বিআরটিসি ও বাস মালিককে কোটি টাকা ক্ষতিপূরণের নির্দেশ দিয়েছেন আদালত
হারিয়ে মারা যাওয়া তিতুমীর কলেজের শিক্ষার্থী রাজিবের পরিবারকে ক্ষতিপূরণ বাবদ এক কোটি টাকা দেয়ার নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।
আজ মঙ্গলবার সকালে বিচারপতি সালমা মাসুদ চৌধুরী ও বিচারপতি একেএম জহিরুল হকের হাইকোর্ট বেঞ্চ বিআরটিসি ও স্বজন পরিবহনকে ক্ষতিপূরণ বাবদ কোটি টাকা দেয়ার এ আদেশ দেন।দুর্ঘটনার বিষয়ে সংবাদ প্রকাশের পর গত ৪ এপ্রিল রিট আবেদন করেছিলেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ব্যারিস্টার রুহুল কুদ্দুস কাজল।
ওইদিন শুনানি শেষে আদালত অন্তর্বর্তীকালীন নির্দেশনার পাশাপাশি রুল জারি করেন। রুলে রাজিব হোসেনকে এক কোটি টাকা ক্ষতিপূরণ দিতে কেন নির্দেশ দেয়া হবে না, জানতে চান হাইকোর্ট। পাশাপাশি রাজিবের চিকিৎসার খরচ স্বজন পরিবহন মালিক এবং বিআরটিসিকে বহনের নির্দেশ দেন হাইকোর্ট। চিকিৎসাধীন অবস্থায় ঢাকা মেডিকেলের আইসিইউতে ১৬ এপ্রিল মধ্যরাতে রাজিব মারা যান।
৩ এপ্রিল দুপুরে বিআরটিসির একটি দোতলা বাসের পেছনের ফটকে দাঁড়িয়ে গন্তব্যের উদ্দেশে যাচ্ছিলেন মহাখালীর সরকারি তিতুমীর কলেজের স্নাতকের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র রাজিব হোসেন। বাসটি হোটেল সোনারগাঁওয়ের বিপরীতে পান্থকুঞ্জ পার্কের সামনে পৌঁছলে হঠাৎ পেছন থেকে স্বজন পরিবহনের একটি বাস বিআরটিসি বাসটির গা ঘেঁষে অতিক্রম করে।
দুই বাসের প্রবল চাপে গাড়ির পেছনে দাঁড়িয়ে থাকা রাজিবের হাত শরীর থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। ওই ঘটনার পর পথচারীরা রাজিবকে পান্থপথের শমরিতা হাসপাতালে ভর্তি করেন। এরপর তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে নেয়া হয়। রাজিবের বাবা-মা কেউ বেঁচে নেই। তিন ভাইয়ের মধ্যে তিনি সবার বড় ছিলেন। পড়ালেখার পাশাপাশি একটি প্রতিষ্ঠানে কম্পিউটার টাইপ করে তিনি নিজের এবং ছোট দুই ভাইয়ের খরচ চালাতেন।