চূড়ান্ত হলো টাইগারদের ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরসূচি
আরো এক দফা পরিবর্তন করে চূড়ান্ত হয়েছে টাইগারদের ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরের সূচি।
যুক্তরাষ্ট্রের ফ্লোরিডায় দু’টি টি-টোয়েন্টি খেলা হবে বলে, আনুষ্ঠানিক ভাবে নিশ্চিত করেছেন বিসিবি’র প্রধান নির্বাহী নিজাম উদ্দিন চৌধুরী। ক্যারিবিয়ান অঞ্চলে বাংলাদেশের সফরটি হবে বেশ লম্বা। তাই কন্ডিশনের সাথে মানিয়ে নিতে নির্ধারিত সময়ে এক সপ্তাহ আগে ওয়েস্ট ইন্ডিজ যাবে বাংলাদেশ ক্রিকেট দল।
এফটিপি অনুযায়ী মার্চ-এপ্রিলে ছিলো বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফর। কিন্তু, ক্যারিবীয়দের বিশ্বকাপ বাছাই পর্ব আর টাইগারদের নিদাহাস ট্রফির ব্যস্ততার কারণে দুই বোর্ডের সমঝোতায় সিরিজ নির্ধারণ করা হয় জুন-জুলাই। উইন্ডিজ ক্রিকেট বোর্ড থেকে কয়েক দফা সফরের সূচি পাঠানোর পর অবশেষে চূড়ান্ত হয়েছে দ্বিপাক্ষিক এই সিরিজের সূচি। টাইগারদের এটি বেশ লম্বা সফর। প্রায় ৪৮ দিনের ক্যারিবীয় মিশনে শুরু হবে ২০ জুন দেশ ছাড়ার মধ্যে দিয়ে। এক সপ্তার ক্যাম্পের পর আন্টিগায় দুই দিনের প্রস্তুতি ম্যাচ। একই ভেন্যুতে ৪ জুলাই প্রথম টেস্ট। তিনদিনের বিরতির পর জ্যামাইকায় দ্বিতীয় ও শেষ টেস্ট।
ওয়েস্ট ইন্ডিজ বোর্ড একাদশের সাথে ৫০ ওভারের প্রস্তুতি ম্যাচ ১৯ জুলাই। প্রথম ও দ্বিতীয় ওয়ানডে ২২ এবং ২৫ জুলাই গায়ানায়। শেষ ওয়ানডে হবে সেন্ট কিটসে। একই ভেন্যুতে ৩১ জুলাই প্রথম টি-টোয়েন্টি। যুক্তরাষ্ট্রের হবে দুটি টি-টোয়েন্টি ৪ ও ৫ আগষ্ট। বিসিবি প্রধান নির্বাহী নিজাম উদ্দিন চৌধুরী সুজন বলেন, ‘কিছু বিষয়ে অ্যাডজাস্টমেন্টের বিষয় ছিলো। আমরা দুই বোর্ড একসঙ্গে বসে ঠিক করে নিয়েছি।’
এদিকে, ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফর নিশ্চিত হলেও, এখন ঝুলে আছে আগস্টে বাংলাদেশের অস্ট্রেলিয়া সফর। টেস্ট সিরিজ খেলতে অজিরা রাজি না হওয়ায় ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়াকে ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টি খেলার প্রস্তাব পাঠিয়েছে বিসিবি। কিন্তু, বিসিবি’র এই প্রস্তাবেও যদি রাজি না হয় ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়া। সেক্ষেত্রে আইসিসি’র দুর্বল নিয়মে ক্ষতি হবে বাংলাদেশেরই। কারণ, না খেলেও কোন জবাবদিহিতার মুখে পড়তে হবে না ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়াকে।
নিজাম উদ্দিন চৌধুরী সুজন বলেন, ‘আগে একটা এফটিপি এগ্রিমেন্ট হতো। এখন যেহেতু বিষয়টা নাই তাই বাধ্যবাধকতার কিছু থাকছে না।’ সর্বশেষ ২০০৮ সালে অস্ট্রেলিয়ার মাটিতে দ্বিপাক্ষিক সিরিজ খেলেছিলো বাংলাদেশ ক্রিকেট দল।