fbpx

‘হিথ স্ট্রিক’ গাড়ি থেকে নেমেই সোজা চলে গেলেন মিরপুর স্টেডিয়ামে

গাড়ি থেকে মিরপুর শের- ই-বাংলা স্টেডিয়ামে নেমেই সবার দিকে তাকিয়ে মুচকি হাসলেন। সোজা চলে গেলেন মাঠে, খানিক বাদে দেখা গেল মাশরাফি বিন মুর্তজার সঙ্গে পিচ নিয়ে আলাপ করছেন। মুশফিককেও বাঁধলেন উষ্ণ আলিঙ্গনে, বাংলাদেশ দলের বাকি অনেকের সাথে দেখা হতেই চললো লম্বা কুশল বিনিময়। হিথ স্ট্রিকের বাংলাদেশে ‘ফেরার’ প্রথম দিনটা কাটল পুনর্মিলনীর আমেজেই। দুই বছর বোলিং কোচের দায়িত্ব পালন করার পর মিরপুরের অনেক কিছুই তো তার খুব চেনা!

এখন অবশ্য স্ট্রিকের ভূমিকাটা বদলে গেছে, দায়িত্বটাও বেড়েছে। ছিলেন বাংলাদেশের বোলিং কোচ, এখন তিনি জিম্বাবুয়ের মূল কোচ। কী অদ্ভুত, সিরিজের আরেক প্রতিপক্ষ শ্রীলঙ্কার কোচ চন্ডিকা হাথুরুসিংহের সঙ্গেই বাংলাদেশে কাজ করেছিলেন দুই বছর। সিরিজটা পুনর্মিলনী হয়ে গেল কি না, এমন প্রশ্নও উঠে গেল। তবে স্ট্রিক বলছেন, বাংলাদেশের আগের অধ্যায়টা তার জন্য খুব বাড়তি কোনো ফায়দা এনে দেবে না। তার কথা, ‘এখন আর কারও গোপন কিছু নেই।’

‘আজকের দিনে তো এরকম অনেকেই সতীর্থ থেকে প্রতিপক্ষ হয়ে যায়। চন্ডিকার সাথে আমার সম্পর্ক ভালো ছিল, টেকনিক্যাল ডিরেক্টর খালেদ মাহমুদ সুজনের সঙ্গেও। আমার মনে হয় আমাদের সবার জন্য এটা হবে ভালো একটা চ্যালেঞ্জ। আমরা যেমন কন্ডিশনটা ভালো জানি, চন্ডিকাও জানে। বিপিএলেও অনেক শ্রীলঙ্কান ও জিম্বাবুইয়ান খেলেছে। আমার মনে হয় গোপন তেমন কিছু আর নেই। কে কতটা ভালো পরিকল্পনা করে সেটা কাজে লাগাতে পারছে সেটাই আসল কথা। ’

বাংলাদেশে দুই বছরের অধ্যায়ে কয়েকজনের কথাও বললেন আলাদা করে, ‘বাংলাদেশের খোঁজ খবর আমি নিয়মিতই রাখি। এখানে আমার বেশ ভালো কয়েকজন বন্ধু আছে। মাশরাফি, মুস্তাফিজ, তাসকিন। রুবেলের সঙ্গেও আমি অনেক সময় কাটিয়েছি। আমি চলে আসার পর তারা কেমন করেছে সেই খোঁজও আমি রেখেছি।’

হাথুরুর প্রসঙ্গও ঘুরে ঘুরে এলো। স্ট্রিক সহকারী হিসেবে তাকে তো খুব কাছ থেকেই দেখেছেন। হঠাৎ করে বাংলাদেশের দায়িত্ব ছেড়ে দেওয়ায় স্ট্রিক কি খানিকটা বিস্মিত? জিম্বাবুয়ের কোচ যেন হাথুরুর হয়েই কথাগুলো বলে দিলেন, ‘আমি তো ওই সময় এখানে ছিলাম না। তবে দিন শেষে চন্ডিকা একজন শ্রীলঙ্কান। নিজের দেশকে কোচিং করানোও অনেক বড় ব্যাপার। আমি নিশ্চিত বাংলাদেশের কেউ অন্য দেশে কাজ করলে আর তাকে এমন প্রস্তাব দেওয়া হলে তার পক্ষে সেটা ফিরিয়ে দেওয়া কঠিন হতো। ’

স্ট্রিক এরপর ব্যাপারটা আরও খোলাসা করেছেন, ‘আমার মনে হয় বাংলাদেশের হয়ে চন্ডিকা খুব ভালো কাজ করেছে। ওর অধীনে যে অনেক সাফল্য এসেছে, সেটা ভুলে যাওয়া উচিত হবে না। আর ওর পরিবার থাকে অস্ট্রেলিয়ায়। দীর্ঘদিন তাদের ছাড়া থেকে কোচিং করানোও কঠিন। আর দেশের প্রতিনিধিত্ব করতে কে না চায়, বলুন?’

জিম্বাবুয়ের কোচ হওয়ার জন্য স্ট্রিক কতটা গর্বিত, শেষ কথাতেই বোঝা যাচ্ছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *