fbpx

অবিশ্বাস্য অন্যতম সেরা গোল “ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো’’

আরেকবার জ্বলে উঠলেন রিয়াল মাদ্রিদের পর্তুগিজ ফরোয়ার্ড ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো। অবিশ্বাস্য অন্যতম সেরা গোল “ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো’’।

চ্যাম্পিয়ন্স লিগের ইতিহাসেরই অন্যতম সেরা গোল করার পাশাপাশি করেছেন জোড়া গোল। কোয়ার্টার ফাইনালের প্রথম লেগে গতবারের রানার্সআপ জুভেন্টাসকে তাদেরই মাঠে ৩-০ গোলে উড়িয়ে দিয়ে সেমিফাইনালে এক পা দিয়ে রাখলো ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়ন রিয়াল মাদ্রিদ। অথচ, ঘরের মাঠে ইউরোপিয়ান প্রতিযোগিতায় টানা ২৭ ম্যাচ অপরাজিত ছিল জুভেন্টাস।

এলিয়াঞ্জ স্টেডিয়ামে ম্যাচের শুরুতেই পিছিয়ে পড়ে জুভেন্টাস। মাত্র ২ মিনিট ৪৭ সেকেন্ডের মাথায় রিয়ালকে এগিয়ে দেন রোনালদো। চ্যাম্পিয়ন্স লিগ ইতিহাসে এটিই রোনালদোর সবচেয়ে দ্রুততম গোল (১-০)। এই টুর্নামেন্টের ইতিহাসে টানা ১০ ম্যাচে গোল করে অনন্য এক রেকর্ডও গড়েন রোনালদো। ৬ মিনিটের মাথায় জুভেন্টাস গোলের সুযোগ পেয়েছিল। আর্জেন্টাইন তারকা পাওলো দিবালার শট গোলপোস্টের সামনে স্লাইড করে মাঠের বাইরে পাঠান সার্জিও রামোস।

১৩ মিনিটে আরেক আর্জেন্টাইন তারকা গঞ্জালো হিগুয়েইনের পাস থেকে গোল করতে ব্যর্থ হন বেন্টানকার। ২৩ মিনিটের মাথায় দিবালার ফ্রি-কিক থেকে হিগুয়েইনের জোরালো হেড রুখে দেন রিয়াল গোলরক্ষক কেইলর নাভাস। ৪৪ মিনিটে নিজেদের বক্সে রিয়ালের তারকা কাসেমিরোর হাতে বল লাগলেও রেফারি জুভেন্টাসের পক্ষে রায় দেননি।

বিরতির ঠিক আগে ইচ্ছাকৃত ডাইভ দেওয়ায় দিবালা হলুদ কার্ড দেখেন। ১-০ গোলে এগিয়ে থেকে বিরতিতে যায় রিয়াল। ৫৬ মিনিটে দিবালাকে ফাইল করে হলুদ কার্ড দেখেন রিয়াল তারকা রামোস। আগের ম্যাচে হলুদ কার্ড পাওয়ার ফলে জুভেন্টাসের বিপক্ষে দ্বিতীয় লেগে খেলা হচ্ছে না তার। ৬৪ মিনিটে আবারও রোনালদো গোল করে রিয়ালকে এগিয়ে দেন। দুর্দান্ত ওভারহেড কিকে নিজের দ্বিতীয় গোল করেন রোনালদো (২-০)। ৬৮ মিনিটে কারভাহালকে ফাউল করে দিবালা দ্বিতীয় হলুদ কার্ড দেখেন। ফলে, লাল কার্ড পেয়ে দিবালা মাঠ ছাড়লে ১০ জনের দলে পরিণত হয় জুভেন্টাস। ৭১ মিনিটে বল উঁচুতে মেরে হ্যাটট্রিকের সুযোগ হারান রোনালদো।

রোনালদোর সঙ্গে ওয়ান-টু পাসে তৃতীয় গোল করেন মার্সেলো। ম্যাচের ৭২তম মিনিটে আসে রিয়ালের তৃতীয় গোলটি। ৯২ মিনিটে জুভিদের গোলরক্ষক বুফনকে একা পেয়েও হ্যাটট্রিক গোলটি করতে ব্যর্থ হন রোনালদো। ৯৩ মিনিটে একটি গোল শোধের সুযোগ পেয়েও নষ্ট করেন জুভেন্টাসের কুয়াদরাদো।গত বছরের মে মাসে কার্ডিফ ফাইনালে হারের প্রতিশোধ নেওয়া হলো না জুভিদের। উল্টো বছরের প্রথম হারের মুখ দেখলো তারা।

আর ইউরোপীয় মঞ্চে ঘরের মাঠে এটি তাদের ২৭ ম্যাচে প্রথম হার। এই ম্যাচের আগে তুরিনে এসে ২০১৩ সালে জুভেন্টাসকে হারিয়েছিল বায়ার্ন মিউনিখ। ১৯৬২ সালের পর প্রথমবার ইউরোপিয়ান প্রতিযোগিতায় ঘরের মাঠে রিয়ালের কাছে হারলো জুভেন্টাস। গত মৌসুমে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের ফাইনালে জুভেন্টাসকে ৪-১ গোলে উড়িয়ে দিয়ে টানা দ্বিতীয় শিরোপা জিতেছিল জিনেদিন জিদানের রিয়াল মাদ্রিদ। আগামী বুধবার রিয়ালের মাঠে হবে শেষ আটের ফিরতি লেগের ম্যাচ

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *