fbpx

কুমিল্লায় ছাত্রলীগ এবং সাধারণ শিক্ষার্থীদের মধ্যে সংঘর্ষে কমপক্ষে ১০ জন আহত

কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের বাসে হামলার ঘটনায় ছাত্রলীগ এবং সাধারণ শিক্ষার্থীদের মধ্যে সংঘর্ষে কমপক্ষে ১০ জন আহত হয়েছেন।

রোববার বিকেল কুমিল্লা সরকারি কলেজের সামনের সড়কে এই ঘটনা ঘটে।খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, এদিন বিকেল ৫টা ৪০ মিনিটে পুলিশ লাইন এলাকায় পৌঁছলে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী বহনকারী বাসটি থামান কুমিল্লা সরকারি কলেজ শাখা ও মহানগর ছাত্রলীগের কয়েকজন নেতাকর্মী।তারা শিক্ষার্থীদের বাস থেকে নেমে যাওয়ার জন্য বলেন।

শিক্ষার্থীরা প্রতিবাদ করলে তারা লাঠিসোঁটা দিয়ে বাসের দরজা জানালা ও সামনের কাচ ভেঙে ফেলেন। তখন দু’পক্ষের সংঘর্ষে উভয় পক্ষের কমপক্ষে ১০ জন আহত হন।বাংলাদেশ সাধারণ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদ এবং ছাত্রলীগ এই সংঘর্ষের জন্য একে অপরকে দায়ী করেছে।

বাংলাদেশ সাধারণ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদের কুমিল্লা জেলা আহ্বায়ক মাজহারুল ইসলাম হানিফ জানান, ছাত্রলীগের কুমিল্লা সরকারি কলেজ ও মহানগর শাখার কয়েকজন নেতা এই হামলার সঙ্গে জড়িত। আমরা এই হামলার বিচার চাই।কোটা সংস্কার আন্দোলন করার কারণে সাধারণ শিক্ষার্থীদের ওপর এই হামলা করা হয়েছে বলেও উল্লেখ করেন তিনি।

এদিকে কুমিল্লা মহানগর ছাত্রলীগের যুগ্ম-আহ্বায়ক নাঈমুল হক জানান, বাসটি থেকে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের ওপর ইটপাটকেল নিক্ষেপ করা হয়। এরপর ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরাও পাল্টা প্রতিরোধ গড়ে তোলেন।বাসে হামলা, সংঘর্ষ এবং আহতের কথা নিশ্চিত করলেও এসবের সঙ্গে ছাত্রলীগের সম্পৃক্ততার কথা অস্বীকার করেছেন কুমিল্লার(উত্তর) অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সাখাওয়াত হোসেন।

তিনি বলেন, পুলিশ লাইন মোড়ে হঠাৎ করে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের বাসে হামলা চালায় ৭-৮ জন। এর প্রতিবাদে শিক্ষার্থীরা বাস থেকে নেমে যান এবং হামলাকারীদের ধাওয়া করেন। এসময় দু’পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে নিয়ন্ত্রণ আনতে লাঠিচার্জ ও কাঁদানে গ্যাস নিক্ষেপ করে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *