জম্মু-কাশ্মির বিধানসভা উত্তাল, মুখ্যমন্ত্রীর বিবৃতি দাবি
জম্মু-কাশ্মির বিধানসভা থেকে বিরোধী বিধায়করা ওয়াকআউট করেছেন। আজ (বুধবার) বিধানসভার কাজ শুরু হতেই বিরোধী সদস্যরা দক্ষিণ কাশ্মিরে বেসামরিক নাগরিকদের নিহত হওয়ার প্রসঙ্গ উত্থাপন করে স্পিকারের দৃষ্টি আকর্ষণ করে মুখ্যমন্ত্রী মেহেবুবা মুফতির বিবৃতি দাবি করেন। গতকালও সেখানে এক বেসামরিক ব্যক্তি নিহত হয়েছেন। পরে বিরোধীসদস্যরা ওই ইস্যুতে প্রতিবাদ জানাতে বিধানসভা থেকে ওয়াকআউট করেন।
বিরোধী সদস্যরা আজ বিধানসভার ওয়েলে নেমে ‘নিরীহদের হত্যা বন্ধ হোক’, কাতিল সরকার, হায়! হায়! আরএসএস সরকার হায়! হায়!, ‘কাশ্মিরে মানবাধিকার লঙ্ঘন বন্ধ হোক’ ইত্যাদি স্লোগান দিয়ে বিক্ষোভে ফেটে পড়েন।
এ সময় ন্যাশনাল কনফারেন্স বিধায়ক আব্দুল মজিদ লারমি ‘নিরীহদের হত্যা বন্ধ হোক’ ব্যানার তুলে ধরে প্রতিবাদ জানান। অন্যদিকে, ‘কাশ্মিরে মানবাধিকার লঙ্ঘন বন্ধ হোক’ কালো ব্যানার তুলে ধরেন বিধায়ক ইশফাক জাবার।
ন্যাশনাল কনফারেন্স বিধায়ক আলী মুহাম্মদ সাগর বলেন, “সরকার কাশ্মির পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়েছে বলে দাবি করছে, কিন্তু আগের চেয়ে বরং পরিস্থিতি আরো খারাপ হয়েছে।”
বিধানসভার স্পিকার কবীন্দ্র গুপ্তা বিরোধীদের দাবির মুখে প্রশ্নোত্তরপর্ব শেষে সরকার পক্ষ এ নিয়ে জবাব দেবে বলে আশ্বাস দিলেও বিরোধীরা তাতে সন্তুষ্ট না হয়ে বিধানসভা থেকে বেরিয়ে যান।
ন্যাশনাল কনফারেন্স নেতা ও সাবেক মুখ্যমন্ত্রী ওমর আবদুল্লাহ বলেন, “সরকার যদি মনে করে বেসামরিক ব্যক্তিদের হত্যা কোনো বিষয় নয়, তাহলে এই সরকারের শাসন করার কোনো নৈতিক অধিকার নেই।”
গতকাল মঙ্গলবারও তিনি রাজ্য সরকারের তীব্র সমালোচনা করে বলেন, “সরকার গণতন্ত্র বিরোধী শক্তির সামনে আত্মসমর্পণ করেছে। তারা অনন্তনাগ লোকসভা কেন্দ্রের উপনির্বাচন করতে ব্যর্থ হয়েছে। এই প্রথম কোনো সরকার বিচ্ছিন্নতাবাদী শক্তির সামনে নত হয়েছে এবং তারা অনন্তনাগ আসনের উপনির্বাচন করতে পারছে না। আপনারা কীভাবে দাবি করতে পারেন যে পরিস্থিতির উন্নতি হয়েছে, যেখানে আপনারা নির্বাচন করতে পারছেন না। এ থেকে প্রকারন্তরে আপনারা স্বীকার করছেন যে পরিস্থিতি এটতাই খারাপ যে আপনারা নিজেদের সাংবিধানিক দায়িত্ব পালন করতে পারছেন না।”
সুত্র/পার্সটুডে