fbpx

নতুন পণ্য উৎপাদন ও নতুন বাজার সৃষ্টির আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা

নতুন পণ্য উৎপাদন ও নতুন বাজার সৃষ্টির আহ্বান জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, মুক্তবাজার অর্থনীতিতে বিভিন্ন দেশের পণ্যের সঙ্গে প্রতিযোগিতায় টিকে থাকতে নতুন ও আধুনিক প্রযুক্তির আত্মীকরণ এবং পণ্যের মানোন্নয়ন অত্যন্ত জরুরি।

অনুষ্ঠানে জানানো হয়, ‘ঠাণ্ডা লেগে’ প্রধানমন্ত্রীর গলা বসে গেছে। এ কারণে অনুষ্ঠানের উপস্থাপিকা প্রধানমন্ত্রীর লিখিত বক্তব্যের অংশবিশেষ পড়ে শোনান। প্রধানমন্ত্রীর লিখিত বক্তব্যে বলা হয়, দেশের সুষম উন্নয়নের লক্ষ্যে সরকার জাতীয় শিল্পনীতিতে ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প খাতকে শিল্প উন্নয়নের অন্যতম মাধ্যম হিসেবে গণ্য করছে। বুধবার বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে ‘জাতীয় এসএমই মেলা ২০১৮’-এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে সরকারপ্রধানের এ আহ্বান আসে।

  

তার লিখিত বক্তব্যে বলা হয়, বিশ্বের বিভিন্ন স্থানে পণ্যের বাজার অনুসন্ধান এবং তাদের চাহিদা অনুযায়ী সেসব পণ্য উৎপাদন করতে হবে। মুষ্টিমেয় কয়েকটি পণ্যের ওপর রফতানি নির্ভরশীলতা কমিয়ে আমাদের এখন রফতানি বহুমুখীকরণের দিকে এগিয়ে যেতে হবে। এ জন্য সরকার সব ধরনের সহযোগিতা করবে।

সরকারের নেয়া কর্মসূচির ফলে দেশব্যাপী টেকসই ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প খাতের দ্রুত প্রসার ঘটছে। শেখ হাসিনা বলেন, আমাদের ঐতিহ্যবাহী জামদানি, নকশিকাঁথা এবং সিলেটের শীতল পাটি ইতিমধ্যে ইউনেস্কোর আন্তর্জাতিক সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য তালিকায় স্থান পেয়েছে। উদ্যোক্তারা এসব পণ্যের ব্র্যান্ডিংয়ের পাশাপাশি বাজার সম্প্রসারণের উদ্যোগ নিতে পারেন।

 

এসএমই উদ্যোক্তাদের জন্য সহজশর্তে ঋণ দেয়াসহ বিভিন্ন প্রণোদনা এবং দেশে শিল্প বিকাশে সরকারের নেয়া বিভিন্ন কর্মসূচির কথাও তার বক্তব্যে তুলে ধরা হয়। সেখানে বলা হয়, দেশের ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পের বিকাশে জেলায় এবং উপজেলায় এসএমই পরামর্শ কেন্দ্র স্থাপন করা হবে। এ পরামর্শ কেন্দ্রগুলো এসএমই শিল্প প্রসারে ওয়ানস্টপ সার্ভিস সেন্টার হিসেবে কাজ করবে। এসএমইর বিকাশের মাধ্যমে কর্মসংস্থান বাড়ানোর পরিকল্পনার কথাও তুলে ধরেন শেখ হাসিনা।

তিনি বলেন, দেশে প্রায় ১০ লাখ এসএমই প্রতিষ্ঠান রয়েছে। প্রতি বছর শুধু এসএমই খাতেই কমপক্ষে ১০ লাখ বেকার জনগোষ্ঠীর কর্মসংস্থানের সুযোগ রয়েছে। ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পের বিকাশের মধ্য দিয়ে বাংলাদেশে এগিয়ে যাবে, নারী উদ্যোক্তার সৃষ্টি হবে- সেটিই সরকারের প্রত্যাশা বলে জানান প্রধানমন্ত্রী। পাঁচ দিনব্যাপী ষষ্ঠ জাতীয় এসএমই মেলায় সারা দেশ থেকে আসা ২৬৭টি এসএমই প্রতিষ্ঠান তাদের উৎপাদিত পণ্য প্রদর্শন ও বিক্রি করবে। এর মধ্যে ৬৭ শতাংশই নারী উদ্যোক্তাদের প্রতিষ্ঠান।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *