fbpx

সেনা মোতায়েন নিয়ে :

বিএনপির দাবি নাকচ

গাজীপুর ও খুলনা সিটি করপোরেশন নির্বাচনে সেনা মোতায়েন এবং ভোটে ইলেকট্রিক ভোটিং মেশিন বা ইভিএম ব্যবহার না করার বিষয়ে বিএনপির দাবি নাকচ করেছে নির্বাচন কমিশন।

মঙ্গলবার নির্বাচন কমিশনে গিয়ে বিএনপির পক্ষ থেকে এসব দাবি জানানো হয়। পরে কমিশন সচিব হেলালুদ্দীন আহমদ ব্রিফিংয়ে কমিশনের অবস্থান জানান।বেলা ১১টায় বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেনের নেতৃত্বে ছয় জনের প্রতিনিধি দল প্রধান নির্বাচন কমিশনার কে এম নুরুল হুদাসহ নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে বৈঠক করে।

কমিশন সচিব জানান, বৈঠকে গাজীপুর ও খুলনা সিটি করপোরেশন নির্বাচনে ভোটের সাত দিন আগে সেনা মোতায়েন, ভোট নিতে ইভিএম ব্যবহার না করা, গাজীপুরের পুলিশ সুপার হারুনুর রশীদকে প্রত্যাহারসহ ২০ টি দাবি জানিয়েছে বিএনপি।কমিশন কী ভাবছে, এমন প্রশ্নে ইসি সচিব বলেন, ‘স্থানীয় নির্বাচনে সেনা মোতায়েনের কোনো পরিকল্পনা ইসির নেই।’

‘ইভিএম এর মতো প্রযুক্তি আইনানুগভাবে ব্যবহার করা হচ্ছে স্থানীয় নির্বাচনে। এরপরও এ নিয়ে আপত্তি থাকলে বিএনপি ইভিএম আবারও দেখার জন্যে অনুরোধ করেছে। ইভিএম নিয়ে যেন কোনো সন্দেহ না থাকে তা নিশ্চিত করতে বিএনপিকে প্রযুক্তিটি প্রয়োজনে বারবার প্রদর্শন করা হবে।’গাজীপুরের পুলিশ সুপারের বিষয়ে কী সিদ্ধান্ত হয়েছে- এমন প্রশ্নে ইসি সচিব বলেন, ‘এ নিয়ে তাৎক্ষণিক কোনো সিদ্ধান্ত জানায়নি কমিশন। এসব বিষয় আইন-বিধির সঙ্গে যুক্ত। তবে বিতর্কিত কর্মকর্তাদের নিয়ে সুনির্দিষ্ট অভিযোগ পেলে তা নিয়ে কমিশন পরবর্তীতে সিদ্ধান্ত নেবে।’

হেলালুদ্দীন বলেন, কিছু প্রস্তাবের বিষয়ে কমিশন আইনানুগভাবে বাস্তবায়ন করবে। বিশেষ করে ভোটকেন্দ্রের নিরাপত্তা, লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড তৈরি, নিরপেক্ষ ভোটগ্রহণ কর্মকর্তা নিয়োগ।বিএনপি নেতাদের সঙ্গে বৈঠকে সিইসি ছাড়াও চার নির্বাচন কমিশনার এবং ইসি সচিব উপস্থিত ছিলেন।আগামী ১৫ মে গাজীপুর এবং খুলনা সিটি করপোরেশনে ভোট হবে। ২০১৩ সালে দুই মহানগরেই জিতেছিলেন বিএনপি সমর্থিত প্রার্থী। এবার ভোট হবে দলীয় প্রতীকে। আর পাঁচ বছর আগে জেতা দুই মেয়রকে ধানের শীষ দেয়নি বিএনপি।

খুলনায় মেয়র মনিরুজ্জামান মনির বদলে বিএনপি প্রার্থী করেছে নজরুল ইসলাম মঞ্জুকে। সেখানে তার প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী আওয়ামী লীগের তালুকদার আবদুল খালেক।আর গাজীপুরে বিএনপি প্রার্থী করেছে হাসানউদ্দিন সরকারকে। সেখানে তার প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী আওয়ামী লীগের জাহাঙ্গীর আলম।

দুই মহানগরেই আওয়ামী লীগ এবং বিএনপির প্রার্থীর মনোনয়ন বৈধ ঘোষণা করা হয়েছে। ২৩ এ্রপ্রিল পর্যন্ত দুই মহানগরে প্রার্থিতা প্রত্যাহারের সুযোগ রয়েছে। পরদিন প্রতীক বরাদ্দ শেষে শুরু হবে আনুষ্ঠানিক প্রচার।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *