fbpx

লিচুর গন্ধে মৌ মৌ আক্কেলপুরের হাট-বাজার

আক্কেলপুর উপজেলার হাট-বাজারে উঠতে শুরু করেছে দেশি প্রজাতির লিচু।

মাহবুবুর আলম , জয়পুরহাট প্রতিনিধি: এ মধুমাসে এখন গাছে গাছে লিচুর সমারোহ। পাকা লিচুর সুগন্ধে মুখরিত হয়ে উঠেছে উপজেলার বিভিন্ন বাড়িতে ও বিভিন্ন লিচুর বাগানগুলো। মৌমাছিরাও লিচুর ঘ্রাণ নিতে বাগানে ভোঁ ভোঁ শব্দ করে এ ডাল থেকে ও ডালে উড়ে বেড়াচ্ছে। এ যেন মনমুগ্ধোকর এক দৃশ্য। গাছমালিক, শ্রমিক, ব্যবসায়ী ও কৃষি বিভাগের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, এ অঞ্চলের সুস্বাদু লিচু মধু বৈশাখের ১৫ থেকে শুরু হলেও জ্যৈষ্ঠ মাসের প্রথমেই বাজারে উঠতে শুরু করেছে বিভিন্ন জাতের লিচু। দেশি প্রজাতির বোম্বে ও অন্যান্য লিচু বাজারে উঠার অপেক্ষায় রয়েছে।

সরেজমিনে উপজেলার বিভিন্ন এলাকা ঘুরে বাগান মালিকদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, এ বছর অতিমাত্রায় ঝড় বৃষ্টিপাতের কারণে বহু বাগানে লিচুর গুটি ঝরে যাওয়ার পরও বাম্পার ফলন হবে বলে আশা চাষিদের। এ আশায় বাগানমালিক ও বাগান ক্রেতা ব্যবসায়ীরা প্রচুর পরিচর্যা করেছে। লিচুর ফুল ও মুকুল আসা শুরু থেকেই তাদের গাছের গোড়ায়, ডাল ও আগায় পানি দিতে হয়েছে।

গাছের খাবার হিসেবে জৈব ও রাসায়নিক সার এবং ফলগাছের জন্য সামঞ্জস্যপূর্ণ স্প্রে নিয়মিত করতে হয়েছে। আত্রাই উপজেলার প্রতিটি ইউনিয়নের বিভিন্ন গ্রামে কমবেশি লিচুর বাগান রয়েছে। এসব বাগান এখন ছেয়ে গেছে মাদ্রাজি, চায়না, বোম্বাই, কাঁঠালি আর দেশি জাতের লিচুতে। বিগত বছরগুলোয় বাগান মালিকরা লিচু চাষে ব্যাপক লাভবান হওয়ায় এবারও অনেকে নতুন বাগান তৈরি করেছেন।

তবে কালবৈশাখী ঝড়ে বাগানগুলোতে লিচুর প্রচুর ক্ষতি হয়েছে। চাষিরা ক্ষতির আশঙ্কা করছে। মাঝখানে তীব্রখরায় চায়না থ্রি, চায়না ফোর ও বোম্বে জাতের লিচু গাছে ফেটে গেছে। ফেটে যাওয়া রোধ করতে লিচু গাছে নিয়মিত পানি স্প্রে করেছিল চাষিরা। জৈষ্ঠ মাসে প্রথম দিকে পর্যায়ক্রমে সব ধরনের লিচু বাজারে উঠবে। সবশেষে চায়না ও দেশি জাতের কাঁঠালি লিচু বাজারে আসবে।

দেশি কাঁঠালি লিচু ও আঁঠি লিচু বর্তমানে বাজারে ১৮০ থেকে ২০০ টাকা ‘শ’ বিক্রি হচ্ছে। একই দামে বিক্রি হয় চায়না থ্রি ও চায়না ফোর জাতের লিচু।উপজেলার কানুপুর গ্রামের মো: জিল্লুর রহমান জানান, এখন পর্যন্ত আবহাওয়া মোটামুটি লিচুগাছের অনুকূলে রয়েছে। ঢাকা, সিলেটসহ বিভিন্ন জেলার ব্যবসায়ীরা আগাম বাগান কিনে রেখেছেন।উপজেলার ভান্ডারিপাড়া গ্রামের মো: ছাইফুল ইসলাম জানান, গতবারের তুলনায় এবারে লিচু তার বাগানে অনেকটাই বেশি হয়েছে। বৃষ্টি ঝড় বেশি হওয়ায় ফলন কম হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।

নিরাপত্তা বিষয়ে বর্তমানে সমস্যা নেই, তবে এবার আমাদের সতর্ক দৃষ্টি রয়েছে। এ ব্যাপারে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আক্তারুজ্জামান হোসেন জানান, আক্কেলপুর উপজেলায় তেমন একটা লিচুর বাগান নেই তবে দিন দিন বাড়ছে। তিনি আরো বলেন, গত বছরের তুলনায় এবারও বাম্পার ফলনের সম্ভবনা রয়েছে। ফলন ভালো হওয়ায় দিন দিন উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় লিচু চাষ বাড়ছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *