ইনচার্জ প্রত্যাহার
ফাঁড়ির ইনচার্জ প্রত্যাহার হলেন নারীদের সঙ্গে অসদাচরণের কারণে
নারীদের সঙ্গে অসদাচরণের দায়ে একটি পুলিশ ফাঁড়ির দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে (ইনচার্জ) প্রত্যাহার করা হয়েছে।
সিরাজগঞ্জ শহরে অভিযানের সময় নারীদের সঙ্গে অসদাচরণের দায়ে একটি পুলিশ ফাঁড়ির দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে (ইনচার্জ) প্রত্যাহার করা হয়েছে।
গতকাল রোববার রাতে শহরের ২ নম্বর পুলিশ ফাঁড়ির দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা উপপরিদর্শক (এসআই) মুস্তাফিজ হাসানকে প্রত্যাহার করে চৌহালী থানায় সংযুক্ত করা হয়েছে বলে গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন সিরাজগঞ্জের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ইউসুফ আলী।
শহরের হোসেনপুর-জগন্নাথ বাড়ী মহল্লায় অভিযান চালানোর সময় নারীদের সঙ্গে অসদাচরণের অভিযোগ উঠার কয়েক ঘণ্টার মাথায় এসআই মুস্তাফিজকে সরিয়ে নেওয়া হল।
সূত্র জানায়, গত বৃহস্পতিবার তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে সিরাজগঞ্জ শহরের ধানবান্ধি মহল্লার মুক্তিযোদ্ধা মানিকের ছেলে শিহাব হোসেনের সঙ্গে পুঠিয়াবাড়ী মহল্লার কয়েক যুবকের কথা কাটাকাটি হয়। এর জের ধরে সোহাগ হোসেনকে মারধর করেন ওই যুবকেরা। পরে সোহাগকে সিরাজগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
এ ঘটনার জের ধরে বৃহস্পতিবার থেকে শনিবার পর্যন্ত তিনদিন ধরে দুই মহল্লাবাসীর মধ্যে থেমে থেমে সংঘর্ষ হয়।
গতকাল রোববার সকাল থেকে উভয়পক্ষ সংঘবদ্ধ হয়ে আবারও সংঘর্ষে লিপ্ত হয়। দুপুর পর্যন্ত দফায় দফায় সংঘর্ষের ঘটনায় অন্তত ১২ জন আহত হয়। এ সময় বেশ কয়েকটি বাড়িঘর ও দোকানপাটে হামলা ও ভাঙচুর করা হয়।
এ সময় সেখানে দায়িত্বরত এসআই মুস্তাফিজ এলাকার নারীদের সঙ্গে অসদাচরণ করেন বলে অভিযোগ করেন এলাকাবাসী। সন্ধ্যায় তাঁর বিরুদ্ধে এলাকাবাসীর স্বাক্ষরিত একটি লিখিত অভিযোগ সিরাজগঞ্জ প্রেসক্লাব বরাবর দাখিল করা হয়।
অভিযোগে উল্লেখ করা হয়, ‘সিরাজগঞ্জের হোসেনপুর জগন্নাথ বাড়ী মহল্লায় ২ নম্বর পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ মুস্তাফিজ হাসানের নেতৃত্বে সাধারণ মানুষের বাড়িঘরে ভাঙচুর, বাড়িঘরের ভিতরে প্রবেশ করে গর্ভবতী নারীদের উপর অমানবিক নির্যাতন করা হয়।