fbpx

প্রথম টি-টোয়েন্টি ম্যাচে ক্যারিবীয়দের কাছে পাত্তাই পায়নি বাংলাদেশ

প্রথম টি-টোয়েন্টি ম্যাচে ক্যারিবীয়দের কাছে পাত্তাই পায়নি বাংলাদেশ। ব্যাটিং, বোলিং ও ফিল্ডিং তিন ইভেন্টেই হতাশাজনক পারফরম্যান্স করেছে সাকিববাহিনী।

অথচ কিছুদিন আগেই ক্যারিবীয়দের বিরুদ্ধে ওয়ানডে সিরিজ ঘরে তোলে বাংলাদেশ। বুধবার তিন ম্যাচ সিরিজের টি-টোয়েন্টির প্রথমটিতে সেন্ট কিটস অ্যান্ড নেভিসের বাসেটেরে বাংলাদেশ সময় সকাল সাড়ে ৬টায় মাঠে নামে বাংলাদেশ। টস জিতে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন সাকিব আল হাসান। কিন্তু ব্যাটসম্যানরা তার সিদ্ধান্তের যথার্থতা প্রমাণ করতে ব্যর্থ হন।

ইনিংসের প্রথম বলেই ওয়ানডে সিরিজে দুর্দান্ত খেলা তামিম কোনও রান না করেই ফিরে যান। দলীয় পাঁচ রানে তার দেখানো পথে হাঁটেন অনেকদিন পর দলে ফেরা সৌম্য। যদিও তাকে দলে ফেরানো নিয়ে ছিল বিস্তর সমালোচনা। কিন্তু সুযোগ পেয়েও তিনি এদিন ছিলেন ব্যর্থ।

স্রেফ উড়ে গেল বাংলাদেশ
স্রেফ উড়ে গেল বাংলাদেশ

দলীয় ৪৩ রানে তৃতীয় উইকেট হিসেবে লিটন দাস ফিরে গেলে চাপেই পড়ে বাংলাদেশ। সে চাপটা আরও বাড়িয়ে দেন অধিনায়ক সাকিব আল হাসান পরের বলেই বিদায় নিয়ে। এরপর মুশফিক মাহমুদুল্লাহকে নিয়ে লড়াইয়ের আভাস দিলেও তা ভেস্তে দেন কেসরিক উইলিয়ামস। দলের হয়ে সর্বোচ্চ ৩৫ রান করে কেসরিকের স্লো বল না বুঝে বোল্ড হয়ে ফিরেন মাহমুদুল্লাহ।

শেষ পর্যন্ত বাংলাদেশ নির্ধারিত ২০ ওভারে ক্যারিবীয়দের সামনে লক্ষ্য দাঁড় করায় ১৪৪ রান। ক্যারিবীয়দের হয়ে কেসরিক ৪টি, নার্স ও পাওল ২টি এবং রাসেল ১টি উইকেট লাভ করেন।দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাটিংয়ে নামার আগেই ওয়ার্নার পার্কে বৃষ্টি নামে। যার কারণে বৃষ্টি আইনে ক্যারিবীয়দের সামনে ১১ ওভারে ৯১ রানের নতুন লক্ষমাত্রা নির্ধারণ করা হয়।

নতুন লক্ষ্যমাত্রায় খেলতে নেমে মুস্তাফিজের বোলিং তোপে পড়ে ক্যারিবীয়রা। নিজের প্রথম ও দলীয় দ্বিতীয় ওভারে কোনও রান না দিয়েই ক্যারিবীয় দুই ওপেনার ফ্লেচার ও লুইসকে প্যাভিলিয়নের পথ দেখান তিনি। এরপর মাঠে নেমে স্যামুয়েলস ও আন্দ্রে রাসেল বোলারদের ওপর স্টিমরোলার চালু করেন। স্যামুয়েলস আউট হওয়ার আগে ১৩ বলে ২ চার ২ ছয়ে ২৬ রান করেন।

শেষ পর্যন্ত রুবেল স্যামুয়েলসে থামাতে সক্ষম হলেও রাসেল তার স্বভাবসুলভ ব্যাটিং চালিয়ে যান। আর নির্ধারিত লক্ষ্যমাত্রার ১১ বল ও ৭ উইকেট হাতে রেখেই জয় তুলে নিয়ে মাঠ ছাড়েন রাসেল।

রাসেল শেষ পর্যন্ত ২১ বলে ৩ চার ও ৩ ছক্কায় ৩৫ রান তুলে অপরাজিত থাকেন। দুর্দান্ত ইনিংস উপহার দেয়ায় প্লেয়ার অব দ্য ম্যাচের পুরস্কার পান আন্দ্রে রাসেল। আর কোয়ালিটি খেলোয়াড়ের পুরস্কার পান মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ।বাংলাদেশের পক্ষে মুস্তাফিজ ২টি ও রুবেল একটি উইকেট লাভ করেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *