৭ দিনের আল্টিমেটাম
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় উপাচার্যের বাসভবনে হামলার ঘটনার মামলায় ‘অজ্ঞাতনামা’ বিষয়টি সাধারণ শিক্ষার্থীদের হয়রানিতে ব্যবহার হচ্ছে, এমন অভিযোগ উঠেছে।
৭ দিনের মধ্যে তা প্রত্যাহারে দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ সাধারণ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদ। বুধবার বিকেলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় লাইব্রেরির সামনে দোষীদের শনাক্ত করে বিচারের আওতায় না আনলে এবং অজ্ঞাতনামা মামলা প্রত্যাহার না করলে দেশের সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ক্লাস পরীক্ষা বর্জনের হুঁশিয়ারি দেন তারা।
বাংলাদেশ সাধারণ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক নুরুল্লাহ নুর বলেন, ‘আমরা সম্পূর্ণ শান্তিপূর্ণভাবে কোটা সংস্কারের জন্য আন্দোলন করে আসছি।
মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর কাছে আমাদের এই দাবি যুক্তিসঙ্গত মনে হওয়ায়, সরকারি চাকরিতে কোটা বাতিলের ঘোষণা দেন। যার ফলে আন্দোলনরত ছাত্র সমাজ কর্মসূচি থেকে সরে আসে। এজন্য ছাত্ররা প্রধানমন্ত্রীকে ‘মাদার অফ এডুকেশন’ উপাধি দিয়েছে।’
তিনি অভিযোগ করেন, ‘আন্দোলনের পর থেকে আমাদের ভয়ভীতি দেখানো হচ্ছে। এজন্য আহ্বায়ক আজ আসতে পারি নি। আমরা যেখানে যাচ্ছি সেখানেই কিছু লোক অনুসরণ করছেন। আমাদের বিরুদ্ধে ফেইসবুকে লেখা হচ্ছে, একে খেয়ে দেন, মেরে ফেলুন, হল থেকে নামিয়ে দেন, ক্যাম্পাসে মারধর করুন। এমন আশঙ্কা থেকে অনেক সহযোদ্ধা হল থেকে বের হচ্ছে না।’
তিনি বলেন, ‘গতকাল (মঙ্গলবার) আপনারা দেখেছেন যে, প্রকাশ্যে ঢাকা মেডিকেলের পাশ থেকে ডিবি কিভাবে তুলে নিয়ে গিয়েছিলো। গামছা দিয়ে হাত বেঁধে কিভাবে আমাদেরকে নিয়ে গিয়েছিলো।
তারা নিয়ে গিয়ে কোনো কারণ ছাড়াই আবার ছেড়ে দিয়েছে। হয়তো তুলে নিয়ে যাবার সময় সবাই আমাদের দেখে ফেলেছে তাই ছেড়ে দিয়েছেন। কেউ না দেখলে হয়তো আমাদেরও গুম করতে পারতো।’