দীর্ঘ ২৫ বছরের অপেক্ষা ঘুচাল ভারত
‘একবার না পারিলে দেখ শতবার।’ দক্ষিণ আফ্রিকার মাটিতে সিরিজ জিততে ভারতকে অবশ্য শতবার চেষ্টা করতে হয়নি।
পাঁচবারের চেষ্টাতেই সফলকাম হয়েছে উপমহাদেশের দলটি। এর মধ্য দিয়ে দীর্ঘ ২৫ বছরের অপেক্ষা ঘুচল ভারতের। আর দক্ষিণ আফ্রিকা? ঘরের মাঠে প্রোটিয়াদের জন্য এ প্রায় বিরল এক ক্ষত!
ঘরের মাঠে এ পর্যন্ত ২৫টি ন্যূনতম পাঁচ কিংবা তার চেয়ে বেশিসংখ্যক ম্যাচের দ্বিপক্ষীয় ওয়ানডে সিরিজ খেলেছে দক্ষিণ আফ্রিকা। এ ধরনের সিরিজে এর আগে দুইবার হারের মুখ দেখেছিল স্বাগতিক দল। তৃতীয় অর্থাৎ সর্বশেষ হার ভারতের কাছে। এখনো এক ম্যাচ বাকি থাকলেও পঞ্চম ওয়ানডে ৭৩ রানে জিতে সিরিজ ইতিমধ্যেই ৪-১ ব্যবধানে নিজেদের করে নিয়েছে বিরাট কোহলির দল। অর্থাৎ ঘরের মাঠে ন্যূনতম পাঁচ ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজে এটা দক্ষিণ আফ্রিকার তৃতীয় হার।
ঘরের মাঠে দক্ষিণ আফ্রিকা প্রথম ন্যূনতম পাঁচ কিংবা তার অধিকসংখ্যক ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজ হেরেছিল অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে। ১৯৯৬-৯৭ মৌসুমে দক্ষিণ আফ্রিকার মাটিতে ৭ ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজ ৪-৩ ব্যবধানে জিতেছিল অস্ট্রেলিয়া। সেই সিরিজে মার্ক টেলরের পাশাপাশি অস্ট্রেলিয়া দলের নেতৃত্ব দিয়েছিলেন ইয়ান হিলিও। এরপর সেই অস্ট্রেলিয়াই আবারও ছড়ি ঘুরিয়েছে দক্ষিণ আফ্রিকার মাটিতে।
২০০১-০২ মৌসুমে দক্ষিণ আফ্রিকায় রিকি পন্টিংয়ের নেতৃত্বে সাত ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজ অস্ট্রেলিয়া জিতেছিল ৫-১ ব্যবধানে। তৃতীয় ওয়ানডে টাই হয়েছিল। কোহলির ভারতের হাতে এখনো এক ম্যাচ বাকি থাকলেও তাঁরা যেন পন্টিংয়ের সেই অস্ট্রেলিয়াকেই মনে করিয়ে দিয়েছেন!
তবে পন্টিংয়ে সেই অস্ট্রেলিয়াই ওয়ানডেতে পরে সর্বজয়ী দলে পরিণত হয়েছিল। গিলক্রিস্ট-হেইডেন, মার্টিন-লেম্যান কিংবা ম্যাকগ্রা-গিলেস্পিদের নিয়ে পরে টানা ২১ ওয়ানডে জয়ের রেকর্ড গড়েছিলেন পন্টিং।
ওয়ানডে র্যাঙ্কিংয়ের শীর্ষে উঠে আসা ভারতের বিপক্ষে এই সিরিজে ব্যাটিং-বোলিংয়ে একেবারে নাস্তানাবুদ হয়েছে দক্ষিণ আফ্রিকা। ব্যাট হাতে প্রোটিয়াদের গড় ২২.৬৫ এবং বোলিংয়ে ৫০.২০—যা ঘরের মাঠে দ্বিপক্ষীয় সিরিজে তাঁদের সবচেয়ে বাজে পারফরম্যান্স। সে জন্য ভারতের দুই স্পিনার যুজবেন্দ্র চাহাল ও কুলদীপ যাদবকে দুষতে পারেন প্রোটিয়ারা। এ দুই স্পিনার মিলে ৩০ উইকেট নিয়েছেন, যা ভারতের হয়ে যেকোনো দ্বিপক্ষীয় সিরিজে স্পিনারদের মধ্যে সেরা পারফরম্যান্স।