fbpx

সিরিয়ার সামরিক বিমানঘাঁটিতে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা

গতকাল সোমবার সিরিয়ার সামরিক বিমানঘাঁটিতে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালানো হয়েছে। সিরিয়া ও রাশিয়ার দাবি, ইসরায়েল এ হামলা চালিয়েছে। তবে ইসরায়েলের পক্ষ থেকে কোনো মন্তব্য করা হয়নি।

এর আগের দিনই যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এবং ফরাসি প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাখোঁ রাসায়নিক হামলার প্রেক্ষাপটে সিরিয়ার বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণের হুমকি দেন। তবে গতকালের হামলার পর দুই পক্ষই জানিয়েছে এর সঙ্গে তাদের সংযোগ নেই।

দৌমা প্রসঙ্গ নিয়ে গতকাল জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের আলোচনা হওয়ার কথা ছিল। ওই রাসায়নিক হামলায় অন্তত ৭০ জনের মৃত্যু হয়। সিরিয়ার সরকারি গণমাধ্যম জানায়, মধ্য সিরিয়ার টি-ফোর ঘাঁটিতে গতকাল দুপুরে ‘কয়েকটি ক্ষেপণাস্ত্র’ আঘাত হেনেছে। সরকারি সংবাদ সংস্থা সানা সামরিক সূত্রের বরাত দিয়ে জানায়, ‘টি-ফোর বিমানবন্দরে ইসরায়েল এফ-ফিফটিন যুদ্ধবিমান থেকে কয়েকটি ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালায়।’ রুশ সেনাবাহিনী জানায়, দুটি ইসরায়েলি এফ-ফিফটিন ঘাঁটিতে আটটি ক্ষেপণাস্ত্র ছোড়ে।

এর মধ্যে পাঁচটি ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষাব্যবস্থা নিয়ে ধ্বংস করে দেওয়া হয়। বাকি তিনটি ঘাঁটির পশ্চিমাঞ্চলে আঘাত করে।লন্ডনভিত্তিক মানবাধিকার সংস্থা দ্য সিরিয়ান অবজারভেটরি ফর হিউম্যান রাইটস জানিয়েছে, এই হামলায় ১৪ জন নিহত হয়েছে। এর মধ্যে সিরিয়ার সেনা কর্মকর্তা এবং ইরানি বাহিনীর সদস্য রয়েছে। অবজারভেটরির প্রধান রামি আবদেল রাহমান বলেন, হামলার সময় ওই ঘাঁটিতে সরকারের সহযোগী রাশিয়া, ইরান ও লেবাননের হিজবুল্লাহ সদস্যরা উপস্থিত ছিল। সিরিয়া শুরুতে এই হামলার জন্য যুক্তরাষ্ট্রকে দায়ী করলেও পেন্টাগনের এক মুখপাত্র জানান, ‘এইবার প্রতিরক্ষা দপ্তর সিরিয়ায় হামলা চালায়নি।

’ গত বছর সিরিয়ার বিদ্রোহী নিয়ন্ত্রিত খান শেইখুনে সরকারি বাহিনী রাসায়নিক হামলার পর যুক্তরাষ্ট্র সিরিয়া সরকারের একটি সামরিক ঘাঁটিতে হামলা চালায়। এবার রাসায়নিক হামলার অভিযোগ ওঠার পরও সিরিয়ায় ক্ষেপণাস্ত্র ফেলার হুমকি দেন ট্রাম্প।এ ছাড়া এর সঙ্গে ফ্রান্সের সংশ্লিষ্টতা থাকতে পারে বলে শুরুর দিকে মনে করা হচ্ছিল।

তবে ফরাসি সামরিক বাহিনীর মুখপাত্র সেই ধারণা নাকচ করে দেন। বিষয়টি নিয়ে একেবারেই মুখে কুলুপ এঁটে বসে আছে ইসরায়েল। দেশটির সামরিক মুখপাত্র এ নিয়ে কোনো মন্তব্য করতে অস্বীকৃতি জানালেও অতীতে ইহুদি দেশটি বহুবার সিরিয়ায় ইরানের তত্পরতা বৃদ্ধির বিরুদ্ধে অসন্তোষ জানিয়ে বিবৃতি দিয়েছে।

সিরিয়ায় ইসরায়েলি হামলার বিষয়টিও বিরল নয়। যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক গবেষণা প্রতিষ্ঠান নিউ আমেরিকান সিকিউরিটির বিশ্লেষক নিক হেরাস বলেন, ‘নানা দিক থেকেই টি-ফোরে হামলা চালানো ইসারায়েলের স্বার্থপন্থী। টি-ফোরে ইরানিদের উপস্থিতিই শুধু বেশি নয় আঞ্চলিক প্রভাব বিস্তারের ক্ষেত্রে এই ঘাঁটি তাদের কাছে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। দৌমা ছাড়ছে বিদ্রোহীরা : এদিকে পূর্ব গৌতার সর্বশেষ বিদ্রোহী নিয়ন্ত্রিত শহর দৌমা ছাড়তে শুরু করেছে জইশ আল ইসলামের বিদ্রোহীরা।

রাশিয়ার মধ্যস্থতায় হওয়া চুক্তি অনুযায়ী, অবরুদ্ধ শহরটির কয়েক হাজার বিদ্রোহী শহরটি ছাড়তে রাজি হয়েছে বলে জানিয়েছে সিরিয়ার রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যম। এর প্রথম পর্বে রবিবার একদল বিদ্রোহী শহরটি ছেড়ে যায়। চুক্তি অনুযায়ী, দৌমায় জইশ আল ইসলামের হাতে জিম্মি থাকা সরকারপক্ষের বন্দিদেরও মুক্তি দেওয়া হয়।

সূত্র : রয়টার্স।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *