fbpx

রাজনীতিকে পরিনত করেছেন একটা শিল্পে, এমন একজন ব্যক্তিত্ব আলতাফ হোসেন হাওলাদার

দেলোয়ার হোসেন মৃধা, লক্ষীপুর জেলা প্রতিনিধি: আজ লিখতে চাই একজন এমন ব্যক্তিত্বের কথা যিনি রাজনীতিকেও পরিনত করেছেন একটা শিল্পে। যেখানে একবার ক্ষমতায় এসে পরবর্তীতে নিজের অবস্থান ধরে রাখাই কষ্টসাধ্য সেখানে জনগণের আস্থা বজায় রাখার ব্যক্তিকে আমি অন্তত একজন শিল্পী হিসেবেই আখ্যায়িত করতে চাই। বলছি রায়পুর উপজেলার চেয়ারম্যান মাষ্টার আলতাফ হোসেন হাওলাদারের কথা মেঘনা নদীঘেষা লক্ষীপুরের উওর ও পশ্চিমে রায়পুর উপজেলা। তবুও এখানে রাজনৈতিক মাঠ বেশ সরগরম। এখানকার চরাঞ্চলের গনমানুষের আস্থার প্রতীক নৌকা এবং মাষ্টার আলতাফ হোসেন হাওলাদারের নাম।তাই বর্তমানে চরাঞ্চলের রাজনীতির অঙ্গনটাও আওয়ামীলীগ কেন্দ্রিক।

কিন্তু রায়পুরে আওয়ামীলীগে রয়েছে বিভিন্ন ভাগ। বেশ কয়েকজন রাজনৈতিক নেতাই এখানে বিভাজিত হয়ে নিজ নিজ সেনা ও সৈনিক গড়ে তুলেছেন। তবে যে যাই গঠন করুক না কেন সবাই এই ব্যক্তির কাছে হার মেনে নিয়েছেন অবলীলায়। তিনি রায়পুর উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি হওয়ার যোর্গতা রাখেন, উপজেলা চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়ে সকলের অভিভাবক হয়েই আছেন। তার ব্যক্তিত্ব, স্বতন্ত্রতা ও মানুষের মন জয় করার অপরীসিম ক্ষমতা তাকে পরিনত করেছেন গনমানুষের নেতায়।

আগামী দশ পনেরো বছরে রায়পুর উপজেলায় তাঁর সমকক্ষ আ’লীগের নেতা আবির্ভূত হবে না এটাই প্রায় নিশ্চিত। একজন শিক্ষক হিসেবে তাঁর পথচলা শুরু। তাই শিক্ষার দিক থেকে তিনি অনেকটাই এগিয়ে। রাজনীতিতে প্রবেশ করে নানা ঘাত প্রতিঘাত পেড়িয়ে বারবার তিনি রায়পুরের চরাঞ্চলের নিশ্চিত করেছেন আ’লীগ ও নৌকার অবস্থান। নিজ যোগ্যতায় অর্জন করে নিয়েছেন উপজেলা আ’ লীগ সন্মানীত সদস্য এবং ২নং উওর চরবংশী ইউনিয়ন সভাপতির সম্মান, বর্তমান রায়পুর উপজেলার জনপ্রিয় চেয়ারম্যানের পদ অলংকৃত করেছেন। এবং রায়পুর উপজেলা আ’লীগের চেয়ারম্যান হিসেবে শপথ নিয়ে তিনি রায়পুরবাসীকে করেছেন গর্বিত।

জেলার রায়পুরকে আওয়ামী শক্ত ঘাটিতে পরিনত করার পিছনে তাঁর অবদান অপরীসিম ভুমিকা রাখছে। রায়পুর উপজেলা আ’ লীগের বেশীর ভাগ নেতার জনপ্রিয়তা ধস নেমেছে, একমাএ মাষ্টার আলতাফ হোসেন হাওলাদার তিনি তাঁর জনপ্রিয়তা ধরে রেখেছেন। প্রতিদিন তাঁর এলাকায় দলীয় কার্যালয়ে শতাধীক নেতাকর্মির গভীর রাত পযন্ত মিলনমেলা বসে। সবার জন্য নিয়মিত আম্পায়নের ব্যবস্থা করেন তিনি দলীয় কোন মিছিল মিটিং তিনি ১০/১২ হাজার মানূষের সমাগম গঠিয়ে জেলা উপজেলায় আলোচনায় আসেন।সেটা রায়পুর উপজেলার নামী দামী নেতার ক্ষেএে দেখা যায় না। প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ ভাবে চরাঞ্চলের তথা রায়পুর আ’লীগের জনপ্রিয়তার এ কৃতিত্বের বড় অংশীদার তিনি।

ব্যক্তি জীবনে নামাজি,সদা আলাপী হাসিখুশি মানুষটি তাঁর পরিবারকেও গড়ে তুলেছেন আপন আলোয়। তিনি রাজনৈতিক অঙ্গনে পরিচিত হয়েছেন সুশিক্ষিত ও ভদ্র ব্যক্তিত্ব হিসেবে। হয়তো রাজনীতিগত কারনে হতে হয়েছে কঠোর, নিতে হয়েছে কিছু অপ্রীতিকর সিদ্ধান্ত। কিন্তু কখনই গনমানুষকে তিনি ত্যাগ করেন নি। চারদিকে এই ক্যাডার রাজনীতির যুগে তার একজন বডিগার্ডও নেই। তিনি রায়পুরের বুকে নিশ্চিন্তে চলাচল করেন, কারন তিনি জানেন মানুষ তাকে ভালোবাসে। টং দোকানে চা খেতেও তিনি অভ্যস্ত। তিনি রাজনীতি করেন মেধা ও মননশীলতা দিয়ে। আধুনিক চিন্তাভাবনা। তবে বর্তমানে একটি মহল তার বিরুদ্ধে চালাচ্ছে অপপ্রচার। ব্যক্তিগত স্বার্থের জন্য নষ্ট হচ্ছে দলীয় ও নৌকার ইমেজ। আর এর সুযোগ নিচ্ছে বিরোধী দলগুলো। সোস্যাল মিডিয়া অনিয়ন্ত্রিত ব্যবহারে রায়পুরের রাজনীতি আজ কর্দমক্ত। তাই আষাঢ় ঘনিয়ে আশার আগেই এই বৈশাখী ঝড় বন্ধ হওয়া উচিৎ বলেই সাধারণ জনগণ মনে করেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *