স্রেফ উড়ে গেল বাংলাদেশ
উইন্ডিজের আগে আফগানিস্তানের সঙ্গে সিরিজ খেলেছিল বাংলাদেশ। ভারতের দেরাদুনে তিন ম্যাচের সেই সিরিজের সবকটি ম্যাচেই বাংলাদেশ আত্মসমর্পণ করেছিল। এবার উইন্ডিজেও তাই যেন শুরু হলো। ওয়ানডে সিরিজের হঠাৎ সুবাতাস পার করেই টি-টোয়েন্টিতে সেই পুরানো বাংলাদেশ। সেন্ট কিটসে এবার হার ৭ উইকেটে।
১ আগস্ট, বুধবার উইন্ডিজের বিপক্ষে চলমান আইপে সিরিজের প্রথম টি-টোয়েন্টি ম্যাচে সেন্ট কিটসে স্রেফ উড়ে গেল বাংলাদেশ দল। বৃষ্টি আইনে উইন্ডিজের সামনে লক্ষ্য দাঁড়াল ১১ ওভারে ৯১ রানের। মারলন স্যামুয়েলস সেই লক্ষ্যে ঝড় তুলে আউট হলেন, ঝড়ের বাকি দায়িত্ব সামলালেন আন্দ্রে রাসেল।
ক্রিস গেইল নেই। তাই বাংলাদেশ দলের অধিনায়ক সাকিব আল হাসান স্বস্তি খুঁজতে চেয়েছিলেন। কিন্তু দুর্ভাগ্য, দ্বিতীয় ও তৃতীয় ওয়ানডে ইনজুরির কারণে খেলতে না পারলেও, টি-টোয়েন্টিতে নেমে গেলেন আন্দ্রে রাসেল। ব্যস, গেইলের কাজটুকু তিনিই করে দিয়েছেন। বৃষ্টি বিঘ্নিত ম্যাচে ২১ বলে খেললেন ৩৫ রানের ইনিংস। ছিল তিনটি চার ও সমান সংখ্যক ছক্কা। সঙ্গে অপরাজিত তকমা। অন্যপ্রান্তে রোভান পাওয়েল ৯ বলে ১৫ রান তুলে অপরাজিত ছিলেন।
ইনিংসের প্রথম ৬ ওভারে মুস্তাফিজের তোপে পড়ে স্বাগতিকরা। তাতে হারায় ৩ উইকেট। বাঁহাতি পেসার মুস্তাফিজ ২ উইকেট তুলে নেন, রুবেল হোসেন নেন একটি উইকেট। তার আগে মারলন স্যামুয়েলস ১৩ বলে ২৬ রানের ইনিংস খেলে শুরুর কাজটি করে দিয়ে গেছেন। কিন্তু বাংলাদেশের মতো উইন্ডিজের দুই ওপেনারও সুবিধা করতে পারেনি।
এর আগে টস হেরে ব্যাট করতে নামা বাংলাদেশ মাত্র ৫ রানের ব্যবধানে দুই ওপেনার তামিম ইকবাল ও সাকিব আল হাসানকে হারায়। দুজনের কেউই রানের খাতা খুলতে পারেননি। সেখান থেকে দলের হাল ধরেন লিটন কুমার দাস ও সাকিব আল হাসান। দুজনে গড়েন ৩৮ রানের জুটি। লিটন ২৪ রান করে আউট হন। এরপর সাকিবও ফেরেন সাজঘরে। তার ব্যাটে আসে ১৯ রান।
প্রথম ১০ ওভারে উইকেট হারালেও, ৯৫ রান তুলেছিল বাংলাদেশ। কিন্তু শেষ ১০ ওভারে মুদ্রার ওপিঠ দেখতে হয়েছে। মাত্র ৪৮ রান পেয়েছে বাংলাদেশ। বলতে গেলে একা লড়েছেন মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। ২৭ বলে ৩৫ রানের ইনিংস খেলার পথে তেমন কাউকে বেশিক্ষণের জন্য পাননি। হয়তো তাই নিজেকেও বেশিক্ষণ উইকেটে রাখতে পারেননি।
বাংলাদেশের বিপক্ষে বল হাতে কেসরিক উইলিয়ামস ৪ উইকেট নিয়েছেন। অ্যাশলে নার্স ও কিমো পল নিয়েছেন দুটি করে উইকেট।