ব্রাজিলিয়ানেই মৃত্যু রুশ স্বপ্নের
র্যাঙ্কিংয়ে ৭০ নম্বরে থাকা রাশিয়া কোয়ার্টার ফাইনালে উঠে আসবে—এ কথা স্বয়ং রুশরাই বিশ্বাস করেনি।
সেটা বিশ্বকাপ শুরুর আগে। কিন্তু বিশ্বকাপ শুরুর পর! সব সমীকরণ পাল্টে অবিশ্বাস্যভাবে গ্রুপ পর্ব টপকে গেল বিশ্বের বৃহত্তম দেশটি। শুধু কী গ্রুপ পর্ব? নকআউটে এসে স্পেনের মতো দলকে হারিয়ে দিল রুশরা।
আর কোয়ার্টার ফাইনালে এসে যা খেলল…সত্যি অসাধারণ, অনন্য। সোচিতে ক্রোয়েশিয়ার বিপক্ষে টাইব্রেকার নামক স্নায়ু পরীক্ষায় দেনিস চেরিশেভরা হয়তো পাস করতে পারেননি। কিন্তু লড়াই চালিয়ে গেছেন শেষ পর্যন্ত। এই ম্যাচে রুশদের নায়ক-খলনায়ক কিন্তু একজনই। তিনি এক ব্রাজিলিয়ান—মারিও ফার্নান্দেস।
ক্ষণে ক্ষণে রং পাল্টাতে থাকা ম্যাচটি টাইব্রেকার পর্যন্ত টেনে এনেছেন ফার্নান্দেসই। অতিরিক্ত ৩০ মিনিট সময়ে ক্রোয়েশিয়ার দর্শকেরা ২-১ গোলের জয়ে আনন্দ-উল্লাসের জন্য তৈরি হচ্ছিলেন। তখনই সাইড লাইনে বসে থাকা রাশিয়ার কোচ স্তানিলাস চেরশেসোভ গ্যালারিতে থাকা রুশ সমর্থকদের তাতিয়ে দিলেন।
দর্শকরাও গলা ফাটিয়ে মাঠের খেলোয়াড়দের উৎসাহ দেওয়া শুরু করল। এতে কাজও হলো। ১১৫ মিনিটে এসে ২৭ বছর বয়সী মারিও ফার্নান্দেস ক্রোয়েশিয়ার জালে বল জড়িয়ে দিলেন। সমতায় ফেরে রাশিয়া। রুশদের স্বপ্ন বেঁচে যায় কিছুক্ষণের জন্য।
খেলা গড়ায় টাইব্রেকারে। আর সেখানেই নায়ক থেকে খলনায়ক বনে গেলেন ব্রাজিলের সাওপাওলোতে জন্ম নেওয়া এই ডিফেন্ডার। টাইব্রেকারে প্রথম শটটি মিস করে রুশদের বুকে ধুকপুকানি তুলে দেন ফরোয়ার্ড ফিওদর স্মোলভ।
এরপর নিজেদের তিন নম্বর শটটি নিতে আসেন ফার্নান্দেস। ফার্নান্দেস ওই শটটি মিস করে রুশ কফিনে শেষ পেরেকটি ঠুকে দেন। আটকে দেন বিশ্বকাপে রুশদের বিপ্লব, মৃত্যু ঘটে রাশিয়ার বেঁচে থাকা স্বপ্নের।