ব্রেকিং নিউজ
জাতির জনকের ঘনিষ্টজন শাহ আব্দুর রাজ্জাক আর নেই
প্রবীণ রাজনীতিবিদ, ভাষা সৈনিক ও বঙ্গবন্ধুর ঘনিষ্টসহচর আওয়ামী লীগ নেতা শাহ আব্দুর রাজ্জাক খন্দকার আর নেই। (ইন্নালিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)।
সোমবার ভোরে বার্ধক্যজনিত কারণে রংপুরের মাহিগঞ্জ সাতমাথা এলাকায় নিজ বাসভবনে ৮৫ বছর বয়সে তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন।
মৃত্যুকালে তিনি ৩ ছেলে ২ মেয়ে সহ অসংখ্য আত্মীয়স্বজন শুভাকাঙ্ক্ষী রেখে গেছেন।
শাহ আবদুর রাজ্জাক ১৯৩৩ সালে রংপুরের পীরগাছা উপজেলার চালুনিয়া গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। শিক্ষকতার পেশা নিয়ে তিনি কর্মজীবন শুরু করেন।
তার বর্ণাঢ্য রাজনৈতিক জীবনে রাজনীতির হতে খড়ি ১৯৪৬ সালে কোচবিহারের দিনহাটায়। তিনি মুসলিমলীগের কনিষ্ঠতম সদস্য ছিলেন। ১৯৫১-৫২ সালে রংপুর কারমাইকেল কলেজের ছাত্র থাকাকালীন বায়ান্নর মহান ভাষা আন্দোলনে রংপুরে সক্রিয় ভূমিকা পালন করেন।
রংপুর অঞ্চলে ৬ দফা আন্দোলনের নেতৃত্বদানকারী শাহ আব্দুর রাজ্জাক ১৯৭০ সালে আওয়ামী লীগের গণপরিষদের সদস্য নির্বাচিত হন। ১৯৭১ সালে দেশ স্বাধীনের জন্য মুক্তিযুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়েন। তিনি ১৯৮৬ সালে রংপুরের পীরগাছা-কাউনিয়ার আসন থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন।
শাহ আব্দুর অনেক বরেণ্য মানুষের সাহচর্যে আসেন। তিনি শেরে বাংলা একে ফজলুল হক, হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী, মাওলানা আব্দুল হামিদ খান ভাসানী, বঙ্গবন্ধু শেখ মজিবুর রহমান, ভারতের সাবেক রাষ্ট্রপতি ভিপি গিরি, সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধীসহ বরেণ্য ব্যক্তিদের সঙ্গে তার রাজনৈতিক ঘনিষ্টতা ছিল। কর্মজীবনে তিনি মাহিগঞ্জ আফান উল্লাহ উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ছিলেন ।
সোমবার সকালে মরহুম আবদুর রাজ্জাকের লাশ সর্বস্তরের মানুষের শ্রদ্ধা জানানোর জন্য সকাল ১০টা থেকে ১১ টা পর্যন্ত মাহিগঞ্জ গ্লাস ফ্যাক্টরি মাঠে রাখা হয়। সেখানেই মরহুমের প্রথম জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। এরপর রংপুর পাবলিক লাইব্রেরি মাঠে দ্বিতীয় জানাজা শেষে অনুষ্ঠিত হয়।
জানাজায় উপস্থিত ছিলেন জেলা প্রশাসন, সিটি কর্পোরেশন চেয়ারম্যান, আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগ, জাতীয় পার্টি, বিএনপি, জাসদ, সিপিবি, বাসদসহ সরকারী-বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা, স্কুল- মাদরাসা শিক্ষক ও শিক্ষার্থীসহ সাধারণ মানুষ। পরে সেখানে বিভিন্ন সংগঠন ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।
পরে তার লাশ এ্যম্বুলেন্সে করে রংপুরের পীরগাছা গ্রামের বাড়িতে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানেই তৃতীয় জানাজা শেষে পারিবারিক কবরস্থানে তাকে রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় দাফন করা হয়