fbpx

কবি সুফিয়া কামাল হল থেকে :

মধ্যরাতে ছাত্রী বের করে দেয়ার ঘটনায় প্রতিবাদ

কবি সুফিয়া কামাল হল থেকে মধ্যরাতে ছাত্রী বের করে দেয়ার ঘটনায় প্রতিবাদ জানিয়ে হলটির প্রাধ্যক্ষ ড. সাবিতা রেজওয়ানা রহমানের পদত্যাগ দাবি করেছেন কোটা সংস্কার আন্দোলনকারীদের সংগঠন ‘বাংলাদেশ সাধারণ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদ’।

শুক্রবার (২০ এপ্রিল) বিকেলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র শিক্ষক কেন্দ্রের (টিএসসি) রাজু ভাস্কর্যের সামনে অনুষ্ঠিত এক বিক্ষোভ সমাবেশ এ দাবি জানান সংগঠনের নেতারা। বিক্ষোভ সমাবেশের আগে একই ঘটনার প্রতিবাদ জানিয়ে একটি বিক্ষোভ মিছিল বের করা হয়।

মিছিলটি বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজু ভাস্কর্য থেকে শুরু হয়ে ক্যাম্পাসের বিভিন্ন স্থান ঘুরে আবার সমাবেশস্থলে এসে শেষ হয়। মিছিলে তারা ‘আমার বোন বাইরে কেন, প্রশাসন জবাব চাই’,‘হলে হলে নির্যাতন কেন, প্রশাসন জবাব চাই’,‘লেগেছেরে লেগেছে, রক্তে আগুন লেগেছে’, ‘জেগেছেরে জেগেছে, ছাত্রসমাজ জেগেছ ’, ‘মামলা দিয়ে আন্দোলন, বন্ধকরা যাবে না’, ‘ভয় দেখিয়ে আন্দোলন, বন্ধ করা যাবে না’,‘গুম করে আন্দোলন, বন্ধ করা যাবে না’ ইত্যাদি স্লোগান দেন। সমাবেশে সংগঠনের যুগ্ম আহ্বায়ক নুরুল হক নূর বলেন, গতকাল রাতে ৮ জনকে মধ্য রাতে হল থেকে বের করে দেয় হল প্রশাসন।

আন্দোলনে ভূমিকা রাখার কারণে তাদের অভিভাবকদের ডেকে ভয়ভীতি দেখানো হয়। এমনকি সাংবাদিকদের সাথে কথা বলতে দেয়া হয়নি তাদের। এছাড়াও প্রধ্যক্ষ বলেছিলেন দুই হাজার জনও যদি ঘটনাটির সাথে জাড়িত থাকে তাহলে তাদেরও বহিষ্কার করা হবে। প্রাধ্যক্ষের এই নেক্কারজনক ঘটনার জন্য আমরা ব্যর্থ প্রাধ্যক্ষের পদত্যাগ দাবি করছি। এছাড়াও তার বক্তব্যে তিনি আতি দ্রুত প্রজ্ঞাপন জারি করতে সরকারের প্রতি আহ্বান জানান এবং ছাত্রছাত্রীদের মধ্যে যে ধোঁয়াশা কাজ করছে তা দূর করতে বলেন।

তিনি বলেন, যদি সুফিয়া কামাল হলে কেউ সহিংসহতা করে থাকে তাহলে তাদের শাস্তি দেন কিন্তু নিরপরাধ কাউকে বের করে দিলে আমরা থামব না। এছাড়াও যদি বের করে দেয়া ছাত্রীদের হলে না উঠানো হয় তাহলে সারাদেশে আন্দোলনের দাবানল ছড়িয়ে পড়বে। সংগঠনের যুগ্ম আহ্বায়ক রাশেদ খান বলেন, এখন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে আতঙ্ক বিরাজ করছে।

আমাদের আন্দোলনকারীদের নানাভাবে প্রাণনাশের হুমকি ধামকি দেয়া হচ্ছে। মেয়েদের হলগুলোতে হুমকি দেয়া হচ্ছে তাই আজকের আন্দলনে মেয়েরা কম এসেছে। এছাড়াও আন্দোলনকারীদের ব্লেম দেয়া হচ্ছে।

প্রশাসনের কাছে আমার প্রশ্ন কেন এমন করা হচ্ছে, কেন শিক্ষার্থীদের আন্দোলনে আসতে দেয়া হচ্ছে না। সমাবেশ চলাকালে তাদের হাতে ‘এই নির্লজ্জ প্রশাসন লইয়া আমারা কি করিব’,‘নিপীড়ন রুখে দাও’, ‘হলে হলে দখলদারিত্ব, ছাত্র নিপীড়ন, গেষ্টরুম নামের নির্যাতনে রুখে দাড়াও‘,‘রাতের অন্ধকারে মেয়েদের হল থেকে বহিষ্কার কেন’,‘ঢাবি প্রশাসন তুমি কার, নিপীড়কের না নিপীড়িতদের’ ইত্যাদি লেখা প্ল্যাকার্ড বহন করতে দেখা যায়।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *