শক্তিমান চাকমার শেষকৃত্যে যাওয়ার পথে দুর্বৃত্তদের গুলিতে পাঁচ জন নিহত
নানিয়ারচর উপজেলা চেয়ারম্যান শক্তিমান চাকমার শেষকৃত্যের আনুষ্ঠানে যোগ দিতে যাওয়ার পথে দুর্বৃত্তদের গুলিতে পাঁচ জন নিহত হয়েছেন।
এ সময় আহত হয়েছেন আরো আট জন। শুক্রবার (৪ মে) সকাল ১১টার দিকে খাগড়াছড়ি-রাঙামাটি সড়কের নানিয়ারচরে বেতছড়ি ফরেস্ট টিলা এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। রাঙ্গামাটির পুলিশ সুপার মো. আলমগীর কবির এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। নিহতদের মধ্যে রয়েছেন গণতান্ত্রিক ইউপিডিএফের আহ্বায়ক তপন জ্যোতি চাকমা, জনসংহতি সমিতির (এমএন লারমা) সমর্থক সেতু লাল চাকমা, যুব সমিতির কেন্দ্রীয় সদস্য তনয় চাকমা, খাগড়াছড়ি জেলার মহালছড়ি উপজেলা যুব সমিতির সভাপতি সুজন চাকমা, সেতুলাল চাকমা ও তাদের বহনকারী গাড়ির চালক মো. সজিব।
জানা গেছে, এ ঘটনায় ঘটনাস্থলেই তিন জনের মৃত্যু হয়। হাসপাতালে নেওয়ার পথে মারা যান আরো দু’জন।হতাহতদের সবাইকে প্রথমে খাগড়াছড়ি জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। পরে সেখান থেকে আহত চার জনকে চট্টগ্রামে পাঠানো হয়েছে বলে জানিয়েছেন খাগড়াছড়ি হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসক ডা. নয়নময় ত্রিপুরা।
নানিয়ারচর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আব্দুল্লাহ আল মামুন তালুকদার জানিয়েছে, আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে। এলাকায় সেনাবাহিনী ও পুলিশ টহল জোরদার করা হয়েছে। উল্লেখ্য, গতকাল বৃহস্পতিবার (৩ মে) সকালে বাসা থেকে অফিসে যাওয়ার পথে সন্ত্রাসীদের গুলিতে নিহত হন রাঙ্গামাটির নানিয়ারচর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট শক্তিমান চাকমা। এ ঘটনায় এখনও কাউকে গ্রেফতার করতে পারেনি পুলিশ।
অ্যাডভোকেট শক্তিমান চাকমা পার্বত্য শান্তিচুক্তির প্রধান মধ্যস্থতাকারী ছিলেন। তিনি ২০১০ সালে সন্তু লারমার নেতৃত্বাধীন পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতি থেকে বেরিয়ে গিয়ে পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতি (এমএনলারমা) নামে গঠিত নতুন দলে যোগ দেন। সংস্কারপন্থি এ নেতা ছিলেন ওই সংগঠনের কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-সভাপতি।