এক নজরে বিশ্বকাপে আর্জেন্টিনা-নাইজেরিয়ার দ্বৈরথ
বিশ্বকাপে আর্জেন্টিনা-নাইজেরিয়ার দ্বৈরথ-
যুক্তরাষ্ট্র বিশ্বকাপ (১৯৯৪):
১৯৯৪ সালে যুক্তরাষ্ট্র বিশ্বকাপে প্রথম বার মুখোমুখি হয় আর্জেন্টিনা-নাইজেরিয়া। সেইবারও গ্রুপ পর্বে দুই দল মুখোমখি হয়। আর সেই বিশ্বকাপ ছিল ম্যারাডোনার শেষ বিশ্বকাপ। বোস্টনে ২৫ জুলাই সেই ম্যাচের শুরুতেই এগিয়ে যায় নাইজেরিয়া। তবে ম্যাচের ২১ ও ২৮ মিনিটে ক্লদিও ক্যানিজিয়ার জোড়া গোলে সেই ম্যাচটি ২-১ গোলে জয় পায় আর্জেন্টিনা। সেই আসরে দুই দলই অবশ্য দ্বিতীয় রাউন্ডে খেলেছিল।
কোরিয়া-জাপান বিশ্বকাপ (২০০২):
১৯৯৮ সালের বিশ্বকাপে দুই দলের দেখা না হলেও ২০০২ সালে এশিয়ায় ফের একই গ্রুপে পড়ে দুই দল। ২ জুন দুই দলের সেই লড়াইয়ে গ্যাব্রিয়েল বাতিস্তুতার একমাত্র গোলে জিতে যায় আর্জেন্টিনা। তবে সেই আসরের দুই দলই গ্রুপ পর্ব থেকে বাদ পড়েছিল।
দক্ষিণ আফ্রিকা (২০১০):
নাইজেরিয়া-আর্জেন্টিনার তৃতীয় দেখা দক্ষিণ আফ্রিকায়। সেবার ‘বি’ গ্রুপে পড়েছিল দুই দল। ১২ জুনের ম্যাচে ১-০ গোলের ব্যবধানে জয় নিয়ে দ্বিতীয় রাউন্ডে যায় ল্যাটিন আমেরিকার দল আর্জেন্টিনা। দলের পক্ষে ম্যাচের ষষ্ঠ মিনিটে গোলটি করেন গ্যাব্রিয়েল হেইঞ্জ।
ব্রাজিল বিশ্বকাপ (২০১৪):
২০১৪ সালে ব্রাজিলে বিশ্বকাপেও গ্রুপ পর্বেই আহমেদ মুসা ও লিওনেল মেসির দ্বৈরথ হয়েছিল। সেদিন প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ ম্যাচের তৃতীয় মিনিটেই দলকে এগিয়ে নিয়েছিলেন লিওনেল মেসি। তবে মেসিদের আনন্দে মাটি দিয়ে ৬০ সেকেন্ডই পাল্টা গোল করেন মুসা। প্রথমার্ধের শেষের দিকে আবার ও দলকে এগিয়ে নেন মেসি। কিন্তু দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতেই সেই গোল শোধ করেন মুসা। এমন পাল্টা আক্রমণের শেষ হাসিটা অবশ্য মেসিদেরই ছিল। কেননা ৫০ মিনিটে আর্জেন্টিনার জয় সূচক গোলটি করেন মার্কোস রজো। সেই বিশ্বকাপে গ্রুপপর্ব থেকে বিদায় নেয় নাইজেরিয়া এবং রানার্স আপ হয় আর্জেন্টিনা।