শেখ হাসিনার প্রশংসায় বেগম খালেদা জিয়া
শেখ হাসিনার প্রসংশায় খালেদা জিয়া
২৬ মার্চ স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে দেশের সব কারাগারে উন্নত মানের খাবার পরিবেশন করা হয়। বাদ যাননি নাজিমউদ্দিন রোডে বন্দী বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া। এবারের স্বাধীনতা দিবস ছিল একটু বেশিই বর্ণময়, রঙিন, আনন্দমুখর। এর কারণ, বাংলাদেশ মাত্র ক’দিন আগেই উন্নয়নশীল দেশ হিসেবে আত্মপ্রকাশ করেছে।
মূলত: ২২ মার্চ থেকে ২৬ মার্চ পর্যন্ত উৎসবে রঙ্গিন ছিল বাংলাদেশ। বেগম জিয়া কারাগারে বসে বিটিভির সৌজন্যে এসব বর্ণময় উৎসব প্রত্যক্ষ করেছেন। আর এসব প্রত্যক্ষ করতে করতে শেখ হাসিনার প্রশংসাও করেছেন বেগম খালেদা জিয়া। বলেছেন, ‘শেখ হাসিনা একটা বিশ্বস্ত টিম পেয়েছে, আমি পেয়েছি কিছু বিশ্বাসঘাতক চাটুকার।’ কারাগারে কারারক্ষী ডেপুটি জেলার এবং চিকিৎসকদের সঙ্গে বিভিন্ন দফায় আলাপে শেখ হাসিনার ব্যাপারে খালেদা জিয়ার ‘মুগ্ধতা’র খবর পাওয়া গেছে। যেমন, ২২ মার্চ বাংলাদেশ যেদিন উন্নয়নশীল দেশ হিসেবে আত্মপ্রকাশ উৎসবে মাতল, সেদিন বেগম জিয়া বলেছিলেন, ‘প্রচারণা কি তা আওয়ামী লীগের কাছ থেকে আমাদের শেখা উচিৎ।’ ওই দিনই চিকিৎসকের কাছে তিনি বলেন, ‘আমিও তিনবার প্রধানমন্ত্রী ছিলাম। শেখ হাসিনাকে জেলে বন্দী করার চিন্তা স্বপ্নেও ভাবিনি। মনে করতাম, শেখ হাসিনাও কোনদিন আমাকে বন্দী করার পথে যাবে না। কিন্তু অবলীলায় যে এই সাহস দেখিয়েছে। এটা অবিশ্বাস্য, আমার কল্পনার বাইরে। ’
২৪ মার্চ ৬ আইনজীবী সাক্ষাৎ করেন বেগম জিয়ার সঙ্গে
২৬ মার্চ তাঁর জন্য পরিবেশন করা হয় পোলাও, মুরগীর রোস্ট আর খাসির মাংস । বেগম জিয়া দুপুরের খাবার খেতে খেতে দুই কারারক্ষীকে বলেন,‘আমাকে কি দেশের মানুষ মনে রেখেছে? নাকি ভুলেই গেছে?’ দুই কারারক্ষী বেগম জিয়াকে সান্ত্বনা দিয়ে বলেন ‘না, রোজই তো কেউ না কেউ কারা ফটকের সামনে আসছে।’ অন্যসময় হলে উজ্জ্বল হতেন একথা শুনে, কিন্তু স্বাধীনতা দিবসে ম্লান বেগম জিয়া বললেন,‘শেখ হাসিনা সবই পারে। দেখো, এমন পাবলিসিটি করবে যে মানুষ আমার নাম পর্যন্ত ভুলে যাবে। আমার নাম মুছে ফেলতে সময় নেবে না এই সরকার।’
৮ ফেব্রুয়ারি জিয়া এতিমখানা দুর্নীতি মামলায় ৫ বছরের কারাদণ্ডে দণ্ডিত হয়ে সাজা ভোগ করেছেন বেগম খালেদা জিয়া। আজ তাঁর সাজা ভোগের ৪৭ দিন পূর্তি হলো। বেগম জিয়াই এখন সহসা মুক্তির আশা ছেড়ে দিয়েছেন।
সূত্র: বাংলা ইনসাইডার