২ জনকে গুলি করে হত্যা
২ জনকে গুলি করে হত্যা খাগড়াছড়িতে
দু’জনকে গুলি করে হত্যা
খাগড়াছড়িতে পৃথক ঘটনায় দু’জনকে গুলি করে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা। সোমবার দুপুরে জেলা সদরের আপার পেরাছড়া এলাকায় সূর্য বিকাশ চাকমা নামে বিএনপির সাবেক এক নেতাকে গুলি করে হত্যা করা হয়।
এছাড়া রোববার রাতে দীঘিনালা উপজেলায় জুরন চাকমা নামে এক যুবক গুলিতে নিহত হন। তিনি ইউনাইটেড পিপলস ডেমোক্রেটিক ফ্রন্টের (ইউপিডিএফ) সাবেক কর্মী। এই দীঘিনালা থেকে জেনার চাকমা নামে আরেকজনকে অপহরণ করা হয়েছে বলে জানা গেছে।
সোমবার দুপুরে জেলা সদরের আপার পেরাছড়া এলাকার দয়ামোহন কার্বারী পাড়ায় একটি বাড়ির উঠানে বিজু উৎসবের দাওয়াতে ভাত খাচ্ছিলেন সূর্য বিকাশ চাকমা। এ সময় একদল দুর্বৃত্ত এসে তাকে বাইরে ডেকে নিয়ে গুলি করে পালিয়ে যায়। এতে সূর্য বিকাশ চাকমা ঘটনাস্থলেই মারা যান।
সূর্য বিকাশ ২০০১-০৬ সালে বিএনপির রাজনীতিতে সক্রিয় ছিলেন। একবার কমলছড়ি ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে প্রার্থী হয়ে হেরে যান। এরপর রাঙামাটিতেই অবস্থান করতেন তিনি।
খাগড়াছড়ির অতিরিক্ত পুলিশ সুপার এম এম সালাহউদ্দিন জানান, লাশ ময়নাতদন্তের জন্য খাগড়াছড়ি সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
এদিকে রোববার রাতে দীঘিনালা উপজেলার প্রত্যন্ত উন্দুয্যামা ছড়া এলাকায় জুরন চাকমাকে গুলি করে হত্যা করা হয়।
স্থানীয়রা জানান, জুরন ও তার বড় ভাই লক্ষ্মণ চাকমাসহ চারজন একসঙ্গে ছিলেন। হঠাৎ একদল সন্ত্রাসী এসে জুরনকে গুলি করে পালিয়ে যায়। ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয়। তিনি ১নং মেরুং ইউনিয়নের উন্দুয্যামা ছড়া এলাকার অনিন্দ কার্বারী পাড়ার বর্ণ চাকমার ছেলে।
এ ছাড়া একই দিন বিকেলে খাগড়াছড়ি থেকে বাড়ি ফেরার পথে দীঘিনালা স্টেশন থেকে জেনার চাকমাকে অপহরণ করে সন্ত্রাসীরা। কবাখালী ইউনিয়নের কৃপাপুর গ্রামের সুমতি রঞ্জন চাকমার ছেলে জেনার খাগড়াছড়িতে কম্পিউটার প্রশিক্ষণরত ছিলেন। এক সময় পিসিপির সঙ্গে কাজ করতেন তিনি।
এ দুটি ঘটনার জন্য ইউপিডিএফের পক্ষ থেকে জনসংহতি সমিতিকে (সংস্কারপন্থি) দায়ী করা হয়েছে। তবে জনসংহতি সমিতি অভিযোগ অস্বীকার করে বলেছে, বিভক্ত ইউপিডিএফের অভ্যন্তরীণ কোন্দলের কারণে এ ঘটনা ঘটতে পারে।
দীঘিনালা থানার ওসি শামসুদ্দিন ভূঁইয়া জানান, তারা এ দুটি ঘটনা সম্পর্কে কোনো অভিযোগ পাননি।