fbpx

রাজস্ব ফাঁকি ,নিষিদ্ধ এসিড সরবরাহ কেন্দ্র লক্ষ্মীপুরে স্বর্ণ ব্যবসায়ের আড়ালে রমরমা সুদ বাণিজ্য

বছরের পর বছর কোটি টাকা রাজস্ব ফাঁকি ,নিষিদ্ধ এসিড সরবরাহ কেন্দ্র লক্ষ্মীপুরে স্বর্ণ ব্যবসায়ের আড়ালে রমরমা সুদ বাণিজ্য

দেলোয়ার হোসেন মৃধা লক্ষ্মীপুর প্রতিনিধি ঃ লক্ষ্মীপুর জেলা ব্যাপী অসংখ্য স্বর্ণের দোকান ব্যবসায়ের আড়ালে রমরমা সুদ বাণিজ্য চালিয়ে আসছে। শতকরা ৫টাকা করে মাসিক সুদে চক্রবৃদ্ধি হারে গ্রহকদের কাছ থেকে এ টাকা আদায় করা হয়। প্রচলিত অর্থনৈতিক ব্যবস্থাকে পাশ কাটিয়ে দীর্ঘদিন থেকে এ চওড়া সুদ বাণিজ্য চালিয়ে আসছে নব্য মহাজনরা।

তাদের কাছ থেকে চওড়া সুদে ঋণ নিলেও বন্ধক হিসাবে টাকার দ্বিগুণ স্বর্ণ জমা দিতে হয়। গ্রামের অসহায় মানুষ তাদের সর্বশেষ সম্বল তাদের হাতে উঠিয়ে দিয়ে এ সুদ বাণিজ্যের স্বীকার হয়। এক বছর মেয়াদ উত্তীর্ণ ঋণের ফলে বছরান্তে টাকা পরিশোধ করতে ব্যার্থ হলে গ্রহকের সমুদয় স্বর্ণ লোপাট করে দেওয়া হয়। এ বন্ধকে কোন ধরনের রশিদ না দেওয়ার ফলে গ্রাহকদের কোন প্রমাণ হাতে থাকে না। যার ফলে বছরের পর বছর কোটি কোটি টাকা রাজস্ব ফাঁকির মাধ্যমে এ ব্যবসা পরিচালিত হয়ে আসছে।

এসিড সন্ত্রাসের প্রধান উপাদান এসিড সরবরাহ হয়ে থাকে এসব স্বর্ণের দোকান গুলো থেকে। সরজমিনে অনুসন্ধান করে জানা যায়, লক্ষ্মীপুর সদর, চন্দগঞ্জ,মান্দারি, জকসিন বাজার, দালাল বাজার,হাজিরহাট, কমলনগর, রামগতি, আলেকজেন্ডার, রামগঞ্জে ও রায়পুর উপজেলায় হাট-বাজারের অলিগলিতে সারি সারি স্বর্ণের দোকানে দীর্ঘ দিন থেকে স্বর্ণ ব্যবসায়ের আড়ালে চওড়া সুদে ঋণের ব্যবসা করা হয়।

অধিকাংশ দোকান গুলোতে বাস্তবে কোন স্বর্ণ না থাকলেও যে কোন সময় বন্ধকের বিনিময়ে চওড়া সুদে এক বছর মেয়াদী ঋণ দেওয়া হয়। বছরান্তে গ্রাহক চক্রবৃদ্ধি হারে সুদে আসলে সমুদয় টাকা ফেরত না দিতে পারলে ঋণের চেয়ে দ্বিগুণ পরিমান মূল্যের স্বর্ণে খোঁয়াতে হয়।

যা প্রচলিত সকল আর্থিক নিয়মকে উপেক্ষা করে ব্যবসায়ীরা তাদের মন মত আইনে ব্যবসা করে আসছে। কয়েকজন ভুক্তোভোগী জানায়, বন্ধকী ঋণ নেওয়ার ফলে তাদের সর্বস্ব হারাতে হয়েছে। আবার বিভিন্ন উপজেলার হাট বাজার থেকে সাধারণ মানুষের আমানত কোটি টাকার স্বর্ণ নিয়ে পালিয়ে গেছে ভারতে। তার যতেষ্ট প্রমান রয়েছে।

নির্ভরযোগ্য একাধিক সূত্র জানায়, স্বর্ণ ব্যবসায়ীরা শুধু চওড়া সুদে ঋণের ব্যবসা নয় এর সাথে হুন্ডি,নিষিদ্ধ এসিড ব্যবসা, বৈদেশিক মুদ্রা ব্যবসা করে আসছে। এসিড সন্ত্রাসের মূল উপাদান নিষিদ্ধ এসিড এসব ব্যবসায়ীদের মাধ্যমেই সন্ত্রাসীদের কাছে সরবরাহ হয়ে থাকে। নাম প্রকাশ না করার শর্তে কয়েকজন স্বর্ণ ব্যবসায়ী জানায়, বিভিন্ন সিন্ডিকেটের মাধ্যমে তাদের নিকট এসব বৈদেশিক মুদ্রা ও এসিড সরবরাহ হয়ে থাকে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েকজন স্বর্ণ ব্যবসায়ী ও পাইকারী বন্ধক গ্রহিতার মালিক বলেন, আমরা দীর্ঘ দিন থেকে এ ব্যবসা চালিয়ে আসছি।

আমাদের নিকট ইনকাম টেক্স এর লোকেরা আসলে তাদেরকে আমরা বিভিন্ন ভাবে ম্যানেজ করি। প্রশাসনের লোকজনকে মাসিক চাঁদা দিতে হয়। বিভিন্ন সরকারি প্রোগ্রামে মোটা অংকের টাকা তুলে দিতে হয় এবং রাজনীতিক নেতাদের ম্যানেজ করা লাগে।এখানে কোন ধরনের রশিদ প্রয়োজন হয় না। আমরা প্রশাসনকে নিদিষ্ট হারে মাসোহারা দেয় বলেও জানায় তারা।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *