‘প্রয়োজন হলে’ টেস্টে ফিরবেন মাশরাফী
ফিল্ডিংয়ের সময় ইনজুরিতে পড়ে ব্যাটিং করতে পারেননি। প্রথম টেস্টের দল থেকেও ছিটকে পড়েছেন সাদা পোশাকের অধিনায়ক সাকিব আল হাসান। ত্রিদেশীয় সিরিজের ফাইনালে শ্রীলঙ্কার কাছে দলের ম্যাচ হাতছাড়া হওয়া দেখলেন ড্রেসিংরুমে বসে। চোখেমুখে হতাশা স্পষ্ট। ম্যাচ শেষে অধিনায়ক মাশরাফীও জানালেন, দলের সবাই হতাশ।
বিপর্যস্ত এই দল হতাশা কাটিয়ে ওঠার সময় পাচ্ছে অল্পই। ৩১ জানুয়ারি মাঠে গড়াবে সিরিজের প্রথম টেস্ট। কিন্তু টেস্ট অধিনায়ক সাকিবের অনুপস্থিতি কঠিন করে তুলতে পারে সময়টা। দলের এমন বিপদের মুহূর্তে যদি বলা হয় টেস্টে ফিরতে, কী করবেন মাশরাফী? সংবাদ সম্মেলনে এমন প্রশ্ন শুনে খানিকটা অবাক হলেও ওয়ানডে অধিনায়ক ইতিবাচক জবাবই দিলেন।
‘যদি টিমের প্রয়োজন হয়, অবশ্যই চেষ্টা করব। অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহ (সহ-অধিনায়ক) আছে। আমার বিশ্বাস ও দলকে নিয়ন্ত্রণ করতে পারবে। আর সিনিয়র খেলোয়াড় যারা আছে, তাদের সহযোগিতা তো থাকবেই।’
মাশরাফী যখন কথা বলছিলেন, তখনও আনুষ্ঠানিক ঘোষণা হয়নি। তবে সহ-অধিনায়কেরই যখন অধিনায়ক হওয়ার কথা, মাশরাফী তাই মাহমুদউল্লাহকে অধিনায়ক ধরেই দলের ঢাল হলেন। কিছুপরেই আবার মাহমুদউল্লাহকেই প্রথম টেস্টের অধিনায়ক ঘোষণা করেছে বিসিবি।
তবে সাকিবের ছিটকে পড়াকে দলের জন্য চ্যালেঞ্জ হিসেবেই দেখেছেন ম্যাশ। বাস্তবতা বুঝেও আশা করছেন টেস্ট সিরিজ জিতেই দল আসল চেহারায় ফিরে আসবে।
‘প্রথমত এটাই চ্যালেঞ্জ (সাকিবের অনুপস্থিতি) দলের জন্য।
যদি বলেন, এখান থেকে কীভাবে উঠে আসা যায়, ভাল খেলা যায়, বলবো টেস্ট সিরিজটা আমাদের জন্য খুব বেশি গুরুত্বপূর্ণ। ওয়ানডে সিরিজ হেরেছি এজন্য না, ওয়ানডের সঙ্গে টেস্টের একটা পার্থক্য থাকেই। টেস্ট সিরিজ জিতলে হয়ত টিমের পুরো চেহারাটাই অন্যরকম হয়ে যাবে। আমরা এখন টেস্টের দিকে তাকিয়ে আছি।’
‘সাকিব না থাকায় যে কেউই বলবে আমাদের জন্য অসুবিধার। কিন্তু ইনজুরির সাথে কিছু করার নেই। এখন সাকিবের সুস্থ হওয়া পর্যন্ত যে কয়টা ম্যাচ আছে, খেলতে হবে।’ যোগ করেন মাশরাফী।