ধারাবাহিক ছন্দে আছেন মাশরাফি
আবাহনী এবার ঢাকা প্রিমিয়ার লিগের শিরোপা জিততে পারবে কি না, সেটি জানতে আরও অপেক্ষা করতে হবে।
শিরোপা ছোঁয়া হোক বা না হোক, এই প্রিমিয়ার লিগটা নিঃসন্দেহে স্মরণীয় হয়ে থাকবে মাশরাফি বিন মুর্তজার কাছে। উইকেট শিকারে যে সবাইকে পেছনে ফেলেছেন বাংলাদেশের ওয়ানডে অধিনায়ক।
লিগের শুরু থেকেই বল হাতে দুর্দান্ত মাশরাফি। সেটি ধরে রেখেছেন আজও। ফতুল্লায় শেখ জামাল ধানমন্ডি ক্লাবের বিপক্ষে দলের সেরা বোলিং তাঁরই। ১০ ওভারে ১ মেডেন দিয়ে ৪৬ রানে তুলে নিয়েছেন ৩ উইকেট। এর মধ্যে একটি আবার শেখ জামালের সেঞ্চুরিয়ান উন্মুক্ত চাঁদের। এই ভারতীয় ক্রিকেটারের ১০১ রানের সুবাদেই শেখ জামাল ৮ উইকেটে তুলেছে ২৫৬। বোলিংয়ের পর ব্যাটিংয়েও দারুণ কিছুর আশায় একটা ফাটকাই খেলেছেন মাশরাফি, নেমেছেন ওপেনিংয়ে। যদিও সুবিধা করতে পারেননি, আবু জায়েদের বলে বোল্ড হয়ে ফিরেছেন ৭ রানে। ৮৯ রানে ৫ উইকেট হারিয়ে আবাহনীও আছে বেশ বিপাকে। ২৯ ওভারে তাদের স্কোর দাঁড়িয়েছে ৬ উইকেটে ১১৩।
ব্যাটিং যেমনই হোক, মাশরাফির আসল পরিচয় তিনি বোলার। সেটি ধারাবাহিকভাবেই ভালো করে যাচ্ছেন বাংলাদেশ ওয়ানডে অধিনায়ক। এবারের প্রিমিয়ার লিগে মাশরাফি যেন নিজের তুখোড় তারুণ্যই মনে করিয়ে দিচ্ছেন বারবার। কদিন আগে অগ্রণী ব্যাংকের বিপক্ষে ‘ডাবল হ্যাটট্রিক’ করে হইচই ফেলে দিয়েছেন। এখনো পর্যন্ত ১৩ ম্যাচে ৩৫ উইকেট নিয়ে আছেন সবার ওপরে।
প্রতিদ্বন্দ্বিতায় এবার লিগে মাশরাফির ধারে–কাছেও কেউ নেই। ২৮ উইকেট নিয়ে দুইয়ে থাকা কাজী অনিকের মোহামেডান তো সুপার লিগেই উঠতে পারেনি। তাঁর আর মাশরাফিকে ‘চ্যালেঞ্জ’ জানানোর সুযোগ নেই! তিনে থাকা লিজেন্ডস অব রূপগঞ্জের আসিফ হোসেনের উইকেট ২৪। মাশরাফিকে ছাড়িয়ে যেতে হলে আসিফকে বাকি ৩ ম্যাচে অকল্পনীয় কিছু করতে হবে। বাস্তবতার বিচারে সেটি কঠিনই।
এখনো পর্যন্ত দৌড়ে যোজন এগিয়ে মাশরাফি। সমাপ্তিরেখার কাছাকাছি প্রায় চলে এসেছেন। এখন শুধু ‘ফিনিশিং’য়ের অপেক্ষা।