পিএসজির রাজা হওয়ার স্বপ্ন আর পূরণ হলো না
চ্যাম্পিয়ন্স লিগে রাজা হতে চেয়েছিল প্যারিস সেন্ট জার্মেই (পিএসজি)।পিএসজির রাজা হওয়ার স্বপ্ন আর পূরণ হলো না ।
সে জন্য রীতিমতো ব্যাংক ভেঙেছিল ফরাসি এই ক্লাব। নেইমারকে কিনতেই ২ হাজার ১০৬ কোটি টাকা খরচ করেছিল তারা। এসবই জানা কথা। কিন্তু পিএসজির রাজা হওয়ার স্বপ্ন আর পূরণ হলো কই! গতকাল মঙ্গলবার রাতে দ্বিতীয় লেগের ম্যাচে ২-১ গোলে রিয়ালের কাছে হেরে টুর্নামেন্ট থেকেই ছিটকে যায় তারা। কোয়ার্টার ফাইনাল নিশ্চিত করে চ্যাম্পিয়ন্স লিগে ১২ বারের শিরোপাজয়ী রিয়াল মাদ্রিদ। প্রমাণিত হলো চ্যাম্পিয়িন্স লিগে রিয়ালই সেরা, রিয়ালই রাজা। আর টানা ৮ ম্যাচে ১২ গোল করে রোনালদোও প্রমাণ করলেন, তিনিই রিয়ালের রাজা।
প্রথমার্ধে গোলের জন্য মরিয়া হয়েছিল দুই দলই। তবে গোল পায়নি কেউই। দ্বিতীয়ার্ধে পিএসজি–সমর্থকদের আতশবাজির ধোঁয়ায় ছেয়ে যায় পুরো পার্ক ডেস প্রিন্সেস। ধোঁয়াচ্ছন্ন মাঠে দানি আলভেজের কাছ থেকে বল কেড়ে নিয়ে পিএসজির রক্ষণভাগের দিকে ধেয়ে যান মার্কো এসেনসিও। বক্সের কাছে এসে বল ঠেলে দেন সতীর্থ ভাসকেজকে। ঠিক তখন ক্ষণিকের জন্য নিজেকে একা করে নেন রোনালদো। সেটা নজর এড়ায়নি ভাসকেজেরও। মুহূর্তেই তাঁর ক্রসে পাঠানো বলে মাথা ছুঁইয়ে দেন পুর্তগিজ সেনা। কে জানত, পিএসজি–সমর্থকদের আতশবাজির ধোঁয়া রূপ নেবে হতাশার কুয়াশায়!
৬৬তম মিনিটে পিএসজির জন্য আরও হতাশা নিয়ে আসেন ভেরেত্তি। লাল কার্ড দেখে মাঠ ছাড়তে হয় তাঁকে। ১০ জনের পিএসজিকে তখন খানিকটা অসহয়াই লাগছিল। তবে হতাশার চাদরে অন্ধকারাচ্ছন্ন পিএসজি শিবিরে আশার আলো হয়ে আসে কাভানির পা ছুঁয়ে আসা একমাত্র গোলটি। রিয়ালের বক্সে ডি মারিয়ার হেড কাসেমিরোর পায়ে লেগে ফেরে। কিন্তু শেষরক্ষা আর হয়নি। ফেরার মুহূর্তে বল কাভানির পায়ে লেগে রিয়ালের জালে জড়ায়। ৭১তম মিনিটে নীরব উদ্যাপনের উপলক্ষ পায় পিএসজি।
ম্যাচের ৭৫তম মিনিটে পিএসজির গোলরক্ষককে একা পেয়েও কিছু করতে পারেননি করিম বেঞ্জেমা। বক্সের অন্য পাশে রোনালদোও ছিলেন। তাঁর দিকে বল ঠেলে দিলেও কিছু হতে পারত হয়তো। এর পরের মিনিটেই বেঞ্জেমাকে তুলে নেন জিদান।
যেই কাসেমিরোর পা থেকে বল পেয়ে গোল করেছেন কাভানি। শেষতক তিনিই রিয়ালকে উদ্ধার করেন। ম্যাচের ৮০তম মিনিটে রিয়ালের হয়ে দ্বিতীয় গোল করে জয় নিশ্চিত করেন। জিইয়ে রাখেন মৌসুমের একমাত্র শিরোপা জেতার স্বপ্ন। চলতি মৌসুমে চ্যাম্পিয়ন্স লিগ জিততে না পারলে শিরোপা ছাড়াই মৌসুম শেষ করতে হতে পারে জিদান-শিষ্যদের।