নিখোঁজ আইনজীবী
হত্যা মামলার আইনজীবী নিখোঁজ
প্রধান আইনজীবী রথীশ চন্দ্র ভৌমিককে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না
রংপুরে চাঞ্চল্যকর জাপানি নাগরিক হোসি কুনিও ও মাজারের খাদেম রহমত আলী হত্যা মামলার প্রধান আইনজীবী রথীশ চন্দ্র ভৌমিককে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। শুক্রবার (৩০ মার্চ) সকাল থেকে তিনি নিখোঁজ বলে জানিয়েছে তার পরিবার।শুক্রবার সকাল ৬টার দিকে রংপুর নগরীর বাবুপাড়ার বাড়ি থেকে একজন মোটর সাইকেল আরোহীর সঙ্গে বের হয়ে আর ফেরেননি তিনি। রংপুরে জঙ্গিদের হাতে জাপানি নাগরিক হত্যা মামলা ও মাজারের খাদেম হত্যা মামলার পিপি ছিলেন রথীশ চন্দ্র ভৌমিক। ওইসব মামলায় জঙ্গিদের ফাঁসির রায়ও হয়েছে।
স্ত্রী স্নিগ্ধা সরকারঃ
রথীশ চন্দ্র ভৌমিকের স্ত্রী স্নিগ্ধা সরকার বলেন, গতকাল শুক্রবার সকালে বাড়ি থেকে বের হয়ে আর তিনি আর ফিরে আসেননি। একজন মোটর সাইকেল আরোহীর সঙ্গে তিনি বাড়ি থেকে বের হন। কিন্তু দীর্ঘ সময় পেরিয়ে গেলেও তার কোনো খোঁজ পাচ্ছি না। আমি আমার স্বামীকে ফেরত চাই।
অ্যাডভোকেট রথীশ চন্দ্র ভৌমিকের ছোট ভাই সুশান্ত ভৌমিক জানান, শুক্রবার দাদাকে অপরিচিত একজন লোক মোটর সাইকেলে নিয়ে ডাকতে আসেন বাড়িতে। এরপর তার সঙ্গে দাদা বাড়ি থেকে বের হয়ে যান। এরপর থেকে তাকে আর খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। আত্মীয় স্বজন সকলের বাড়িতেও খোঁজ করেছি। কিন্তু কেউ তার বিষয়ে কিছু বলতে পারছে না। বিষয়টি আমরা পুলিশকে জানিয়েছি। কিন্তু তারাও কোন তথ্য দিতে পারছে না দাদার বিষয়ে। শনিবার রথীশ চন্দ্র ভৌমিককে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে এমন সংবাদ ছড়িয়ে পড়লে তার স্বজন, শুভাকাঙ্খী এবং আওয়ামী লীগের নেতারা তার বাবুপাড়ার বাড়িতে ভিড় করেন। এরপর এলাকার উত্তেজিত জনতা রংপুর-বগুড়া-কুড়িগ্রাম সড়ক অবরোধ করেন। এতে করে ওই সড়কে শত শত যানবাহন আটকা পড়ে।
এদিকে রংপুর তাজহাট উচ্চ বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি রথীশ চন্দ্র ভৌমিককে উদ্ধারের দবিতে ওই বিদ্যালয়ের শিক্ষক শিক্ষার্থীরা তাজহাট এলাকায় সড়ক অবরোধ করেন। এদিকে রংপুর লায়ন্স স্কুল ও কলেজের শিক্ষার্থী-শিক্ষকরাও রংপুর প্রেসক্লাবের সামনে মানববন্ধন করে তাকে দ্রুত উদ্ধারে প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।
রংপুর মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি সাফিউর রহমান ও সাধারণ সম্পাদক তুষার কান্তি মন্ডল জানান, রথীশ চন্দ্র ভৌমিক ছিলেন জেলা আওয়ামী লীগের আইন বিষয়ক সম্পাদক। তিনি জেলা আইনজীবী সমিতির যুগ্ম সম্পাদকের দায়িত্বেও রয়েছেন। কারা তাকে নিয়ে গেল কেন কোথায় নিয়ে গেল তা প্রশাসনকে খুঁজে বের করতে হবে।
রংপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আবু মারুফ হোসেন বলেন, বিষয়টি আমরা গুরুত্বের সঙ্গে খতিয়ে দেখছি। তবে এ ব্যাপারে এখনও কোন মামলা হয়নি।