fbpx

রায়পুরে পল্লী বিদ্যূতের দালাল রাশুর বিরুদ্ধে কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগ

দেলোয়ার হোসেন মৃধা,  লক্ষ্মীপুর প্রতিনিধি: লক্ষ্মীপুরের রায়পুর পৌরসভার বিদ্যুতের লাইনম্যান ইকবাল হোসেন রাসেদ ওরফে রাশু(৪৫) গত ১৫ বছরে বিদ্যূতের খুঁটি, তার, লাইন, মিটার পাইয়ে দিয়ে কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছে।এব্যাপারে পল্লী বিদ্যূৎ অফিসের একশ্রেনীর অসাধু কর্মকর্তা-কর্মচারী তাকে সাহায্য করেছে, বিনিময়ে তারাও পেয়েছে লক্ষ লক্ষ টাকা। অনুসন্ধানে জানা যায়, প্রতি মিটার সংযোগে ৫ থেকে ৫০ হাজার, পিলার বাবদ ৩০ থেকে ৮০ হাজার টাকা পর্যন্ত হাতিয়ে নিয়েছে।

গত ১৫ বছরে বিদ্যূতের দালালি করে সে কয়েক কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছে। অবৈধ টাকা দিয়ে প্রাসাদসম একটি বিলাস বহুল বাড়ি তৈরী করে আর একটি নির্মাধীন রয়েছে, ঢাকাও বাড়ির নির্মান কাজ চলিতেছে, কিছু দিন আগে রাশু নিখোঁজ হয়েছে বলে গুজব ছড়ানো হয়েছে। সে পৌর ৭নং ওয়ার্ড দক্ষিন কেরোয়া গ্রামের তপাদার বাজার এলাকার মৃত হাফিজউল্যা কেরানির ছেলে। এ ঘটনায় রোববার দুপুরে নিখোঁজ রাশুর বড় ভাই রায়পুর থানার এজাহার ভূক্ত অস্র মামলার আসামী মো: শামিম বাদি হয়ে রায়পুর থানায় সাধারন ডায়েরীকরেছেন (যারনং-১০০৮/১৮)। একাধিক সূত্রে জানা যায় সে বিদ্যুৎ এর মিটার, পিলার নিয়ে ব্রোকারী করে কোটিপতি রাশু সুরম্য অট্টালিকা তৈরি করে বিলাসবহুল জীবন যাপন করেন।

বিদ্যূতের নাম করে অনেকের কাছ থেকে লক্ষ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নিয়েছে। ভূক্তভোগী ঢাকায় অবস্থানরত দঃ কেরোয়ার এডভোকেট শামছু জানিয়েছে, বিদ্যূতের নাম করে তার কাছ থেকে রাশু ৭০ হাজার টাকা নিয়েছে। রায়পুর অঙ্গরুপা টেইলার্সের মালিক সুমন দক্ষিন কেরোয়া (#দরগা খোলা) থেকে দুই লক্ষ ৫০ হাজার টাকা নিয়েছে,পৌর ৭নং ওয়ার্ড বাহাদুর বাড়ির শাহআলম থেকে পিলার বাবত ৪০ হাজার টাকা নিয়েছে।

চৌধুরী মোল্লা বাড়ি থেকে গাছ কাটা জনু ও ছালে আহম্মদ গং থেকে পিলার বাবত ৩৫ হাজার মিটার বাবত ১০ হাজার টাকা করে নিয়েছে, দেলানি মোল্যা বাড়ি খোশেদ আলম ও রহমত উল্যা গং থেকে পিলার বাবত ৭০ হাজার মিটার বাবত ৮ হাজার টাকা করে নিয়েছে, মফিজ কেরানী কাঞ্চনপুর ভূঁইয়াজী পাটওয়ারী বাড়ি এলাকয় থেকে বিদ্যুৎ পাইয়ে দিবে বলে ৩ লক্ষ টাকা নিয়েছে। বাহাদুর বাড়ির মনির ওরফে আমির হোসেন থেকে পিলার বাবত ৩০ হাজার মিটার বাবত ১০ হাজার টাকা নিয়েছে।

এভাবে বহু লোকের কাছ থেকে টাকা হাতিয়ে নিয়েছে। অথচ তাঁর পরিবারের পক্ষ্য থেকে গুজব নাট্যক করে তাকে নিখোঁজ বলা হচ্ছে। অনেকের ধারনা, দেনার দায় ও প্রশাসনিক চাপ থেকে বাঁচার জন্য সে আত্মগোপনে গিয়েছে।এই ব্যাপারে জানতে চাইলে পল্লী বিদ্যুৎ এ.জি.এম সামছুল হক বলেন রাশু বিদ্যুৎ অফিসে মাঝে মাঝে আসে রায়পুর পৌর সভার ইলেক্টিসিয়ান হিসাবে জানি। সে লাইন মিটার পিলার পাইয়ে দেওয়ার মিডিয়া কারী সাধারণ গ্রাহক থেকে অতিরিক্ত টাকা নিচ্চে তা আমার জানা নাই

দরগাখলা মানুষ কে বলতে চাই যে যারা রাসু কে টাকা দিয়েছেন নতুন লাইনের জন্য তারা বাকী টাকা দিবেন না আপনারা সবাই বিদ্যুৎ অফিসে চলে যান, একটা দরখাস্ত করেন ডিজিএম বরাবর,তাড়াতাড়ি বিদ্যুৎ সংযোগ দেওয়া হবে অফিস কর্তৃপক্ষ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *