fbpx

নেইমারের অভাব পূরণ করছে ডি মারিয়ায়

বৃহস্পতিবার রাতে খেলা শুরুর ঘণ্টাখানেক আগেই খবর আসে, নেইমারের পায়ে অস্ত্রপচারের বিকল্প নেই।

সেই দুঃসংবাদ ক্লাবের বন্ধুদের কান পর্যন্ত গেছে কিনা জানা যায়নি। তবে বন্ধুর এমন সময়ে একটা ভালো জয়-ই হতে পারে সেরা উপহার। সেটা জানতেন ডি মারিয়ারা। সে জন্যেই হয়তো নেইমারকে জয়-ই উপহার দেন তারা। ম্যাচে নেইমারের অভাব বুঝতে না দিয়ে ডি মারিয়া একাই করেছেন দুই গোল। আর্জেন্টাইন তারকার জোড়া গোলেই মার্সেইয়ের বিপক্ষে ফ্রান্স কাপ ফুটবলের কোয়ার্টার ফাইনালে ৩-০ গোলের জয় পেয়েছে পিএসজি।

প্রথমার্ধেই পিএসজি ভক্তদের উল্লাসের উপলক্ষ তৈরি করে দেন নেইমারের জায়গায় খেলতে নামা ডি মারিয়া। মারিয়ার প্রথম গোল অবশ্য খানিকটা আগেও হতে পারতো। মার্সেই গোলরক্ষক স্টিভ মানদানার দুর্দান্ত দক্ষতায় সেটা হয়নি। ভাগ্যদেবী ডি মারিয়ার পক্ষেই ছিল। বিরতির ঠিক আগে তাদের গোলের অপেক্ষা শেষ হয়। ইউলিয়ান ড্রাক্সলারের পাস পেয়ে ডি-বক্সের বাইরে থেকে ডি মারিয়ার জোরালো শট এক জনের পায়ে লেগে সামান্য দিক পাল্টে পোস্ট ঘেঁষে জালে জড়ায়।দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতেই ৪৮তম মিনিটেই ২য় গোলের দেখা পান রিয়াল মাদ্রিদের সাবেক এই তারকা। বাঁ-দিক থেকে ইউরির বাড়ানো ক্রস ছয় গজ বক্সের মুখে অতিথিরা ঠেকাতে ব্যর্থ হলে পেয়ে যান আর্জেন্টাইন ফরোয়ার্ড। তার শট জাপানিজ ডিফেন্ডার হিরোকি সাকাইয়ের গায়ে লেগে জালে জড়ায়।এরপর বেশ কয়েকবার মার্শেইয়ের রক্ষণভাগ ভেদ করে মারিয়া-কাভানি জুটি। ৮১তম মিনিটে পিএসজির জয় নিশ্চিত করা গোলটি দারুণ পাসিং ফুটবলের ফল। মার্কো ভেরাত্তির বাড়ানো বল ড্রাক্সলার হেডে দেন অরক্ষিত কাভানিকে। আর দারুণ হাফ ভলিতে গোলরক্ষককে পরাস্ত করেন ছন্দে থাকা উরুগুয়ের স্ট্রাইকার।

মজার বিষয় হচ্ছে এই মার্শেইয়ের বিপক্ষেই দিন কয়েক আগে বাজেভাবে চোট পান নেইমার। যেই চোট তার বিশ্বকাপে থাকা নিয়েও তৈরি করেছে আশঙ্কা। কাকতালিয়ভাবে ওই ম্যাচও পিএসজি ৩-০ ব্যবধানে জিতেছিল। খারাপ খবর ছিল শুধু নেইমারের চোট। এই ম্যাচ জিতে কী সেই প্রতিশোধটাই নিল উনাই এমেরির শিষ্যরা!

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *