লক্ষ্মীপুরে মাধ্যমিক স্কুলে জেএসসি রেজিস্ট্রেশন ফি বানিজ্য কর্তা-ব্যক্তিরা নিরব
লক্ষ্মীপুর প্রতিনিধি: জুনিয়র স্কুল সার্টিফিকেট (জেএসসি) পরিক্ষার্থীদের রেজিস্ট্রেশন করাতে জনপ্রতি পাঁচ গুন অতিরিক্ত ফি আদায় করছে মাধ্যমিক ও নিন্মমাধ্যমিক পর্যায়ের প্রতিষ্ঠানের প্রধানরা। শিক্ষা বোর্ডের নিয়ম অনুসারে শিক্ষার্থী প্রতি রেজিস্ট্রশন ফি ১০০ টাকা। সেই খানে আদায় করা হচ্ছে ১হাজার পযন্ত।
এ বছর লক্ষ্মীপুর জেলার,কমল নগর ৩১ টি,রামগতি ২৯ টি,রায়পুর ৫০টি, সদর ১১৭ টি, রামগঞ্জে ৫৬ টি মোট ১৮৩ টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে লক্ষাধীক শিক্ষার্থী জেএসসি পরিক্ষার জন্য রেজিস্ট্রেশন করেছে। এ হিসাবে কুমিল্লা বোর্ডের নির্ধারিত ফি ছাড়াও অবৈধভাবে আদায় করছে প্রায় অর্ধকোটি টাকা। দেখার যেন কেউ নেই। মাধ্যমিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতে অনিয়ম,দুর্নীতি ও শিক্ষার মানোন্নয়নে দেখভাল করার জন্য উপজেলা পর্যায়ে মাধ্যমিক শিক্ষা অফিস ও কর্মকর্তা থাকলেও অহরহ দুর্নীতির বিষয়ে রহস্যজনক কারনে তাঁরা কিছুই বলেন না।
অভিযোগ উঠেছে মাধ্যমিক প্রধানরা অর্থ গ্রহন করলেও ওই টাকার রশিদ দেন না। স্কুলের শিক্ষার্থীরা ও তাদের শিক্ষকদের রিরুদ্ধে কথা বলতে চায় না। এর ফলে প্রতিষ্ঠান প্রধানরা প্রকাশ্যে দুর্নীতি করে চলছেন। কুমিল্লা বোর্ডের ওয়েবসাইডে দেখা গেছে জেএসসি পরিক্ষার্থীদের বোর্ড ফি জনপ্রতি ধরা হয়েছে ১০০ টাকা বিলন্ব ফিসহ ১৩৫ টাকা। রেজিস্টে্শনের শেষ সময় বেঁধে দেওয়া হয়েছে ৬ এপ্রিল। বোর্ডের নির্ধারিত ঐ ফির এক টাকাও বেশি নিতে পারবেনা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো। সরেজমিনে গিয়ে শিক্ষার্থীদের সাথে কথা বলে এসব তথ্য জানা গেছে। এ প্রসংঙ্গে রায়পুর এলএম পাইলট উচ্চবিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মাহবুবুর রহমানন বলেন,আমাদের নানা রকম খরচ রয়েছে। একাধীকবার শিক্ষা বোর্ডে যাতায়াত করতে হয়। অনলাইন খরচ রয়েছে।
তা ছাড়া আমরা রশিদের মাধ্যমে ঐ ফি নিই। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে জেলা উপজেলার মাধ্যমিক স্কুল,মাদ্রসায় সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে অতিরিক্ত রেজিস্ট্রশন ফি ছাএছাএীদের কাছ থেকে আদায় করা হয়েছে। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান প্রধানদের দুর্নীতি প্রসংঙ্গে জানতে চাইলে জেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা শরিৎ কুমার চাকমা,বলেন, আমাদের কাছে কেউ অভিযোগ করে না। লিখিত অভিযোগ না ফেলে ব্যবস্থা নেওয়া যায়না।তবে তদন্ত করে বিষয়টি দেখা হবে।