টিকিট যুদ্ধ কমলাপুরে
ঈদের সময় যত কাছাকাছি আসছে, নাড়ির টানে বাড়ি ফেরার আকাঙ্ক্ষা তত বাড়ছে।
এর সঙ্গে বাড়ছে টিকিটকে হাতের মুঠোয় নিয়ে আসার চেষ্টা। আজ শনিবার সকালে রাজধানী ঢাকার কমলাপুর রেলস্টেশনে গিয়ে ট্রেনের টিকিটের জন্য যুদ্ধ করতে দেখা গেছে মানুষকে।
আজ দেওয়া হচ্ছে ১১ জুনের টিকিট। ২৬টি কাউন্টারে টিকিটপ্রত্যাশীদের দীর্ঘ সারি আরও দূর পর্যন্ত চলে গেছে।
১১ জুনের টিকিট পেতে মধ্যরাত থেকে কাউন্টারগুলোতে জড়ো হয়েছে মানুষ।
ভিড় এতটাই বেশি যে, অনেকটা হিমশিম খেতে হচ্ছে নিরাপত্তারক্ষায় নিয়োজিত আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে।সকাল আটটায় টিকিট বিক্রি শুরু হওয়ার ঢাকা রেলওয়ে থানার উপপরিদর্শক ইয়াসিন ফারুক প্রথম আলোকে বলেন, ‘ভাই ঝামেলায় আছি। আজ অনেক বেশি ভিড়। এত লোক।’
১১ জুনের টিকিটের জন্য এত বেশি ভিড়ের কারণ জানাতে গিয়ে অনেকে বলেন, এবার ঈদে ছুটি বেশ কম।
শনিবার ও রোববার ঈদের ছুটির মধ্যে চলে গেছে। ৩০ রোজা হলে রোববার ঈদ। তাহলে একদিন ছুটি হয়তো বাড়তে পারে। তবে সেই ঝুঁকি নিতে চান না টিকিটপ্রত্যাশীরা। এ জন্য ২৭ রমজান শবে কদরের ছুটিকে কাজে লাগাতে চান ঘরমুখী মানুষেরা।
ঈদে ট্রেনের আগাম টিকিট বিক্রি চলবে ৬ জুন পর্যন্ত। কাল রোববার ৩ জুন ১২ জুনের টিকিটের জন্য ভিড় আরও বেশি হবে বলে ধারণা রেলওয়ে কর্তৃপক্ষের। এ ছাড়া ৪ জুন ১৩ জুনের, ৫ জুন ১৪ জুনের ও ৬ জুন ১৫ জুনের টিকিট দেওয়া হবে। ফিরতি টিকিট ১০ জুন থেকে ছাড়া হবে।
রেল কর্তৃপক্ষ জানায়, একজন যাত্রীকে একসঙ্গে সর্বোচ্চ চারটি টিকিট দেওয়া হবে। এই টিকিট ফেরত নেওয়া হবে না। ঢাকার কমলাপুর রেলস্টেশনে ২৬টি কাউন্টার থেকে টিকিট বিক্রি চলছে। এর মধ্যে দুটি কাউন্টার নারীদের জন্য সংরক্ষিত। কাউন্টারে ভ্যাপসা গরম থাকায় নারীদের দুর্ভোগ বেড়েছে। মোট টিকিটের ৭৫ শতাংশ কাউন্টারে, আর বাকি ২৫ শতাংশ টিকিট অনলাইনে বিক্রি করা হবে। ১১ জুন থেকে আন্তনগর ট্রেনগুলো সাপ্তাহিক ছুটিতেও চলাচল করবে।