fbpx

কাঠমান্ডু ট্র্যাজেডি

বিয়ে নয় শেষ বিদায়ে যোগ দিলেন স্বজনরা

পলাশের বিয়ে নয় শেষ বিদায়ে যোগ দিলেন স্বজনরা

নেপাল থেকে ফিরলে ছেলে মতিউর রহমান পলাশকে বিয়ে করানোর পরিকল্পনা ছিল পরিবারের। মেয়েও দেখে রেখেছিলেন স্বজনরা। তবে সেই বিয়ের উৎসব আর হল না। সবাইকে যোগ দিতে হল তার শেষ বিদায়ের আনুষ্ঠানিকতায়।

মঙ্গলবার দুপুরে ফেনীর সোনাগাজী উপজেলার বাগাদানা ইউনিয়নের আড়িয়াল খিল গ্রামে নেপালে বিমান দুর্ঘটনায় নিহত পলাশের জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। এর আগে ভোরে তার লাশ গ্রামের বাড়ি পৌঁছলে আত্মীয়স্বজন, বন্ধু-বান্ধব ও এলাকাবাসীর ঢল নামে। এ সময় নিহতের স্বজন, সুহৃদদের কান্নায় এক হৃদয়বিদারক দৃশ্যের অবতারণা হয়। জানাজা শেষে আড়িয়াল খিল গ্রামে পারিবারিক কবরস্থানে পলাশের দাফন সম্পন্ন হয়েছে।

স্থানীয় চেয়ারম্যান ইসহাক খোকন বলেন, পলাশের জন্য তার পরিবারের লোকজন মেয়ে দেখে রেখেছিল। কথা ছিল ছেলে নেপাল থেকে ফিরলেই তাদের বিয়ে হবে। বিয়েতে যোগ দিয়ে উৎসব করার কথা ছিল স্বজনদের। কিন্তু এখন সবাই এসেছে তাকে চিরবিদায় জানাতে।

পলাশের বাড়িতে গিয়ে দেখা যায়, তার মা নূরজাহান বেগম ছেলের শোকে মুহ্যমান। নামাজ পড়ছেন আর মোনাজাতে হাত তুলে শুধুই কাঁদছেন। পলাশ ঢাকায় রানার অটোমোবাইলস কোম্পানিতে কাজ করতেন। অফিসের কাজেই তাকে নেপালে পাঠানো হয়েছিল। ছয় ভাইবোনের মধ্যে পলাশ সবার ছোট। তিনি ফেনী পলিটেকনিক ইন্সটিটিউট থেকে ডিপ্লোমা করেছিলেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *