fbpx

রায়পুরে নিষিদ্ধ রেণুপোনা ধরার মহাউৎসব

প্রভাবশালী একটি চক্রের সহযোগীতায় প্রাচার হচ্ছে গলদা চিংড়ি রেণু রায়পুরে নিষিদ্ধ রেণুপোনা ধরার মহাউৎসব

রায়পুর (লক্ষ্মীপুর) প্রতিনিধিঃ মেঘনা উপকুলীয় লক্ষ্মীপুরের রায়পুর উপজেলা থেকে মৌসুমে প্রায় ৩শ কোটি টাকার গলদা চিংড়ি রেণু পোনা যায় দেশের দনিাঞ্চলে। নিষিদ্ধ হওয়া সত্ত্বেও বছরের চৈত্র থেকে জৈষ্ঠ্য মাস পর্যন্ত উপকুলীয় এলাকার প্রায় ১৭ হাজার জেলে মেঘনা নদী ও তার সংযোগ খাল থেকে এ পোনা সংগ্রহ করে।

জেলেদের সংগ্রহ করা পোনা কেনার জন্য যশোর, খুলনা, বাগেরহাট, সাতীরা, গোপালগঞ্জ ও মাদারীপুর থেকে মৌসুমের শুরু থেকে প্রতিদিন ব্যবসায়ীরা মেঘনা উপকূলে ভিড় জমাচ্ছেন। স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, মেঘনার চাঁদপুরের হাইমচর থেকে রামগতির আলেকজেন্ডার পর্যন্ত ১০০ কিলোমিটার নদী এলাকায় গলদা চিংড়ি পোনার অবাধ বিচরণ ত্রে। বছরের চৈত্র মাস থেকে জৈষ্ঠ্য মাস পর্যন্ত এ চিংড়ি চাষের উপযুক্ত সময়। এতে এ মৌসুমে মেঘনা পাড়ের প্রায় ২০ হাজার জেলে,শিশু, কিশোর, বৃদ্ধ ও মাঝারী বয়সের ছেলে মেয়েরা মশারী, নেট জাল, মশারী জাল, বিহিন্দি, কারেন্ট ও নেটওয়ার্ক জাল, ছাকনী, ও চাদর দিয়ে নির্বিচারে নিধন করছে চিড়িংর রেণু পোনা ( গলদা চিড়িং) ।

পোনা শিকারের সময় অন্যান্য প্রজাতির মাছের পোনাও মশারী ও জালে আসলে জেলেরা গলদা চিংড়ির পোনা বেছে নেন। এতে বিভিন্ন প্রজাতির মাছের পোনাও নিধন হয়। সংশ্লিষ্ট প্রশাসনকে ম্যানেজ করে নিরাপদ হিসাবে সড়ক পথ দিয়ে রায়পুর হয়ে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে প্রাচার হচ্ছে দেশের গলদা চিড়িং। এ নিষিদ্ধ রেণু পোনা ধরা, ও প্রাচারের সাথে সরাসরি সহযোগীতা করছেন সরকার দলীয় কিছু লোক। । তারা নিষিদ্ধ সময়ে কোটি কোটি জাটকা ইলিশ বাংলাদেশের বিভিন্ন জায়গায় প্রাচার করছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।

গতকাল মেঘনা পাড়ে গিয়ে যশোর, খুলনা, মাদারীপুর ও বাগেরহাট থেকে পোনা সংগ্রহ করতে আসা ব্যবসায়ী ও স্থানীয় জেলেদের সাথে কথা বলে জানা গেছে, উপকূলীয় নদী এলাকায় মৌসুমে গলদা চিংড়ির পোনার প্রায় ৩০০ কোটি টাকার লেনদেন হয়। পোনা সংগ্রহ করার জন্য দেশের দণিাঞ্চল থেকে ব্যবসায়ীরা এখানে আসেন। এ ব্যবসাকে ঘিরে নদীর পাড়ে বিভিন্ন স্থানে প্রতিদিন হাট বসে। ব্যবসায়ীরা জেলেদের কাছ থেকে প্রতিটি পোনা ২.৫ থেকে ৩ টাকা দরে ক্রয় করেন। তারা ড্রাম ও বড় পাতিল ভর্তি করে পিকআপ ভ্যান, মাঝারী ট্রাক, বাস যোগে দনিাঞ্চলে নিয়ে চিংড়ি ঘের মালিকদের কাছে প্রতিটি পোনা বিক্রি করেন ৫ থেকে ৬ টাকায় এবং পাশ্ববর্তী দেশ ভারতে বিক্রি করার কথা ব্যবসায়ীরা জানিয়েছেন।

ভারতে এই গলদা চিড়িং রেণু পোনার ব্যাপক চাহিদা রয়েছ্ েখুলনা কপিলমনি থেকে আসা পোনা ব্যবসায়ী রহমান ও খুলনার দেবীপুর মোঃ রেজাউল জানান, পোনা কেনার জন্য তারা তিন দিন আগে রায়পুরে এসেছেন। চাহিদা মত পর্যাপ্ত পোনা সংগ্রহ করতে না পারায় তারা স্থানীয় মেঘনা বাজার ও হাজিমারা বাজারে রাত্রি যাপন করেন। রহমান এ বছর ১০ লাখ পোনা সংগ্রহ করবেন বলে জানান। স্থানীয় হাজীমারা গ্রামের সাজু ব্যাপারী বলেন, ‘উপকূলের ২০ হাজার জেলে প্রতিদিন নদী থেকে গলদা চিংড়ির পোনা শিকার করে।

দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে ব্যবসায়ীরা এসে পোনা কিনে নিয়ে যান। এ মৌসুমে মেঘনা পাড়ের গলদা চিংড়ি শিকারীদের পকেট জমজমাট থাকে, মুখে থাকে হাসি।’ এ ব্যাপারে যোগাযোগ করা হলে রায়পুর উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা বেলায়েত হোসেন সবুজ বেলায়েত হোসেন সবুজ, (অ:দা) বলেন, এ বেপারে আমরা কয়েকটি ইউনিয়নে সচেতনতা সভা করেছি কোষ্ট গার্ডও তাদের দায়িত্ব পালন করছে। নদী থেকে গলদা চিংড়ির পোনা ধরা সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ। এ পোনা ছাকনি বা মশারী দিয়ে ধরার কারণে বিভিন্ন প্রজাতির মাছের পোনাও ধ্বংস হয়। জাটকার পাশাপাশি এ পোনা শিকারের বিরুদ্ধে আমাদের অভিযান চলছে। অতিদ্রুত প্রাচারীকারীদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *