fbpx

দুর্নীতি দেখাতে পারলে মন্ত্রীত্ব ছেড়ে দেব

চার বছর ধরে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রীর দায়িত্বে আছি। এই সময়ে দুর্নীতির ঘটনা ঘটেছে এমন ১০ জনের নাম বলতে বা দেখাতে পারলে জাতির কাছে ক্ষমা চেয়ে মন্ত্রিত্ব ছেড়ে দেবো। বলেছেন মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ.ক.ম মোজাম্মেল হক।

জাতীয় প্রেস ক্লাবের কনফারেন্স লাউঞ্জে শুক্রবার (২৬ জানুয়ারি) দুপুরে ‘একাত্তরের মুক্তিযোদ্ধা’ নামের একটি সংগঠনের এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন।

অসংখ্য রাজাকারকে ২ লাখ থেকে ১০ লাখ টাকার বিনিময়ে মুক্তিযোদ্ধা বানিয়ে হাজার হাজার কোটি টাকার বাণিজ্য করা হয়েছে। অয়োজক সংগঠনটির এমন অভিযোগ অস্বীকার করে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ.ক.ম মোজাম্মেল হক বলেন, ‘আমি মন্ত্রী হওয়ার আগে যারা দায়িত্বে ছিলেন, তখন কী ঘটেছে জানি না। তবে আমি এই মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব গ্রহণের পর এমন কোনও ঘটনা ঘটেনি। এ ধরনের অভিযোগ পাওয়া মাত্রই যাচাই-বাছাই করে তা বাদ দিয়েছি। কেউ বলতে পারবে না আমি বা আমার মন্ত্রণালয়ের কেউ এমন কোনও কাজের সঙ্গে জড়িত।’

‘একাত্তরের মুক্তিযোদ্ধা’ সংগঠনের আহ্বায়ক আবীর আহাদের অভিযোগ করে বলেন- ২০১৭ সালে জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিলের (জামুকা) এক নির্দেশিকায় বলা হয়— ভারতীয় ও লাল মুক্তিবার্তার মুক্তিযোদ্ধাদের সাক্ষ্যের ভিত্তিতে যে কোনও ব্যক্তিকে মুক্তিযোদ্ধা সনদ দেওয়া যাবে। এমন একটি আত্মঘাতী সিদ্ধান্তের ফরমুলা নির্দেশিকায় জুড়ে দেওয়ার কারণে যাচাই-বাছাই কমিটির বেশিরভাগ সভাপতি, সদস্য ও সুযোগসন্ধানীরা তা কাজে লাগিয়েছে। তারা পুরো যাচাই-বাছাই প্রক্রিয়াকে বাণিজ্যিক হাতিয়ার বানিয়ে ফেলে। তাই ওই অপরিণামদর্শী দুর্বল ফরমুলার সুবাদে ২ লাখ থেকে ১০ লাখ টাকার বিনিময়ে সারাদেশের লাখ লাখ অ-মুক্তিযোদ্ধা ও হাজার হাজার রাজাকারকে মুক্তিযোদ্ধা বানিয়ে দেওয়া হয়। এখানে হাজার হাজার কোটি টাকার বাণিজ্য হয়েছে। সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে ‘একাত্তরের মুক্তিযোদ্ধা’র আহ্বায়ক আবীর আহাদ বলেন, ‘মুক্তিযুদ্ধে সরাসরি অংশগ্রহণকারী সক্রিয় মুক্তিযোদ্ধার সংখ্যা কোনও অবস্থায় দেড় লাখের বেশি হওয়ার কথা নয়। কিন্তু বর্তমানে মুক্তিযোদ্ধা তালিকায় এই সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ২ লাখ ১৫ হাজারেরও বেশি।’ মুক্তিযোদ্ধাদের মর্যাদার সাংবিধানিক স্বীকৃতি প্রদান ও মুক্তিযোদ্ধা তালিকা থেকে ভুয়া মুক্তিযোদ্ধাদের বাদ দেওয়ার দাবিতে দেশব্যাপী সর্বাত্মক আন্দোলন গড়ে তোলার লক্ষ্যে ‘একাত্তরের মুক্তিযোদ্ধা’ সংগঠনটি আত্মপ্রকাশ করে। শুক্রবার সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে সংগঠনটির ৭১ সদস্যের একটি কেন্দ্রীয় আহ্বায়ক কমিটি ঘোষণা করা হয়।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *