিবি নর্থ জোনের করা ৪৫৭ রানের জবাবে রকিবুলের সেঞ্চুরির (১০৫) পরও ভাল অবস্থানে নেই সেন্ট্রাল জোন। দিনের খেলা শেষে তাদের সংগ্রহ ৭ উইকেটে ২৩৪ রান।
আগের দিনের ৭ উইকেটে ৪৩৩ রান নিয়ে ব্যাটিং শুরু করা নর্থ জোন শেষ ৩ উইকেট হারিয়ে যোগ করে ২৪ রান। ডাবল সেঞ্চুরির আশা জাগানো জহুরুল ইসলাম অমি এদিন ৬ রান যোগ করে তাসকিন আহমেদের বলে আউট হন। ১৫৮ রানে থামেন জহুরুল।
তাসকিন আহমেদ চারটি, শুভাগত হোম তিনটি ও মোশাররফ হোসেন রুবেল নিয়েছেন দুটি উইকেট।