ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী হচ্ছেন চাঁদপুরের বিপ্লব
ভারতের ত্রিপুরা রাজ্যের পরবর্তী মুখ্যমন্ত্রী হতে যাচ্ছেন বাংলাদেশের চাঁদপুরের কচুয়া উপজেলার সন্তান বিপ্লব কুমার দেব। তার পৈত্রিক বাড়ি চাঁদপুরের কচুয়া উপজেলার সহদেবপুর পূর্ব ইউনিয়নের মেধদাইর গ্রামে। তিনি হিরুধন দেব ও মিনা রানি দেবের একমাত্র ছেলে। মুক্তিযুদ্ধের সময় তারা ত্রিপুরা চলে যান এবং সেখানে স্থায়ীভাবে বসবাস শুরু করেন।
বিপ্লব দেব ও তার পরিবার ত্রিপুরা চলে গেলেও তার অনেক আত্মীয় এখনো কচুয়ায় বসবাস করছেন। বিপ্লব দেবের চাচা প্রাণধন দেব গণমাধ্যমকে জানান, ‘বিপ্লবকে তার মা বাংলাদেশে থাকাকালে গর্ভধারণ করেছিলেন। তবে ত্রিপুরার মাটিতেই বিপ্লবের জন্ম।’ বিপ্লব দেবের কাকা প্রাণধন দেব কচুয়া উপজেলা হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিষ্টান ঐক্য পরিষদ বর্তমান সভাপতি।
উল্লেখ্য, গত ১৮ ফেব্রুয়ারি ত্রিপুরা রাজ্যের বিধানসভা নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। নির্বাচনের বনমালিপুর আসন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন বিপ্লব। এত বিপ্লবের নেতৃত্বে ৬০টি আসনের মধ্যে ৪৩টি আসন পেয়েছে বিজেপি। বিপ্লব নিজেও একটি আসনে জয়লাভ করেন। শনিবার ত্রিপুরাসহ তিন রাজ্যের নির্বাচনের ফল ঘোষণার পরপরই ভারতীয় গণমাধ্যমে বিপ্লব দেবকে ত্রিপুরার পরবর্তী মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে উল্লেখ করা হয়।
বিপ্লব দেব রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘের (আরএসএস) সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। ত্রিপুরা রাজ্য বিজেপির দায়িত্ব পান ২০১৬ সালে ৭ জানুয়ারি মাসে। বিপ্লব রাজ্য বিজেপির সভাপতির দায়িত্ব নিয়ে দুই বছরের মধ্যেই দলটিকে ঐতিহাসিক বিজয় এনে দেন। ত্রিপুরা রাজ্য বিজেপির সভাপতি বিপ্লব দেব ভারতের কেন্দ্রীয় সরকারে থাকা দলটির সবচেয়ে কম বয়সী রাজ্য সভাপতি।
শনিবার বিপ্লব কুমার দেব বলেন, ত্রিপুরা রাজ্যের যোগাযোগ ও উন্নয়নের জন্য বাংলাদেশের সহযোগিতা নিয়ে রাজ্যের উন্নয়ন করা হবে। এ জয় বিজেপির জয় নয়, রাজ্যবাসীর জয় বলে অভিহিত করেন তিনি। বামফ্রন্ট ত্রিপুরাবাসীর সঙ্গে যে আচরণ করেছে, তার ফল হিসেবে রাজ্যের মানুষ এর জবাব দিয়েছে। তবে আমি ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী হতে প্রস্তুত আছি। তবে দলের সিদ্ধান্তই শেষ কথা।’
উল্লেখ্য, গত বছর আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কাউন্সিলে বিজেপির প্রতিনিধিদলের প্রধান হয়ে বিপ্লব দেব যোগদান করেন। সম্মেলন শেষে তিনি হেলিকপ্টারযোগে গ্রামের বাড়ি কচুয়ায় গিয়েছিলেন।